ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে নৌকা ডুবে কিশোরের মৃত্যু ফ্যাসিস্টদেরকে আমরা আর ফেরত চাই না : মির্জা ফখরুল আ.লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া প্রত্যেককে দেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার টাকা মিরপুরে আগুনে ১৬ জনের লাশ উদ্ধার, তল্লাশি চলছে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি এক ক্লিকে আদালতের রায় সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে: আইন উপদেষ্টা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার : ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ গড়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও বিএনপি : আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনার দিগন্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুইডেন ও নরওয়ের ৯ তরুণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎ

দেশ কোথায় যাচ্ছে, বিএনপিকে দেশটা বাঁচাতে হবে : ব্যারিস্টার শামীম

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০২:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৪৭ Time View

দেশ কোথায় যাচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতনের পর গণপরিষদ, সংবিধান, এটা করো, সেটা করো অনেক বিষয় সামনে আসছে। এগুলো তো তখন আন্দোলনে ছিল না। এগুলো পরে এনে একটা জটিল কুটিল একটা অবস্থা করা হচ্ছে, যেখান থেকে বের হয়ে আসা কঠিন।’

একটি আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার শামীম বলেন, ‘একটি ঐক্যমত কমিশন তৈরি করা হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে এর মুখ্য দায়িত্ব জটিলতা সৃষ্টি করা। জটিলতা কমিশন হয়ে যাচ্ছে। এখন যেটি দরকার, বাংলাদেশে একটা কেয়ারটেকার গভমেন্টের প্রভিশন চলে আসতেছে।

কেয়ারটেকার সরকারের প্রভিশন আসলে এই সরকার ভোট নিতে পারবে কিনা, সেটা নিয়ে একটা লিগ্যাল জুরিসপডেনশিয়াল ইভ্যাল্যুয়েশন দরকার।’ তিনি বলেন, ‘এই বর্তমান সরকার নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত কিনা, এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার কেয়ারটেকার সরকার ফিরে আসলে বর্তমান সরকারের আন্ডারে ভোটটা বৈধ হবে কিনা, এটাও একটা প্রশ্ন। যখন কেয়ারটেকার সরকারের বিষয়টি ছিল না তখন অন্তর্বর্তী সরকার ছিল।

যখন কেয়ারটেকার সরকার চলে আসলো তখন আপনাকে ভোটটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই করতে হবে। আর কোনো বিকল্প নাই।’ ‘আরেকটা হচ্ছে যদিও বিপ্লব পরবর্তী সময় অনেক এক্সেপশন মানা হয়; তবে সংবিধানে কোথাও ছয় মাসের কোনো এক্সেপশন নাই। ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন হতে হবে। এর বাইরে কোনো এক্সেপশন করা হয় নাই।

এটা তো এই সরকারকে বোঝা উচিত ছিল।’ তিনি বলেন, ‘দেশটা সিঙ্গাপুর করতে পারলে, মালয়েশিয়া করতে পারলে, হংকং করতে পারলে আপনি ২০ বছর ক্ষমতায় থাকেন, কোনো অসুবিধা নাই। যখন দেশটাকে আপনি পাকিস্তান করছেন, আফগানিস্তান করছেন, দেশের মানুষ সুখী না, সুশাসন নাই, তখন আপনাকে ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন দেওয়া উচিত ছিল এবং সেটা সবচেয়ে সেফ অ্যান্ড ডিগনিফাইড এক্সিট হতো।’

‘এখন তো এমন একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, এখান থেকে একটা পিসফুল ট্রানজিশন অলমোস্ট ইম্পসিবল হয়ে যাচ্ছে এবং এই অলমোস্ট ইম্পসিবল জিনিসটা কিভাবে পসিবল হবে? আমরা অন্তত রাজনীতিবিদরা তার কোনো ওয়ে আউট দেখি না। সেক্ষেত্রে বিএনপির ওপর অনেক বড় দায়িত্ব। বিএনপিকে দেশটা বাঁচাতে হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

দেশ কোথায় যাচ্ছে, বিএনপিকে দেশটা বাঁচাতে হবে : ব্যারিস্টার শামীম

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ০২:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

দেশ কোথায় যাচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতনের পর গণপরিষদ, সংবিধান, এটা করো, সেটা করো অনেক বিষয় সামনে আসছে। এগুলো তো তখন আন্দোলনে ছিল না। এগুলো পরে এনে একটা জটিল কুটিল একটা অবস্থা করা হচ্ছে, যেখান থেকে বের হয়ে আসা কঠিন।’

একটি আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার শামীম বলেন, ‘একটি ঐক্যমত কমিশন তৈরি করা হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে এর মুখ্য দায়িত্ব জটিলতা সৃষ্টি করা। জটিলতা কমিশন হয়ে যাচ্ছে। এখন যেটি দরকার, বাংলাদেশে একটা কেয়ারটেকার গভমেন্টের প্রভিশন চলে আসতেছে।

কেয়ারটেকার সরকারের প্রভিশন আসলে এই সরকার ভোট নিতে পারবে কিনা, সেটা নিয়ে একটা লিগ্যাল জুরিসপডেনশিয়াল ইভ্যাল্যুয়েশন দরকার।’ তিনি বলেন, ‘এই বর্তমান সরকার নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত কিনা, এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার কেয়ারটেকার সরকার ফিরে আসলে বর্তমান সরকারের আন্ডারে ভোটটা বৈধ হবে কিনা, এটাও একটা প্রশ্ন। যখন কেয়ারটেকার সরকারের বিষয়টি ছিল না তখন অন্তর্বর্তী সরকার ছিল।

যখন কেয়ারটেকার সরকার চলে আসলো তখন আপনাকে ভোটটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই করতে হবে। আর কোনো বিকল্প নাই।’ ‘আরেকটা হচ্ছে যদিও বিপ্লব পরবর্তী সময় অনেক এক্সেপশন মানা হয়; তবে সংবিধানে কোথাও ছয় মাসের কোনো এক্সেপশন নাই। ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন হতে হবে। এর বাইরে কোনো এক্সেপশন করা হয় নাই।

এটা তো এই সরকারকে বোঝা উচিত ছিল।’ তিনি বলেন, ‘দেশটা সিঙ্গাপুর করতে পারলে, মালয়েশিয়া করতে পারলে, হংকং করতে পারলে আপনি ২০ বছর ক্ষমতায় থাকেন, কোনো অসুবিধা নাই। যখন দেশটাকে আপনি পাকিস্তান করছেন, আফগানিস্তান করছেন, দেশের মানুষ সুখী না, সুশাসন নাই, তখন আপনাকে ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন দেওয়া উচিত ছিল এবং সেটা সবচেয়ে সেফ অ্যান্ড ডিগনিফাইড এক্সিট হতো।’

‘এখন তো এমন একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, এখান থেকে একটা পিসফুল ট্রানজিশন অলমোস্ট ইম্পসিবল হয়ে যাচ্ছে এবং এই অলমোস্ট ইম্পসিবল জিনিসটা কিভাবে পসিবল হবে? আমরা অন্তত রাজনীতিবিদরা তার কোনো ওয়ে আউট দেখি না। সেক্ষেত্রে বিএনপির ওপর অনেক বড় দায়িত্ব। বিএনপিকে দেশটা বাঁচাতে হবে।’