ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা শুরু বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হচ্ছে, নিরাপত্তা জোরদার ঢাকা প্রেস ক্লাব নির্বাচনে সভাপতি শাহীন, সম্পাদক বাচ্চু মার্কিন হামলার আশঙ্কায় ভেনেজুয়েলাজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ভারতে নিরবচ্ছিন্ন তেল সরবরাহে প্রস্তুত রাশিয়া : পুতিন খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, বন্ধ করা গেছে পাকস্থলির রক্তক্ষরণ গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনে নিরলস সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে: তারেক রহমান ৮ দলের নয়, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই : জামায়াত আমির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত বেগম জিয়ার অসুস্থতার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই

দেশে ছোলার আমদানি বাড়লেও ঊর্ধ্বমুখী দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৩৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৬৬২ Time View

রমজানের অন্যতম একটি পণ্য ছোলা। ইফতারে ছোলার ব্যবহার সর্বত্র। আর এ সুযোগকে কাজে লাগাতে রমজান ঘিরে ছোলাতে থাবা বসিয়েছে সিন্ডিকেট।

ফলে আমদানি বাড়লেও বাজারে ছোলার দাম ঊর্ধমুখী। অথচ গত এক মাসে দেশে সব ডালজাতীয় পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমেছে। কিন্তু ছোলার বাজারে এখনো স্থিতিশীলতায় ফেরেনি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি হওয়া ছোলা পাইকারিতে ৯৭-১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর রোজায় দেশের বাজারে প্রতি কেজি ছোলার দাম ৭৫-৮৫ টাকা ছিলো।

ব্যবসায়ীদের মতে, বাজারে ছোলার পর্যাপ্ত আমদানি হচ্ছে। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো দাম না কমানোয় বাজারে পড়েনি এর প্রভাব। পাশাপাশি দাম বাড়ার উল্লেখযোগ্য একটি কারণ রোজা শুরুর আগেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রয়াদেশ আসতে শুরু করা। ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আমদানিকারকরা বিশ্ববাজার থেকে কম দামে ছোলা সংগ্রহ করছে। কিন্তু আমদানির সঙ্গে মুষ্টিমেয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমান বৈশ্বিক বাজারের হিসাবে প্রতি টন ছোলার বুকিং দর ৬৫০-৬৭০ ডলার। বর্তমান ডলার মূল্যের হিসাবে তা দেশে কেজিতে ৮৫-৯০ টাকা হওয়ার কথা। মৌসুমভিত্তিক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও মুষ্টিমেয় কয়েকটি ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের মজুদ প্রবণতার কারণে রোজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্যটির দামে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। অস্ট্রেলিয়া থেকেই সবচেয়ে বেশি ছোলা আমদানি হয়।

তাছাড়া বর্তমানে তাঞ্জানিয়ার ছোলা ভারত হয়ে দেশে আসছে। একেএস, আকিজ, সিটি, নাবিলসহ বেশ কয়েকটি শিল্প গ্রুপ ছোলা আমদানি করেছে।

সূত্র জানায়, ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান ও বড় পাইকারি ব্যবসায়ীরা আমদানিকারকদের কাছ থেকে ছোলা কিনে বাজার চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করে। দেশে মাসভিত্তিক ছোলার চাহিদা গড়ে ১২-১৫ হাজার টন। তবে রমজান মাসে চাহিদা ৮-১০ গুণ বেড়ে যায়। ওই কারণে প্রায় প্রতি বছরই পণ্যটির বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে বাজারে ব্যবসায়িক মুনাফার প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ডাবলি বা অ্যাংকরের দাম ৫৭-৫৮ টাকায় নেমে এসেছে। সাধারণত ডাবলির সঙ্গে ছোলার দামের প্রায় ২০ টাকা পার্থক্য থাকে। বর্তমানে তা প্রায় ৪০ টাকায় পৌঁছেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ছোলা গত বছরের তুলনায় ১৫-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

দেশে ছোলার আমদানি বাড়লেও ঊর্ধ্বমুখী দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০২:৩৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানের অন্যতম একটি পণ্য ছোলা। ইফতারে ছোলার ব্যবহার সর্বত্র। আর এ সুযোগকে কাজে লাগাতে রমজান ঘিরে ছোলাতে থাবা বসিয়েছে সিন্ডিকেট।

ফলে আমদানি বাড়লেও বাজারে ছোলার দাম ঊর্ধমুখী। অথচ গত এক মাসে দেশে সব ডালজাতীয় পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমেছে। কিন্তু ছোলার বাজারে এখনো স্থিতিশীলতায় ফেরেনি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি হওয়া ছোলা পাইকারিতে ৯৭-১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর রোজায় দেশের বাজারে প্রতি কেজি ছোলার দাম ৭৫-৮৫ টাকা ছিলো।

ব্যবসায়ীদের মতে, বাজারে ছোলার পর্যাপ্ত আমদানি হচ্ছে। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো দাম না কমানোয় বাজারে পড়েনি এর প্রভাব। পাশাপাশি দাম বাড়ার উল্লেখযোগ্য একটি কারণ রোজা শুরুর আগেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রয়াদেশ আসতে শুরু করা। ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আমদানিকারকরা বিশ্ববাজার থেকে কম দামে ছোলা সংগ্রহ করছে। কিন্তু আমদানির সঙ্গে মুষ্টিমেয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমান বৈশ্বিক বাজারের হিসাবে প্রতি টন ছোলার বুকিং দর ৬৫০-৬৭০ ডলার। বর্তমান ডলার মূল্যের হিসাবে তা দেশে কেজিতে ৮৫-৯০ টাকা হওয়ার কথা। মৌসুমভিত্তিক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও মুষ্টিমেয় কয়েকটি ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের মজুদ প্রবণতার কারণে রোজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্যটির দামে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। অস্ট্রেলিয়া থেকেই সবচেয়ে বেশি ছোলা আমদানি হয়।

তাছাড়া বর্তমানে তাঞ্জানিয়ার ছোলা ভারত হয়ে দেশে আসছে। একেএস, আকিজ, সিটি, নাবিলসহ বেশ কয়েকটি শিল্প গ্রুপ ছোলা আমদানি করেছে।

সূত্র জানায়, ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান ও বড় পাইকারি ব্যবসায়ীরা আমদানিকারকদের কাছ থেকে ছোলা কিনে বাজার চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করে। দেশে মাসভিত্তিক ছোলার চাহিদা গড়ে ১২-১৫ হাজার টন। তবে রমজান মাসে চাহিদা ৮-১০ গুণ বেড়ে যায়। ওই কারণে প্রায় প্রতি বছরই পণ্যটির বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে বাজারে ব্যবসায়িক মুনাফার প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ডাবলি বা অ্যাংকরের দাম ৫৭-৫৮ টাকায় নেমে এসেছে। সাধারণত ডাবলির সঙ্গে ছোলার দামের প্রায় ২০ টাকা পার্থক্য থাকে। বর্তমানে তা প্রায় ৪০ টাকায় পৌঁছেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ছোলা গত বছরের তুলনায় ১৫-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।