নিজের জুস পান করে নিজেই বেহুঁশ অজ্ঞান পার্টির সদস্য !
- Update Time : ০৯:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩৭৮ Time View
পাশে বসা নারী যাত্রীর সঙ্গে কৌশলে আলাপচারিতা শুরু করেন। একপর্যায়ে যাত্রী মা-মেয়েকে জুস পান করতে অনুরোধ করেন। সরল মনে কোনো সন্দেহ না করে ওই জুস পান করেন তারা। তারা অজ্ঞান হলে খুলে নেন কানের দুল ও নাকের ফুল।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ঝ’ বগির ৭৮, ৭৯ ও ৭৭ নম্বর সিটে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মালঞ্চ গ্রামের কৌশিলা রায় (৫০) ও তার মেয়ে বীথি রানী (২৮)। তারা দিনাজপুরের বিরামপুর স্টেশন থেকে সৈয়দপুরে আসছিলেন।
আটক প্রতারক ফুল মিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
পাশের ৭৭ নম্বর সিটের যাত্রী ছিলেন অজ্ঞান পার্টি চক্রের মূল হোতা ফুল মিয়া।
এ সময় পাশের যাত্রী আব্দুর রহিম (অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা) বিষয়টি আঁচ করতে পেরে হাতেনাতে অজ্ঞান পার্টির সদস্য ফুল মিয়াকে (৫৫) আটক করেন এবং অন্যান্য যাত্রীদের অবহিত করেন।
প্রথমে প্রতারক অভিযোগ অস্বীকার করলেও যাত্রীরা তাকে নিজের জুস পান করতে বাধ্য করেন।
পরে যাত্রীরা তার কাছে থাকা জুস যাচাই করতে তাকে পান করালে তিনি অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন। জুস পান করেই ফুল মিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়লে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
পরে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ দুই ভুক্তভোগীসহ অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা তিনজনে এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী কৌশিলা ও বীথিকে জুস পান করান ফুল মিয়া। এতে ভুক্তভোগীরা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেন। এ সময় পাশের যাত্রী আব্দুর রহিম (অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা) বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ফুল মিয়াকে আটক করে ওই বগির যাত্রীদের বিষয়টি অবগত করেন। আটক ওই প্রতারক বিষয়টি অস্বীকার করলে যাত্রীরা তার কাছে থাকা জুস তাকে পান করতে বাধ্য করেন। এতে ফুল মিয়া নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়লে সবার কাছে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাত্রীরা তাৎক্ষণিক ট্রেনে দায়িত্বরত রেল পুলিশকে অবগত করে তাদের হাতে তুলে দেয়।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী বলেন, মা-মেয়ে ও আটক প্রতারককে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও আসামি—কারোই জ্ঞান ফেরেনি।
কৌশিলা রায়ের ছেলে রবীন্দ্র নাথ রায় বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, ফুল মিয়ার নামে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।ভুক্তভোগী ও আসামির জ্ঞান ফিরলে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।






















































































































































































