ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্কে ইসলামোফোবিয়ার কোনও জায়গা নেই: মামদানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৪১:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪৭ Time View

নিউইয়র্ক শহরের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় রচনা করেছেন জোহরান কোয়ামে মামদানি। শহরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ব্যক্তি হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

তরুণ বামপন্থি জোহরান মামদানিকে নিউ ইয়র্কবাসী তাদের পরবর্তী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছে। নিজের বিজয়ের পর প্রথম প্রকাশ্য ভাষণে মামদানি বলেন, নিউ ইয়র্কের ভোটাররা পরিবর্তন আনতে একটি ‘নতুন ধরণের রাজনীতির’ ইঙ্গিত দিয়েছেন।

মামদানি তার ভাষণে বলেন, ‘বন্ধুরা, আমরা একটি রাজনৈতিক বংশকে পরাজিত করেছি। আমি অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে ব্যক্তিগত জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই। তবে আমরা এমন এক রাজনীতির পাতা উল্টাতে যাচ্ছি যা অল্প কিছু মানুষের জন্য ছিল, সবার জন্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিউ ইয়র্কের নতুন প্রজন্মকে ধন্যবাদ। আমরা তোমাদের জন্য লড়ব, কারণ আমরা তোমাদেরই অংশ। এই শহর এখন ঠিকমতো শ্বাস নিচ্ছে, আমরা অনেক দিন ধরে নিঃশ্বাস আটকে রেখেছিলাম।’

নবনির্বাচিত মেয়র বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক থাকবে অভিবাসীদের শহর- এমন একটি শহর যা অভিবাসীদের দ্বারা নির্মিত, অভিবাসীদের শ্রমে চালিত এবং আজ থেকে অভিবাসীর হাতেই পরিচালিত। আমরা যাদের ভালোবাসি, তাদের জন্য রুখে দাঁড়ানোকেই বিশ্বাস করি। তুমি যদি একজন অভিবাসী হও, ট্রান্স কমিউনিটির সদস্য হও, কৃষ্ণাঙ্গ নারী হও যাদের ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন, কিংবা এমন একক মা হও যিনি এখনও খাবারের খরচের অপেক্ষায় সংগ্রাম করছেন; তোমার সেসব সংগ্রাম আমাদেরও সংগ্রাম।’

‘আমি তরুণ এবং আমি একজন মুসলিম। মুসলমান হওয়ার জন্য আমি কখনও ক্ষমা চাইব না। আমি তোমাদের সন্তান হতে পেরে গর্বিত’- যোগ করেন মামদানি।

ইসলামবিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়ে নিউ ইয়র্কে নির্বাচন জেতা সম্ভব না, এমনটাও বলেছেন তিনি।

সবশেষে মামদানি বলেন, ‘নিউ ইয়র্ক হবে এই রাজনৈতিক অন্ধকারের মধ্যে এক আলো। আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করব যেন সেই আলো আবার জ্বলে ওঠে। এখানে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

নিউইয়র্কে ইসলামোফোবিয়ার কোনও জায়গা নেই: মামদানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৫:৪১:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

নিউইয়র্ক শহরের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় রচনা করেছেন জোহরান কোয়ামে মামদানি। শহরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ব্যক্তি হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

তরুণ বামপন্থি জোহরান মামদানিকে নিউ ইয়র্কবাসী তাদের পরবর্তী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছে। নিজের বিজয়ের পর প্রথম প্রকাশ্য ভাষণে মামদানি বলেন, নিউ ইয়র্কের ভোটাররা পরিবর্তন আনতে একটি ‘নতুন ধরণের রাজনীতির’ ইঙ্গিত দিয়েছেন।

মামদানি তার ভাষণে বলেন, ‘বন্ধুরা, আমরা একটি রাজনৈতিক বংশকে পরাজিত করেছি। আমি অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে ব্যক্তিগত জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই। তবে আমরা এমন এক রাজনীতির পাতা উল্টাতে যাচ্ছি যা অল্প কিছু মানুষের জন্য ছিল, সবার জন্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিউ ইয়র্কের নতুন প্রজন্মকে ধন্যবাদ। আমরা তোমাদের জন্য লড়ব, কারণ আমরা তোমাদেরই অংশ। এই শহর এখন ঠিকমতো শ্বাস নিচ্ছে, আমরা অনেক দিন ধরে নিঃশ্বাস আটকে রেখেছিলাম।’

নবনির্বাচিত মেয়র বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক থাকবে অভিবাসীদের শহর- এমন একটি শহর যা অভিবাসীদের দ্বারা নির্মিত, অভিবাসীদের শ্রমে চালিত এবং আজ থেকে অভিবাসীর হাতেই পরিচালিত। আমরা যাদের ভালোবাসি, তাদের জন্য রুখে দাঁড়ানোকেই বিশ্বাস করি। তুমি যদি একজন অভিবাসী হও, ট্রান্স কমিউনিটির সদস্য হও, কৃষ্ণাঙ্গ নারী হও যাদের ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন, কিংবা এমন একক মা হও যিনি এখনও খাবারের খরচের অপেক্ষায় সংগ্রাম করছেন; তোমার সেসব সংগ্রাম আমাদেরও সংগ্রাম।’

‘আমি তরুণ এবং আমি একজন মুসলিম। মুসলমান হওয়ার জন্য আমি কখনও ক্ষমা চাইব না। আমি তোমাদের সন্তান হতে পেরে গর্বিত’- যোগ করেন মামদানি।

ইসলামবিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়ে নিউ ইয়র্কে নির্বাচন জেতা সম্ভব না, এমনটাও বলেছেন তিনি।

সবশেষে মামদানি বলেন, ‘নিউ ইয়র্ক হবে এই রাজনৈতিক অন্ধকারের মধ্যে এক আলো। আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করব যেন সেই আলো আবার জ্বলে ওঠে। এখানে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।’