ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণ, হত্যা, আত্মহত্যা : পোরশা, সাপাহার, রাণীনগরে তিন মরদেহ উদ্ধার

কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৯১ Time View

নওগাঁ : পোরশায় আমবাগানে পড়ে ছিল শিশু সুমাইয়ার মরদেহ।

নওগাঁর পোরশা, সাপাহার ও রাণীনগর থানা পুলিশ একই দিনে শিশুকন্যা, বৃদ্ধ ও যুবকের তিন মরদেহ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা, বৃদ্ধকে শ্বাসরোধ করে হত্যা আর যুবকটি পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এরা হলেন, পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের কুশারপাড়া চককিত্তলি গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (৯), সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিছলডাঙ্গা মলপাড়া গ্রামের মৃত আজির উদ্দীনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৭৩) ও রাণীনগর উপজেলার পারইল গ্রামের মোখলেছার রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (২৯)।

পোরশার শিশু সুমাইয়ার পারিবারিক সূত্র জানায়, সকালে সে মাদ্রাসা থেকে ফিরে অন্য শিশুদের সাথে খেলতে যায়। দুপুরেও বাড়ি ফিরে না আসলে খোঁজাখুজি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেফালী নামে এক গৃহবধূ বাড়ির পাশের আমবাগানে ঘাঁস কাটতে গিয়ে সেখানে শিশু সুমাইয়ার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশে খবর দেয়া হয়।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

সাপাহারের বৃদ্ধ নুরুল ইসলামের পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি আগের দিন ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হন। তাকে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে পিছলডাঙ্গা মলপাড়া খাড়িতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার ভাঁসমান মরদেহ দেখতে পান।

সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকান্ড। এই বৃদ্ধকে কেউ  শ্বাসরোধ করে হত্যা করে খাড়ির পানিতে ফেলে রেখে গেছে।

উল্লেখ্য, থানা পুলিশ এর মাত্র দুদিন আগে গত ৭ অক্টোবর উপজেলার লক্ষিপুর দরগাতলা আমবাগান থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেট কেটে ফেলা এক অজ্ঞাত বৃদ্ধর মরদেহ উদ্ধার করেছিল।

রাণীনগরের নিহত মেহেদী হাসানের দুলাভাই কামাল হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে মেহেদীর স্ত্রী গতকাল বাপের বাড়ি চলে গেলে রাতে মেহেদী তার ঘরে একাই শুয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ের আম গাছের ডালে গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

রাণীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবলু হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

ধর্ষণ, হত্যা, আত্মহত্যা : পোরশা, সাপাহার, রাণীনগরে তিন মরদেহ উদ্ধার

কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

নওগাঁর পোরশা, সাপাহার ও রাণীনগর থানা পুলিশ একই দিনে শিশুকন্যা, বৃদ্ধ ও যুবকের তিন মরদেহ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা, বৃদ্ধকে শ্বাসরোধ করে হত্যা আর যুবকটি পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এরা হলেন, পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের কুশারপাড়া চককিত্তলি গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (৯), সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিছলডাঙ্গা মলপাড়া গ্রামের মৃত আজির উদ্দীনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৭৩) ও রাণীনগর উপজেলার পারইল গ্রামের মোখলেছার রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (২৯)।

পোরশার শিশু সুমাইয়ার পারিবারিক সূত্র জানায়, সকালে সে মাদ্রাসা থেকে ফিরে অন্য শিশুদের সাথে খেলতে যায়। দুপুরেও বাড়ি ফিরে না আসলে খোঁজাখুজি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেফালী নামে এক গৃহবধূ বাড়ির পাশের আমবাগানে ঘাঁস কাটতে গিয়ে সেখানে শিশু সুমাইয়ার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশে খবর দেয়া হয়।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

সাপাহারের বৃদ্ধ নুরুল ইসলামের পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি আগের দিন ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হন। তাকে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে পিছলডাঙ্গা মলপাড়া খাড়িতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার ভাঁসমান মরদেহ দেখতে পান।

সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকান্ড। এই বৃদ্ধকে কেউ  শ্বাসরোধ করে হত্যা করে খাড়ির পানিতে ফেলে রেখে গেছে।

উল্লেখ্য, থানা পুলিশ এর মাত্র দুদিন আগে গত ৭ অক্টোবর উপজেলার লক্ষিপুর দরগাতলা আমবাগান থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেট কেটে ফেলা এক অজ্ঞাত বৃদ্ধর মরদেহ উদ্ধার করেছিল।

রাণীনগরের নিহত মেহেদী হাসানের দুলাভাই কামাল হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে মেহেদীর স্ত্রী গতকাল বাপের বাড়ি চলে গেলে রাতে মেহেদী তার ঘরে একাই শুয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ের আম গাছের ডালে গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

রাণীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবলু হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।