ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিকলীর অবহেলিত জনগোষ্টির গ্রামের নাম জাফরাবাদ ও ভবানিপুর

খাইরুল ইসলাম, হাওড় অঞ্চল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:২১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / ২৯ Time View

কিশোরগঞ্জ জেলা নিকলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৭নং ও ৪নং ওয়ার্ড নিয়ে সোয়াইজনি নদীর তীরে গঠিত জাফরাবাদ ও ভবানিপুর দুই গ্রামের প্রায় পাঁচশত অধিক জন সংখ্যা বসবাস করে।

নদীর তীরে উক্ত গ্রাম দুইটি হওয়ায় গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবেলা করে জীবনযাপন করতে হয়। তাদের জীবিকার প্রধান উৎস কৃষি ও মাছ ধরা। এই দুইগ্রামের মানুষের ভোগান্তির অন্ত নেই । কোন স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যায় বেশী।

উক্ত গ্রামের মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম নৌকা। নৌকা ছাড়া তাহারা বাজারে বা অন্য কোন গ্রামে যাতায়ত করতে পারে না। শিক্ষার্থীরা নৌকা দিয়ে পাড় হয়ে স্কুল যেতে হয়। যার কারণে তারা সময় মত স্কুলে যেতে পারে না। বিশেষ করে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলে নদীতে নৌকা থাকে না যার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতেই পারেনা। অসুস্থ্য অনেক রোগী নৌকার অভাবে হাসপাতালে না যেতেপেরে মৃত্যুবরণ করেছে।

পার্শ্ববর্তী জাফরাবাদ ও ভবানিপুর গ্রামের মানুষের যাতায়তের জন্যও কোন রাস্তা নেই। গ্রাম বাসির চাদায় গ্রামে একটি মসজিদ গড়ে তুললেও পায়ে হেটে চলার রাস্তা না থাকায় দরুন মুসল্লিরা সময়মত জামাত আদায় করতে পারে না।

এ ব্যাপারে জাফরাবাদ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা আসাদুজ্জামান নেতা বলেন, ভোট চাওয়ার ও নেওয়ার বাহানায় বিভিন্ন নেতা-নেত্রী বিভিন্ন সময় “ব্রীজ” ও রাস্তা করার আশ্বাস দিলেও দেওয়ার বেলায় কাচকলা। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও একটি পয়সার কাজও কেউ করেনাই। জাফরাবাদ এর বাসিন্দা বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকার উন্নয়নের নামে শুধু লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। এই গ্রামে সরকারী অনুদানে একটি টাকার কাজও হয়নাই। জাফরাবাদ হতে ভবানিপুর পর্যন্ত পায়ে হটে চলার একটি রাস্তা করে দিলে জনগন উপকৃত হতো।

জাফরাবাদ এর বাসিন্দা চয়ন মাহমুদ দিদার বলেন, এই গ্রামে বহু রেমিটেন্স যোদ্ধার বসবাস হলেও, কষ্ট দায়ক যে, নৃন্নতম একটা রাস্তা নেই। জাফরাবাদ হতে ভবানিপুর রাস্তাটি হলে গ্রাম বাসির ভোগান্তির লাঘব হত। রাষ্ট সংস্কার আন্দোল নিকলী উপজেলা শাখার আহবায়ক খাইরুল মোমেন স্বপন বলেন, সত্যিই গ্রামবাসি চরম দুর্দশায় বসবাস করে। জাফরাবাদ হতে ভবানিপুর রাস্তাটি গ্রামবাসির দীর্ঘ বছরের দাবি। সমাজ সেবক মাওলানা মোঃ আবে কাউছার বলেন, রাস্তাটি হলে দুই গ্রামের লোকজন চলাচল সহ মুসল্লিদের মসজিদের যাতায়তের সুবিধা হবে।

এ ব্যপারে সদর ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, ইনশা আল্লাহ আগামিতে অগ্রধীকার ভিত্তিতে রাস্তাটি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জন দুর্ভোগ কমাতে রাস্তাটি করে দেওয়ার চেষ্টা করব।

Please Share This Post in Your Social Media

নিকলীর অবহেলিত জনগোষ্টির গ্রামের নাম জাফরাবাদ ও ভবানিপুর

খাইরুল ইসলাম, হাওড় অঞ্চল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:২১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

কিশোরগঞ্জ জেলা নিকলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৭নং ও ৪নং ওয়ার্ড নিয়ে সোয়াইজনি নদীর তীরে গঠিত জাফরাবাদ ও ভবানিপুর দুই গ্রামের প্রায় পাঁচশত অধিক জন সংখ্যা বসবাস করে।

নদীর তীরে উক্ত গ্রাম দুইটি হওয়ায় গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবেলা করে জীবনযাপন করতে হয়। তাদের জীবিকার প্রধান উৎস কৃষি ও মাছ ধরা। এই দুইগ্রামের মানুষের ভোগান্তির অন্ত নেই । কোন স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যায় বেশী।

উক্ত গ্রামের মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম নৌকা। নৌকা ছাড়া তাহারা বাজারে বা অন্য কোন গ্রামে যাতায়ত করতে পারে না। শিক্ষার্থীরা নৌকা দিয়ে পাড় হয়ে স্কুল যেতে হয়। যার কারণে তারা সময় মত স্কুলে যেতে পারে না। বিশেষ করে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলে নদীতে নৌকা থাকে না যার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতেই পারেনা। অসুস্থ্য অনেক রোগী নৌকার অভাবে হাসপাতালে না যেতেপেরে মৃত্যুবরণ করেছে।

পার্শ্ববর্তী জাফরাবাদ ও ভবানিপুর গ্রামের মানুষের যাতায়তের জন্যও কোন রাস্তা নেই। গ্রাম বাসির চাদায় গ্রামে একটি মসজিদ গড়ে তুললেও পায়ে হেটে চলার রাস্তা না থাকায় দরুন মুসল্লিরা সময়মত জামাত আদায় করতে পারে না।

এ ব্যাপারে জাফরাবাদ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা আসাদুজ্জামান নেতা বলেন, ভোট চাওয়ার ও নেওয়ার বাহানায় বিভিন্ন নেতা-নেত্রী বিভিন্ন সময় “ব্রীজ” ও রাস্তা করার আশ্বাস দিলেও দেওয়ার বেলায় কাচকলা। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও একটি পয়সার কাজও কেউ করেনাই। জাফরাবাদ এর বাসিন্দা বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকার উন্নয়নের নামে শুধু লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। এই গ্রামে সরকারী অনুদানে একটি টাকার কাজও হয়নাই। জাফরাবাদ হতে ভবানিপুর পর্যন্ত পায়ে হটে চলার একটি রাস্তা করে দিলে জনগন উপকৃত হতো।

জাফরাবাদ এর বাসিন্দা চয়ন মাহমুদ দিদার বলেন, এই গ্রামে বহু রেমিটেন্স যোদ্ধার বসবাস হলেও, কষ্ট দায়ক যে, নৃন্নতম একটা রাস্তা নেই। জাফরাবাদ হতে ভবানিপুর রাস্তাটি হলে গ্রাম বাসির ভোগান্তির লাঘব হত। রাষ্ট সংস্কার আন্দোল নিকলী উপজেলা শাখার আহবায়ক খাইরুল মোমেন স্বপন বলেন, সত্যিই গ্রামবাসি চরম দুর্দশায় বসবাস করে। জাফরাবাদ হতে ভবানিপুর রাস্তাটি গ্রামবাসির দীর্ঘ বছরের দাবি। সমাজ সেবক মাওলানা মোঃ আবে কাউছার বলেন, রাস্তাটি হলে দুই গ্রামের লোকজন চলাচল সহ মুসল্লিদের মসজিদের যাতায়তের সুবিধা হবে।

এ ব্যপারে সদর ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, ইনশা আল্লাহ আগামিতে অগ্রধীকার ভিত্তিতে রাস্তাটি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জন দুর্ভোগ কমাতে রাস্তাটি করে দেওয়ার চেষ্টা করব।