চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ
নিজেকে সেনা-বিজিবি-পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিতেন শাহারুল

- Update Time : ০৭:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
- / ৪২৬ Time View
বিভিন্ন বাহিনীতে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে শাহারুল ইসলাম (৩৮) নামে চাকুরিচ্যুত এক বিজিবি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব ১৩।
শুক্রবার (২৪ মে) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব-১৩ এর উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৫ সালের ৩ মে ল্যান্স নায়েক পদে বিজিবিতে যোগদান করেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে শাহারুল ইসলাম। বিজিবিতে কর্মরত থাকাকালীন বেসামরিক ব্যক্তিদের যোগসাজসে বিভিন্ন জেলার প্রার্থীদের বিজিবিতে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেন। চাকুরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর ছয় মাসের বেসামরিক জেলসহ চাকুরিচ্যুত হন শাহারুল।
চাকুরিচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন শ্রেণিপেশার দালালদের মাধ্যমে বেসামরিক বিভিন্ন মিডিয়া তৈরি করে সাধারণ চাকুরি প্রার্থীকে প্রলুব্ধ করার জন্য নিজেকে বিভিন্ন বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে পরিচয় প্রদানের জন্য বিভিন্ন বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভূয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করতেন। এই ভূয়া পরিচয়ের আড়ালে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি এবং অন্যান্য সংস্থায় অবৈধভাবে চাকুরির কথা বলে সাধারণ জনসাধারণের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, র্যাব-১৩ এর সিপিসি-৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল শাহারুল ইসলামের প্রতারণার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে পলাশবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে চাকুরিচ্যুত ল্যান্স নায়েক শাহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কৌশল হিসাবে সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশ বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তাদের আইডি কার্ড, বিভিন্ন পরীক্ষার নিয়োগপত্র, খালি স্ট্যাম্প এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ব্লাংক চেক জব্দ করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহারুল ইসলাম চাকুরিতে থাকা অবস্থা থেকেই তিনি এ ধরণের প্রতারণামূলক কার্যকালাপের সাথে জড়িত এবং প্রতারণার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তিনি বিজিবি হতে চাকুরিচ্যুত হন বলে স্বীকার করেছেন। তার সাথে শক্তিশালী সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। তাদের ব্যাপারেও অনুসন্ধান চলছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়