ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাস

ইয়াছিন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
  • Update Time : ০৭:২১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৭ Time View

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে ঈদে ঘরে ফেরার আনন্দটা ভিন্ন মাত্রার। দীর্ঘদিন পর মায়ের কোলে ফেরার সুযোগে উচ্ছ্বসিত হন তারা। এ যেন ঈদের আগে আরেক ঈদ।

আকাশচুম্বী স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন—আরও কত রকমের একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের। হৃদয়ে লালন করা হাজারো স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতেই শিক্ষার্থীদের এই বিরামহীন ছুটে চলা।

পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ছুটিতে বাড়ি ফেরেন তারা, টিকেটের ভোগান্তি, রাস্তায় যানজট প্রভৃতি মেনে নিয়েই। তবে কোনো কিছুই তাদের বাড়ি ফেরার আনন্দকে দমিয়ে রাখতে পারে না। এবারের ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের ভাবনা তুলে ধরেছেন।

মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন,
যেদিন আমার ভার্সিটি বন্ধ হয়, সেদিন সন্ধ্যায় ইফতারের পর রুমে বসে ছিলাম। পরদিন সকালে বাড়ি চলে যাবো। ছোটবেলায় চাঁদ রাতে চাঁদ দেখার পর যে আনন্দ অনুভব হতো, সেদিন সন্ধ্যায় আমার তেমন আনন্দ অনুভূত হচ্ছিল। বাড়িতে যাবো—এই আনন্দ আমার কাছে ঈদের আনন্দের মতো। বারবার মনে হচ্ছিল, আজকে রোজা শেষ, কালকে ঈদ। দারুণ সুন্দর একটা অনুভূতি ছিল এটা।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিরা বলেন,
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাসের ঝিলিক স্পষ্ট। দীর্ঘ সময় পর পরিবার এবং প্রিয়জনের সাথে ঈদ পালন করতে পারবো—এটা আমার জন্য বিশেষ অনুভূতি। পরীক্ষার চাপ আর পড়াশোনার ব্যস্ততা ভুলে মেতে উঠি ঈদের আনন্দে। সবাই বাস, ট্রেন কিংবা গাড়িতে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় ক্যাম্পাসে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।

মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিম বলেন,
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদের এক মাস আগে থেকেই প্রহর গুনতে থাকি—কখন যাব সেই চিরচেনা হৃদয়-মিশ্রিত আঙিনায়, স্বপ্নে আঁকা সবুজের সেই অবারিত বিছানায়। ২০ রমজান যখনই ঈদের ছুটি পেয়েছি, মনের মাঝে ঘণ্টায় ৩৬০ কিলোমিটার বেগে ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যদিও তখন ব্যাগ গোছানোর ধান্দায় থাকি, দেহটা পড়ে থাকে ক্যাম্পাসে, কিন্তু মনে হয়—সবই যেন চলে গেছে বাড়িতে। আপনজনের সাথে দেখা করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা কতটা প্রখর হতে পারে, তা কেবল ঈদে বাড়ি ফেরার সময়ই বোঝা যায়। গাড়িতে চড়ে বাড়ি ফেরার সময় অবচেতন মন বারবার হৃদপিণ্ডে স্পন্দন তোলে আর জানিয়ে দেয়—এই তো, আপনজনের কাছে চলে এসেছি। ঈদে বাড়ি ফেরার আনন্দটা সত্যিই অনন্য।

Please Share This Post in Your Social Media

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাস

ইয়াছিন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
Update Time : ০৭:২১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে ঈদে ঘরে ফেরার আনন্দটা ভিন্ন মাত্রার। দীর্ঘদিন পর মায়ের কোলে ফেরার সুযোগে উচ্ছ্বসিত হন তারা। এ যেন ঈদের আগে আরেক ঈদ।

আকাশচুম্বী স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন—আরও কত রকমের একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের। হৃদয়ে লালন করা হাজারো স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতেই শিক্ষার্থীদের এই বিরামহীন ছুটে চলা।

পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ছুটিতে বাড়ি ফেরেন তারা, টিকেটের ভোগান্তি, রাস্তায় যানজট প্রভৃতি মেনে নিয়েই। তবে কোনো কিছুই তাদের বাড়ি ফেরার আনন্দকে দমিয়ে রাখতে পারে না। এবারের ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের ভাবনা তুলে ধরেছেন।

মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন,
যেদিন আমার ভার্সিটি বন্ধ হয়, সেদিন সন্ধ্যায় ইফতারের পর রুমে বসে ছিলাম। পরদিন সকালে বাড়ি চলে যাবো। ছোটবেলায় চাঁদ রাতে চাঁদ দেখার পর যে আনন্দ অনুভব হতো, সেদিন সন্ধ্যায় আমার তেমন আনন্দ অনুভূত হচ্ছিল। বাড়িতে যাবো—এই আনন্দ আমার কাছে ঈদের আনন্দের মতো। বারবার মনে হচ্ছিল, আজকে রোজা শেষ, কালকে ঈদ। দারুণ সুন্দর একটা অনুভূতি ছিল এটা।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিরা বলেন,
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাসের ঝিলিক স্পষ্ট। দীর্ঘ সময় পর পরিবার এবং প্রিয়জনের সাথে ঈদ পালন করতে পারবো—এটা আমার জন্য বিশেষ অনুভূতি। পরীক্ষার চাপ আর পড়াশোনার ব্যস্ততা ভুলে মেতে উঠি ঈদের আনন্দে। সবাই বাস, ট্রেন কিংবা গাড়িতে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় ক্যাম্পাসে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।

মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিম বলেন,
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদের এক মাস আগে থেকেই প্রহর গুনতে থাকি—কখন যাব সেই চিরচেনা হৃদয়-মিশ্রিত আঙিনায়, স্বপ্নে আঁকা সবুজের সেই অবারিত বিছানায়। ২০ রমজান যখনই ঈদের ছুটি পেয়েছি, মনের মাঝে ঘণ্টায় ৩৬০ কিলোমিটার বেগে ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যদিও তখন ব্যাগ গোছানোর ধান্দায় থাকি, দেহটা পড়ে থাকে ক্যাম্পাসে, কিন্তু মনে হয়—সবই যেন চলে গেছে বাড়িতে। আপনজনের সাথে দেখা করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা কতটা প্রখর হতে পারে, তা কেবল ঈদে বাড়ি ফেরার সময়ই বোঝা যায়। গাড়িতে চড়ে বাড়ি ফেরার সময় অবচেতন মন বারবার হৃদপিণ্ডে স্পন্দন তোলে আর জানিয়ে দেয়—এই তো, আপনজনের কাছে চলে এসেছি। ঈদে বাড়ি ফেরার আনন্দটা সত্যিই অনন্য।