ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিআরটিসি বাস দুর্ঘটনায় আতঙ্ক, ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীদের জীবন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস সংকট

আসাদুল্লাহ আল গালিব, জাককানইবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:১৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • / ১৭ Time View

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম বিআরটিসির বাস। তবে বাসগুলোর বেহাল অবস্থা ও ফিটনেসবিহীন চলাচল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ।

শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবাহী একটি বিআরটিসি বাস দুর্ঘটনায় পড়ে। যদিও এতে কেউ হতাহত হননি, তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে আবারও সামনে চলে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থাপনার সংকট ও ঝুঁকি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাস সংকট মোকাবেলায় বিআরটিসির পুরোনো কিছু বাস চালু করলেও অধিকাংশ বাসেরই নেই প্রয়োজনীয় ফিটনেস সনদ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এই বাসগুলোর গঠন দুর্বল, ব্রেক অকার্যকর, যন্ত্রাংশ জীর্ণ। প্রতিদিনই এসব বাসে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।ময়মনসিংহ শহর থেকে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন বাসে উঠতে হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “মনে হয় জীবনের সঙ্গে জুয়া খেলছি। কোনোদিন যদি দুর্ঘটনায় মায়ের কোল খালি হয়, তার দায় নেবে কে?”

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। কিন্তু হল ও আবাসিক সুবিধার অভাবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ময়মনসিংহ শহর বা আশপাশে বাস করে। শহর থেকে ক্যাম্পাসের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ও ভাড়া মিলিয়ে মাত্র ৮টি বাস রয়েছে  ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এবং ৪টি ভাড়া করা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, “বিশ্ববিদ্যালয় ‘নজরুল’-এর নামে হলেও বাস্তবে নিরাপত্তা ও মানবতা নিশ্চিত হচ্ছে না। অবিলম্বে ফিটনেসবিহীন বাস বাতিল করে নিরাপদ ও পর্যাপ্ত বাস সংযোজন করতে হবে।”

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের দাবি জানাবে শিক্ষার্থীরা।

Please Share This Post in Your Social Media

বিআরটিসি বাস দুর্ঘটনায় আতঙ্ক, ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীদের জীবন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস সংকট

আসাদুল্লাহ আল গালিব, জাককানইবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:১৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম বিআরটিসির বাস। তবে বাসগুলোর বেহাল অবস্থা ও ফিটনেসবিহীন চলাচল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ।

শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবাহী একটি বিআরটিসি বাস দুর্ঘটনায় পড়ে। যদিও এতে কেউ হতাহত হননি, তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে আবারও সামনে চলে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থাপনার সংকট ও ঝুঁকি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাস সংকট মোকাবেলায় বিআরটিসির পুরোনো কিছু বাস চালু করলেও অধিকাংশ বাসেরই নেই প্রয়োজনীয় ফিটনেস সনদ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এই বাসগুলোর গঠন দুর্বল, ব্রেক অকার্যকর, যন্ত্রাংশ জীর্ণ। প্রতিদিনই এসব বাসে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।ময়মনসিংহ শহর থেকে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন বাসে উঠতে হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “মনে হয় জীবনের সঙ্গে জুয়া খেলছি। কোনোদিন যদি দুর্ঘটনায় মায়ের কোল খালি হয়, তার দায় নেবে কে?”

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। কিন্তু হল ও আবাসিক সুবিধার অভাবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ময়মনসিংহ শহর বা আশপাশে বাস করে। শহর থেকে ক্যাম্পাসের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ও ভাড়া মিলিয়ে মাত্র ৮টি বাস রয়েছে  ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এবং ৪টি ভাড়া করা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, “বিশ্ববিদ্যালয় ‘নজরুল’-এর নামে হলেও বাস্তবে নিরাপত্তা ও মানবতা নিশ্চিত হচ্ছে না। অবিলম্বে ফিটনেসবিহীন বাস বাতিল করে নিরাপদ ও পর্যাপ্ত বাস সংযোজন করতে হবে।”

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের দাবি জানাবে শিক্ষার্থীরা।