ব্রেকিং নিউজঃ  
                    
                    নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ সংস্কারে স্থবিরতা
 
																
								
							
                                
                              							  নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি									
								
                                
                                - Update Time : ১০:২৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
- / ২৭৭ Time View
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) একমাত্র কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে নানা জটিলতা। আট মাস আগে উন্নয়নকাজ শুরু হলেও ধীরগতি, পরিকল্পনার অভাব ও ঠিকাদারি জটিলতায় মাঠ এখন বালুর স্তূপে পরিণত হয়েছে।
খেলাধুলা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দানা বাঁধছে। শিক্ষার্থীরা ব্যঙ্গ করে মাঠটিকে ডাকছেন ‘বালু খেকো মাঠ’। দীর্ঘদিন খেলার সুযোগ না থাকায় তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে হতাশা ও ক্ষোভ। একসময় সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠটি এখন ধুলোয় পরিণত হওয়ায় সৌন্দর্যও হারিয়েছে। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঠের বালুর ঢিবিকে ‘পিরামিড’ বলে রসিকতা করছেন।
আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল দলের খেলোয়াড় সানোয়ার রাব্বি প্রমিজ বলেন, “মাঠ সংস্কারের দাবিতে আমরা বহুদিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছি। প্রশাসন, প্রকৌশল বিভাগ, ঠিকাদার সব জায়গায় বলেছি। যখন আন্দোলন করি, কিছুটা কাজ এগোয়; না করলে আবার থেমে যায়। প্রায় সাত মাস ধরে শুধু বালু ফেলার কাজই শেষ হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান প্রশাসন আন্তরিক হলেও ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তর ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ধীরগতি আমাদের হতাশ করছে। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজের অগ্রগতি নেই। দ্রুত কাজ শেষ না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক মো. নাজমুল হাসান জানান, “সম্প্রতি কন্ট্রাক্টর, ছাত্র প্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কাজ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগের ঠিকাদারের দুর্বল কাজের কারণে বিল আটকে রাখা হয়েছে, নতুন ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাঠ সংস্কার, ওয়াকওয়ে, সৌন্দর্যবর্ধন ও সড়ক নির্মাণসহ পুরো প্রকল্পে ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে মাঠ সংস্কারে প্রয়োজনীয় অংশ ব্যয় করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মোফাসিরুল ইসলাম বলেন, “মাঠের জন্য লাল ও সাদা বালুর মিশ্রণ ব্যবহার করা হচ্ছে। লাল বালু পঞ্চগড় থেকে আনতে সময় লাগছে। মিশ্রণ সম্পন্নের পর দুই মাসের মতো সময় লাগবে মাটি ভিজিয়ে স্থিতিশীল করতে, তারপর ঘাস বিছানো হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে এক মাসের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযোগী করা সম্ভব।”
প্রকৌশল দপ্তরের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলাম জানান, “প্রথম পর্যায়ের কাজগুলো বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ছাড়াই করা হয়েছিল। এখন বিকেএসপির (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) সুপারিশ অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। শুরু থেকেই যদি বিশেষজ্ঞ মতামত নেওয়া হতো, তাহলে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হতো।”
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাহাত হাসান দিদার বলেন, “বর্তমানে ডিজাইন অনুযায়ী শেষ স্তরের কাজ চলছে। বিকেএসপির পরামর্শ অনুযায়ী ঘাস লাগানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিকের কাজ পরিকল্পনাবিহীন ছিল, তবে এখন সবকিছু নির্ধারিত কাঠামো অনুযায়ী এগোচ্ছে।”
মাঠ সংস্কার কাজের অগ্রগতি জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুবু এন্টারপ্রাইজের মালিক মুরাদ মাহবুবের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
একসময় শিক্ষার্থীদের প্রাণের কেন্দ্র ছিল এই মাঠ। এখন সেটি ধুলোবালুতে ঢাকা নিষ্প্রাণ প্রান্তর। ‘সংস্কার’ শব্দটি শিক্ষার্থীদের কাছে হয়ে উঠেছে একরকম প্রতিশ্রুতির প্রতিধ্বনি,যার বাস্তব রূপ দেখা এখনো বাকি।
                            Please Share This Post in Your Social Media
- 
                                        সর্বশেষ
- 
                                        জনপ্রিয়
 
					 
																			

































































































