ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশীয় গরুর জাত সংরক্ষণে জোর, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির আহ্বান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:১০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪৪২ Time View

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

দেশীয় গরুর জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দেশীয় গরুর জাতগুলো দীর্ঘদিন ধরে প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে টিকে আছে। এসব জাতের অনন্য জেনেটিক বৈশিষ্ট্য ভবিষ্যতের টেকসই প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘স্কেলিং-আপ লাইভস্টক ক্লাইমেট অ্যাকশনস টু এনহান্স ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস–ফেজ ২’ শীর্ষক জাতীয় স্টেকহোল্ডার ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “দেশীয় গরুর জাত জলবায়ু সহনশীল এবং স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে মানানসই। শুধুমাত্র সংকর জাতের ওপর নির্ভরশীল হলে ভবিষ্যতে প্রাণিসম্পদ খাত ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই দেশীয় জাতগুলো সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “উন্নত দেশগুলোর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী। অথচ জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকেও অনেক সময় অন্যায়ভাবে দোষারোপ করা হয়। এজন্য সেক্টরভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ, প্রতিবেদন ও যাচাইকরণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, এবং এফএও-এর প্রাণিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ জ্যাঁ দে দ্যু আয়াবাগাবো।

স্বাগত বক্তব্য দেন এফএও-এর ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. খান শহিদুল হক। এসময় ‘দুগ্ধ ও গরুর মাংস উৎপাদন ব্যবস্থায় গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসে এলডিডিপি প্রকল্পের অর্জন ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা’ বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের উপ-পরিচালক ড. শাকিফ-উল-আজম।

কর্মশালায় সরকার, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

দেশীয় গরুর জাত সংরক্ষণে জোর, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির আহ্বান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১০:১০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

দেশীয় গরুর জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দেশীয় গরুর জাতগুলো দীর্ঘদিন ধরে প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে টিকে আছে। এসব জাতের অনন্য জেনেটিক বৈশিষ্ট্য ভবিষ্যতের টেকসই প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘স্কেলিং-আপ লাইভস্টক ক্লাইমেট অ্যাকশনস টু এনহান্স ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস–ফেজ ২’ শীর্ষক জাতীয় স্টেকহোল্ডার ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “দেশীয় গরুর জাত জলবায়ু সহনশীল এবং স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে মানানসই। শুধুমাত্র সংকর জাতের ওপর নির্ভরশীল হলে ভবিষ্যতে প্রাণিসম্পদ খাত ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই দেশীয় জাতগুলো সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “উন্নত দেশগুলোর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী। অথচ জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকেও অনেক সময় অন্যায়ভাবে দোষারোপ করা হয়। এজন্য সেক্টরভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ, প্রতিবেদন ও যাচাইকরণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, এবং এফএও-এর প্রাণিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ জ্যাঁ দে দ্যু আয়াবাগাবো।

স্বাগত বক্তব্য দেন এফএও-এর ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. খান শহিদুল হক। এসময় ‘দুগ্ধ ও গরুর মাংস উৎপাদন ব্যবস্থায় গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসে এলডিডিপি প্রকল্পের অর্জন ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা’ বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের উপ-পরিচালক ড. শাকিফ-উল-আজম।

কর্মশালায় সরকার, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।