ঢাকা ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
উত্তরা মন্দিরে আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালকের পরিদর্শন জুডিসিয়াল সার্ভিস পে-কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত সাবেক চেয়ারম্যান শাহীনের সেকেন্ড ইন কমান্ড পাভেল মোল্লার দৌরাত্ম্যে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ সাকিবকে নিয়ে ভিপি সাদিকের স্ট্যাটাস মধ্যরাতে সাকিবের রহস্যময় পোস্ট জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কট বাংলাদেশসহ ৭৭ দেশের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু, মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগনের আস্থা অর্জন করা যায় – মনোয়ারা বেগম সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ রিমান্ডে টেকসই পর্যটনের জন্য প্রকৃতি রক্ষা অপরিহার্য – পরিবেশ উপদেষ্টা

ধসে পড়ল মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি, ভেতরে আটকা বহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৯৬৭ Time View

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধিস্থল ধসে পড়েছে। এতে সেখানে বহু মানুষ আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির নিজামউদ্দিন এলাকায় সম্রাট হুমায়ুনের সমাধির একটি অংশ ধসে পড়ে। ওই সময় সেখানে অন্তত ১০ জন আটকা পড়েন। ধসের ঘটনার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। এখন সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে।

সম্রাট হুমায়ুন ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট। তাঁর পুরো নাম ছিল নাসির-উদ-দিন মুহাম্মদ হুমায়ুন। তিনি তার বাবা বাবরের মৃত্যুর পর ১৫৩০ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর রাজত্বকালে তিনি শের শাহ সুরির কাছে পরাজিত হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাসনে ছিলেন। পরে পারস্যের শাহের সহায়তায় তিনি নিজের সাম্রাজ্য ফিরে পেয়েছিলেন। কিন্তু এর মাত্র এক বছর পর তার মৃত্যু হয়।

হুমায়ুনের সমাধি দিল্লির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। এটি মুঘল স্থাপত্যের একটি অসাধারণ উদাহরণ এবং ভারতের প্রথম বাগান-সমাধি হিসেবে পরিচিত। এর নির্মাণ কাজ ১৫৬৫ সালে সম্রাট হুমায়ুনের প্রথম স্ত্রী বেগা বেগম (হাজি বেগম নামেও পরিচিত) শুরু করেন এবং এর স্থপতি ছিলেন পারস্যের মীরক মির্জা গিয়াস।

এই সমাধিটি মূলত লাল বেলেপাথর এবং সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি, আর এর স্থাপত্যে পারস্যের ‘চারবাগ’ (চার ভাগে বিভক্ত বাগান) এবং ভারতীয় শিল্পকলার এক চমৎকার সংমিশ্রণ দেখা যায়। এই সমাধির নকশা ও নির্মাণশৈলী পরবর্তীকালে বহু মুঘল স্থাপত্যকে প্রভাবিত করেছিল, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো আগ্রার বিশ্ববিখ্যাত তাজমহল, যা প্রায় এক শতাব্দী পরে নির্মিত হয়েছিল।

এটি কেবল হুমায়ুনের সমাধি নয়, এখানে মুঘল রাজবংশের প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি সদস্যের কবর রয়েছে, তাই একে ‘মুঘল রাজবংশের নেক্রোপলিস’ (সমাধিক্ষেত্র) বলা হয়। এর অসাধারণ ঐতিহাসিক ও স্থাপত্যিক গুরুত্বের কারণে এটি ১৯৯৩ সাল থেকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা লাভ করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ধসে পড়ল মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি, ভেতরে আটকা বহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৭:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধিস্থল ধসে পড়েছে। এতে সেখানে বহু মানুষ আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির নিজামউদ্দিন এলাকায় সম্রাট হুমায়ুনের সমাধির একটি অংশ ধসে পড়ে। ওই সময় সেখানে অন্তত ১০ জন আটকা পড়েন। ধসের ঘটনার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। এখন সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে।

সম্রাট হুমায়ুন ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট। তাঁর পুরো নাম ছিল নাসির-উদ-দিন মুহাম্মদ হুমায়ুন। তিনি তার বাবা বাবরের মৃত্যুর পর ১৫৩০ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর রাজত্বকালে তিনি শের শাহ সুরির কাছে পরাজিত হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাসনে ছিলেন। পরে পারস্যের শাহের সহায়তায় তিনি নিজের সাম্রাজ্য ফিরে পেয়েছিলেন। কিন্তু এর মাত্র এক বছর পর তার মৃত্যু হয়।

হুমায়ুনের সমাধি দিল্লির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। এটি মুঘল স্থাপত্যের একটি অসাধারণ উদাহরণ এবং ভারতের প্রথম বাগান-সমাধি হিসেবে পরিচিত। এর নির্মাণ কাজ ১৫৬৫ সালে সম্রাট হুমায়ুনের প্রথম স্ত্রী বেগা বেগম (হাজি বেগম নামেও পরিচিত) শুরু করেন এবং এর স্থপতি ছিলেন পারস্যের মীরক মির্জা গিয়াস।

এই সমাধিটি মূলত লাল বেলেপাথর এবং সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি, আর এর স্থাপত্যে পারস্যের ‘চারবাগ’ (চার ভাগে বিভক্ত বাগান) এবং ভারতীয় শিল্পকলার এক চমৎকার সংমিশ্রণ দেখা যায়। এই সমাধির নকশা ও নির্মাণশৈলী পরবর্তীকালে বহু মুঘল স্থাপত্যকে প্রভাবিত করেছিল, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো আগ্রার বিশ্ববিখ্যাত তাজমহল, যা প্রায় এক শতাব্দী পরে নির্মিত হয়েছিল।

এটি কেবল হুমায়ুনের সমাধি নয়, এখানে মুঘল রাজবংশের প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি সদস্যের কবর রয়েছে, তাই একে ‘মুঘল রাজবংশের নেক্রোপলিস’ (সমাধিক্ষেত্র) বলা হয়। এর অসাধারণ ঐতিহাসিক ও স্থাপত্যিক গুরুত্বের কারণে এটি ১৯৯৩ সাল থেকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা লাভ করেছে।