ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে ফিরল দ্বীপের মরদেহ, ভোরে আসবে সিলেটে

সিলেট প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:২৪:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৬১ Time View

উচ্চ শিক্ষায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর থেকে দেশে ফেরার জন্য চটফট করছিলেন দ্বীপ। অবশেষে দেশে ফিরলেন তিনি। তবে ফিরলেন নিথর দেহে। কফিনবন্দি হয়ে।মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মালয়েশিয়ায় কুয়ালালমপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর দীপঙ্কর দাস দ্বীপের মরদেহ।

এ তথ্য জানিয়ে দ্বীপের চাচাতো ভাই দেবব্রত দাস দেবু জানান, বিমানবন্দর থেকে দ্বীপের মরদেহ আমরা গ্রহণ করেছি। কিছুক্ষণ পর মরদেহ নিয়ে এসেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবো। সিলেটের গোপালটিলা এলাকায় কিছুক্ষণ রাখার পর মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবলে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি বলেন, মরতেহ সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুড়িতে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পা ছিলো আমাদের। তবে সিলেটে দ্বীপের বন্ধু শুভানুধ্যায়ীদের অনুরোধের তাদের একনজর দেখার সুবিধার্থে কিছুক্ষণের জন্য সিলেট আনা হচ্ছে। বুধবার দিনে গ্রামের বাড়িতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। রাতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দ্বীপের মরদেহ দেশে আসে। মরদেহ আনতে দ্বীপের স্বজনরা বিকেলেই ঢাকায় পৌছেন। এরআগে মঙ্গলবার দিনে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দ্বীপের মরদেহ দেশে আসার কথা থাকলেও ফ্লাইটজনিত জটিলতায় শেষ মূহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়।

মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে গত ১২ নভেম্বর (বুধবার) ভোরে মারা যান একুশ বছরের তরুণ দ্বীপ।উচ্চ শিক্ষার জন্য গত মাসেই মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন সিলেটের গোপালটিলার বাসিন্দা দ্বীপ।দ্বীপের আকস্মিক মৃত্যুতে সিলেটজুড়েই শোকের ছায়া বইছে। তার স্বজন-বন্ধুদের পাশপাশি সাধারণ মানুষজনও দ্বীপের এমন মৃত্যুতে আফসোস করছেন। পাশপাশি সকলেরই প্রশ্ন ছিলো কবে দেশে ফিরবে দ্বীপের মরদেহ।দ্বীপের পরিবার সিলেটের গোপালটিলায় থাকেন। তবে তাদের মূল বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবলের পুটিজুড়িতে ।

তার বাবা দিব্যোজ্যোতি দাস। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় দ্বীপ।দ্বীপের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দিবাগত রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে বুধবার ভোর ৫ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দ্বীপ। দ্বীপ ফেসবুকে পারিবারিক বিভিন্ন ইস্যুতে হাস্যরসাত্মক কনটেন্ট তৈরি করতেন। তাতে দ্বীপের সাথে তার মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও অংশ নিতে দেখা যেতো। হাস্যরসাত্মক এসব ভিডিও করে জনপ্রিয়তা পান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

দেশে ফিরল দ্বীপের মরদেহ, ভোরে আসবে সিলেটে

সিলেট প্রতিনিধি
Update Time : ১২:২৪:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

উচ্চ শিক্ষায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর থেকে দেশে ফেরার জন্য চটফট করছিলেন দ্বীপ। অবশেষে দেশে ফিরলেন তিনি। তবে ফিরলেন নিথর দেহে। কফিনবন্দি হয়ে।মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মালয়েশিয়ায় কুয়ালালমপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর দীপঙ্কর দাস দ্বীপের মরদেহ।

এ তথ্য জানিয়ে দ্বীপের চাচাতো ভাই দেবব্রত দাস দেবু জানান, বিমানবন্দর থেকে দ্বীপের মরদেহ আমরা গ্রহণ করেছি। কিছুক্ষণ পর মরদেহ নিয়ে এসেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবো। সিলেটের গোপালটিলা এলাকায় কিছুক্ষণ রাখার পর মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবলে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি বলেন, মরতেহ সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুড়িতে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পা ছিলো আমাদের। তবে সিলেটে দ্বীপের বন্ধু শুভানুধ্যায়ীদের অনুরোধের তাদের একনজর দেখার সুবিধার্থে কিছুক্ষণের জন্য সিলেট আনা হচ্ছে। বুধবার দিনে গ্রামের বাড়িতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। রাতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দ্বীপের মরদেহ দেশে আসে। মরদেহ আনতে দ্বীপের স্বজনরা বিকেলেই ঢাকায় পৌছেন। এরআগে মঙ্গলবার দিনে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দ্বীপের মরদেহ দেশে আসার কথা থাকলেও ফ্লাইটজনিত জটিলতায় শেষ মূহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়।

মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে গত ১২ নভেম্বর (বুধবার) ভোরে মারা যান একুশ বছরের তরুণ দ্বীপ।উচ্চ শিক্ষার জন্য গত মাসেই মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন সিলেটের গোপালটিলার বাসিন্দা দ্বীপ।দ্বীপের আকস্মিক মৃত্যুতে সিলেটজুড়েই শোকের ছায়া বইছে। তার স্বজন-বন্ধুদের পাশপাশি সাধারণ মানুষজনও দ্বীপের এমন মৃত্যুতে আফসোস করছেন। পাশপাশি সকলেরই প্রশ্ন ছিলো কবে দেশে ফিরবে দ্বীপের মরদেহ।দ্বীপের পরিবার সিলেটের গোপালটিলায় থাকেন। তবে তাদের মূল বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবলের পুটিজুড়িতে ।

তার বাবা দিব্যোজ্যোতি দাস। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় দ্বীপ।দ্বীপের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দিবাগত রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে বুধবার ভোর ৫ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দ্বীপ। দ্বীপ ফেসবুকে পারিবারিক বিভিন্ন ইস্যুতে হাস্যরসাত্মক কনটেন্ট তৈরি করতেন। তাতে দ্বীপের সাথে তার মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও অংশ নিতে দেখা যেতো। হাস্যরসাত্মক এসব ভিডিও করে জনপ্রিয়তা পান তিনি।