ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৭:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • / ৬০ Time View

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক বর্তমানে উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। এসময় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

এদিন তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আগামী ২০ জুন পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার হাজিরা প্রদান করেন। অপর আসামি সেলিম ভূঁইয়া ও সি এম ইউছুফ হোসাইন আদালতে হাজিরা প্রদান করেন। এছাড়া আসামি খন্দকার শহীদুল ইসলামেরর পক্ষের সময়ের আবেদন করা হয়। ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া আসামি কাশেম শরীফ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মীর ময়নুল হক পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূইয়া এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) এস এম সাহিদুর রহমান তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

Update Time : ০৭:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক বর্তমানে উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। এসময় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

এদিন তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আগামী ২০ জুন পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার হাজিরা প্রদান করেন। অপর আসামি সেলিম ভূঁইয়া ও সি এম ইউছুফ হোসাইন আদালতে হাজিরা প্রদান করেন। এছাড়া আসামি খন্দকার শহীদুল ইসলামেরর পক্ষের সময়ের আবেদন করা হয়। ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া আসামি কাশেম শরীফ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মীর ময়নুল হক পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূইয়া এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) এস এম সাহিদুর রহমান তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।