ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুজিবের বাড়ির অবশিষ্টাংশ ভাঙতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দুটি এক্সকাভেটর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩৫ Time View

এক্সকাভেটর

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২–এর কাছে দুটি এস্কেভেটর নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির অবশিষ্টাংশ ভাঙতে এসেছিল একদল বিক্ষোভকারী। তবে পুলিশ ও সেনাসদস্যদের ধাওয়ায় তারা ওই বাড়িতে ঢুকতে পারেনি।

আজ সোমবার সকালে বিক্ষোভকারীদের দুটি এস্কেভেটর নিয়ে আসতে দেখা যায় ধানমন্ডির সড়কে। পুলিশ আগেই ভবনের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকশ বিক্ষোভকারী একটি মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২–এর কাছে জড়ো হতে শুরু করে। তারা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকে—দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা!, বত্রিশ না ছত্রিশ? ছত্রিশ, ছত্রিশ!, দালালি না মুক্তি? মুক্তি, মুক্তি!, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের ধাওয়া দেয়। বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।

অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে ওই এলাকায় ইতোমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা মো. সাঈদ নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আজ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায় হবে। আমরা আশা করছি সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। আমরা এখানে এসেছি ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবশিষ্ট চিহ্নগুলো মুছে ফেলতে।’

এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে একইভাবে বিক্ষোভকারীরা এস্কেভেটর ও বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে ভবনটির কিছু অংশ ভেঙে ফেলেছিল। তখন ‘বুলডোজার মার্চ’ নামে একটি ফেসবুক ইভেন্ট তৈরি করে প্রচারণা চালানো হয়। বিপুল সংখ্যক মানুষ সেবার ধানমন্ডি ৩২–এ এসে ভবনটি ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

মুজিবের বাড়ির অবশিষ্টাংশ ভাঙতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দুটি এক্সকাভেটর

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০২:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২–এর কাছে দুটি এস্কেভেটর নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির অবশিষ্টাংশ ভাঙতে এসেছিল একদল বিক্ষোভকারী। তবে পুলিশ ও সেনাসদস্যদের ধাওয়ায় তারা ওই বাড়িতে ঢুকতে পারেনি।

আজ সোমবার সকালে বিক্ষোভকারীদের দুটি এস্কেভেটর নিয়ে আসতে দেখা যায় ধানমন্ডির সড়কে। পুলিশ আগেই ভবনের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকশ বিক্ষোভকারী একটি মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২–এর কাছে জড়ো হতে শুরু করে। তারা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকে—দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা!, বত্রিশ না ছত্রিশ? ছত্রিশ, ছত্রিশ!, দালালি না মুক্তি? মুক্তি, মুক্তি!, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের ধাওয়া দেয়। বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।

অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে ওই এলাকায় ইতোমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা মো. সাঈদ নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আজ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায় হবে। আমরা আশা করছি সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। আমরা এখানে এসেছি ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবশিষ্ট চিহ্নগুলো মুছে ফেলতে।’

এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে একইভাবে বিক্ষোভকারীরা এস্কেভেটর ও বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে ভবনটির কিছু অংশ ভেঙে ফেলেছিল। তখন ‘বুলডোজার মার্চ’ নামে একটি ফেসবুক ইভেন্ট তৈরি করে প্রচারণা চালানো হয়। বিপুল সংখ্যক মানুষ সেবার ধানমন্ডি ৩২–এ এসে ভবনটি ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়।