ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গী ফ্লাইওভারে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বিপাকে ৪ কর্মকর্তা  নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু নিস্পত্তির মাধ্যমে মামলা জট কমিয়ে বিচার কাজ এগিয়ে নিতে হবে আদালত থেকে হাতকড়াসহ লাফ দিয়ে হত্যা মামলার আসামির পালানোর চেষ্টা নয় বছর পর ফিরছে ‘ব্রিকলেন কারি ফ্যাস্টিভ্যাল’ ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতির সম্মানে প্রধান বিচারপতির নৈশভোজ চাইলেই দেড় বছরে সংস্কার সম্ভব নয়: উপদেষ্টা রিজওয়ানা টিভি দেখতে দেখতেই ব্রেন স্ট্রোক করলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী যেদিন রাস্তায় নামব, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না : কাদের সিদ্দিকী

নয়াদিল্লি থেকে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:১৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২৫৬ Time View

ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের ভারত সফর শেষে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৮ মিনিটে (আইএসটি) ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া সিং প্যাটেল।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে নয়াদিল্লিতে যান। একইদিন সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এই বৈঠক ছাড়াও একান্ত বৈঠক করেছেন শীর্ষ এই দুই নেতা। এর আগে অবশ্য দুদেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।

৯ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিন্ন ভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার’ শীর্ষক দুটি বক্তব্য দেন।

‘ওয়ান আর্থ’ ও ‘ওয়ান ফ্যামিলি’ সেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা তুলে ধরেন।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মেয়াদকালে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সাফল্যের অভিজ্ঞতা বিশ্ব নেতাদের কাছে উপস্থাপন করেন।

জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বনেতারা সম্মেলনস্থল ভারত মান্দাপামে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

নয়াদিল্লি থেকে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৪:১৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের ভারত সফর শেষে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৮ মিনিটে (আইএসটি) ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া সিং প্যাটেল।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে নয়াদিল্লিতে যান। একইদিন সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এই বৈঠক ছাড়াও একান্ত বৈঠক করেছেন শীর্ষ এই দুই নেতা। এর আগে অবশ্য দুদেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।

৯ সেপ্টেম্বর জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিন্ন ভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার’ শীর্ষক দুটি বক্তব্য দেন।

‘ওয়ান আর্থ’ ও ‘ওয়ান ফ্যামিলি’ সেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা তুলে ধরেন।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মেয়াদকালে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য সাফল্যের অভিজ্ঞতা বিশ্ব নেতাদের কাছে উপস্থাপন করেন।

জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বনেতারা সম্মেলনস্থল ভারত মান্দাপামে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।