ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নায়ক ফারুকের ঋণ ১০১ কোটি টাকা

Reporter Name
  • Update Time : ০৯:১৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • / ১১৫ Time View

প্রয়াত চিত্রনায়ক ফারুক ( আকবর হোসনে পাঠান ফারুক এমপি) এর ব্যাংক ঋণ ৫ হাজার কোটি টাকা নয়। মাত্র ১০১ কোটি টাকা।

ঢাকাই সিনেমার সদ্য প্রয়াত অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর ব্যাংক ঋণ নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমের মন্তব্যের ঘরেও নানা নেতিবাচক মন্তব্য দেখা যায়। অনেকের দাবি অভিনেতার পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকঋণ রয়েছে।

প্রয়াত এই অভিনেতার পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এত মোটা অংকের টাকার ঝণ খেলাপির বিষয়টি ভিত্তিহীন।

ফারুকের এই ঋণখেলাপির বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বলছেন, চিত্রনায়ক ফারুক ঋণখেলাপি এটা সত্য, তবে পাঁচ হাজার টাকার ব্যাংকঋণের বিষয়টি গুজব। একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ গুজব ছড়াচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠানের সঙ্গে। তিনি এমন গুজব না ছড়াতে সবার কাছে আহ্বান করেন। বলেন, যেটা সত্যি নয় তা কেনো আপনারা ছড়াচ্ছেন। ফারুক ৫ হাজার কোটি নয় ২৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তার মধ্যে দুই কোটি টাকা পরিশোধও করে দেয়। ’

ফারুকের প্রয়াতে ভেঙ্গে পড়েছেন ফারহানা। তাই এ বিষয়টি আপাতত বিস্তারিত বলতে চাইলেন না। জানালেন অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে এলেই বিস্তারিত সব জানাবেন।

এদিকে একটি গণমাধ্যম সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, প্রয়াত এ অভিনেতার নামে ৫ হাজার কোটি নয় তার নামে সুদসহ প্রায় ১০১ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ রয়েছে।

জানা গেছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক থেকে ২০০৯ সালে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন আকবর হোসেন পাঠান। গাজীপুরে ১১৫ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তোলেন ফারুক ডাইং নিটিং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং। ২০১৩ সালে আবারও এই প্রকল্পে ঋণ দেয় সোনালী ব্যাংক। তবে এর কিছুদিন পর ঋণ হিসাবটি অনিয়মিত হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় কারখানা।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ৮২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে সোনালী ব্যাংক।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান আকবর হোসেন পাঠান। ওই সময় বিশেষ বিবেচনায় ঋণটি পুনঃ তফসিল করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এতে বিশেষ অনুমতি দেয়। তবে কারখানা চালু হয়নি, এরপর ঋণও শোধ করেননি ফারুক। পরে ব্যাংক আবারও অর্থঋণ আদালতে জারি মামলা দায়ের করে। তখন ব্যাংকঋণ সুদসহ বেড়ে দাঁড়ায় ১০১ কোটি টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

নায়ক ফারুকের ঋণ ১০১ কোটি টাকা

Update Time : ০৯:১৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

প্রয়াত চিত্রনায়ক ফারুক ( আকবর হোসনে পাঠান ফারুক এমপি) এর ব্যাংক ঋণ ৫ হাজার কোটি টাকা নয়। মাত্র ১০১ কোটি টাকা।

ঢাকাই সিনেমার সদ্য প্রয়াত অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর ব্যাংক ঋণ নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমের মন্তব্যের ঘরেও নানা নেতিবাচক মন্তব্য দেখা যায়। অনেকের দাবি অভিনেতার পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকঋণ রয়েছে।

প্রয়াত এই অভিনেতার পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এত মোটা অংকের টাকার ঝণ খেলাপির বিষয়টি ভিত্তিহীন।

ফারুকের এই ঋণখেলাপির বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বলছেন, চিত্রনায়ক ফারুক ঋণখেলাপি এটা সত্য, তবে পাঁচ হাজার টাকার ব্যাংকঋণের বিষয়টি গুজব। একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ গুজব ছড়াচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠানের সঙ্গে। তিনি এমন গুজব না ছড়াতে সবার কাছে আহ্বান করেন। বলেন, যেটা সত্যি নয় তা কেনো আপনারা ছড়াচ্ছেন। ফারুক ৫ হাজার কোটি নয় ২৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তার মধ্যে দুই কোটি টাকা পরিশোধও করে দেয়। ’

ফারুকের প্রয়াতে ভেঙ্গে পড়েছেন ফারহানা। তাই এ বিষয়টি আপাতত বিস্তারিত বলতে চাইলেন না। জানালেন অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে এলেই বিস্তারিত সব জানাবেন।

এদিকে একটি গণমাধ্যম সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, প্রয়াত এ অভিনেতার নামে ৫ হাজার কোটি নয় তার নামে সুদসহ প্রায় ১০১ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ রয়েছে।

জানা গেছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক থেকে ২০০৯ সালে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন আকবর হোসেন পাঠান। গাজীপুরে ১১৫ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তোলেন ফারুক ডাইং নিটিং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং। ২০১৩ সালে আবারও এই প্রকল্পে ঋণ দেয় সোনালী ব্যাংক। তবে এর কিছুদিন পর ঋণ হিসাবটি অনিয়মিত হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় কারখানা।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ৮২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে সোনালী ব্যাংক।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান আকবর হোসেন পাঠান। ওই সময় বিশেষ বিবেচনায় ঋণটি পুনঃ তফসিল করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এতে বিশেষ অনুমতি দেয়। তবে কারখানা চালু হয়নি, এরপর ঋণও শোধ করেননি ফারুক। পরে ব্যাংক আবারও অর্থঋণ আদালতে জারি মামলা দায়ের করে। তখন ব্যাংকঋণ সুদসহ বেড়ে দাঁড়ায় ১০১ কোটি টাকা।