ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
‘সাংবাদিকদের টাকা-মোবাইল দেয় শিক্ষকরা’- কুবি উপাচার্য বাগছাস থেকে ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’, নাম পরিবর্তনের কারণ কী সাগরে ফের লঘুচাপ, বৃষ্টির বার্তা পদত্যাগের গুঞ্জন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর, কী বলছে এনসিপি যাত্রীবাহী বাসে সুপারভাইজারের ইয়াবা পাচার,অতঃপর বিনা শর্তে মাফ চাইলাম, তারপরও বাকি থাকল কোনটা বুঝি না: জামায়াত আমির লালবাগে রিয়াজ উদ্দিন মনির সমর্থনে র‍্যালি রায় ছিঁড়ে পছন্দের বিচারকের কাছে পুন: বিচারের জন্য পাঠালেন শরীয়তপুরের জেলা জজ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও র‍্যালি ব্যর্থ প্রশাসনের প্রতীক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

দুর্ঘটনায় ছেলে সহ অন্তঃসত্ত্বা রেশমার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের মাতম

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০২:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৯৫ Time View

বিয়ের আনন্দ বিষাদে পরিণত হলো রেশমার পরিবারে। অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন রেশমা আক্তার। বয়স ২৮। ৬ বছর বয়সি ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে আসছিলেন মাদারীপুরের ডাসারে। তবে তাদের আর বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া হয়নি। মাওয়ায় টোল প্লাজায় শুক্রবার দুপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় রেশমা তার ছেলেসহ নিহত হন। একই সাথে রেশমার অনাগত সন্তানও মারা গেছে।

এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পুয়ালী গ্রামে।

এ ঘটনায় শোকে মাতম বিয়ে বাড়িতে। যাদের অবহেলায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও স্থানীয়রা।

জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পুয়ালী গ্রামের মালেক ঘরামির বাড়িতে চলছিল বিয়ের আয়োজন। ছোট মেয়ে পুতুল আক্তারের বিয়ের দিন ছিল শুক্রবার। পুতুলের সাথে পাশেরই মাইজপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের বিয়ের দিন ধার্য হয়। আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী সবাইকে বিয়ের দাওয়াতও দেওয়া হয়। দাওয়াতে আসার জন্য মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন স্বামী, সন্তানসহ রেশমা। তবে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দেওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রেশমার স্বামী। পেছন থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস দ্রুত চাপা দেয় মোটরসাইকেলটিকে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় রেশমার ছেলে আব্দুল্লাহ। উদ্ধার করে রেশমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা রেশমা অনাগত সন্তানসহ মারা যান। এই খবর বাড়িতে পৌঁছলে শোকের ছায়া নেমে আসে নিহতের পরিবারে। এ ঘটনায় মুহূর্তেই বিয়ের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে। যাদের অবহেলায় দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের বিচার চাইছেন রেশমার বোনও।

রেশমার বোন পুতুল আক্তার বলেন, ‘আমাদের পাঁচ বোনের কথা ছিল এক সাথে আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিবে। সে জন্যেই তিনি বাড়িতে আসছিলেন। কিন্তু তিনি আর আসতে পারলেন না, আসলো তার নিথর দেহ। সাথে আমার ছোট ভাগিনা আর অনাগত সন্তানও হত্যা হলো। এভাবে আর কত প্রাণ গেলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল কমবে। আমি দোষী ওই বাসের চালক, হেলপার আর মালিকের বিচার দাবি করছি।’

অনাগত সন্তানসহ দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় বেঁচে যাওয়া রেশমার স্বামী দিশেহারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি এ ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি টোলে টাকা দিতে ছিলাম। এসময় পেছন থেকে একটি বাস এসে আমার স্ত্রী ও সন্তানকে চাপা দিয়ে টেনে নিয়ে যায়। আমি চোখের সামনে দেখলেও কিছু করতে পারেনি। আমার পুরো পরিবারকে শেষ করে দিলো ঘাতক বাসের চালক। আমি ওদের ফাঁসি চাই। ’

Please Share This Post in Your Social Media

দুর্ঘটনায় ছেলে সহ অন্তঃসত্ত্বা রেশমার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের মাতম

অনলাইন ডেস্ক
Update Time : ০২:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বিয়ের আনন্দ বিষাদে পরিণত হলো রেশমার পরিবারে। অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন রেশমা আক্তার। বয়স ২৮। ৬ বছর বয়সি ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে আসছিলেন মাদারীপুরের ডাসারে। তবে তাদের আর বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া হয়নি। মাওয়ায় টোল প্লাজায় শুক্রবার দুপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় রেশমা তার ছেলেসহ নিহত হন। একই সাথে রেশমার অনাগত সন্তানও মারা গেছে।

এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পুয়ালী গ্রামে।

এ ঘটনায় শোকে মাতম বিয়ে বাড়িতে। যাদের অবহেলায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও স্থানীয়রা।

জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পুয়ালী গ্রামের মালেক ঘরামির বাড়িতে চলছিল বিয়ের আয়োজন। ছোট মেয়ে পুতুল আক্তারের বিয়ের দিন ছিল শুক্রবার। পুতুলের সাথে পাশেরই মাইজপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের বিয়ের দিন ধার্য হয়। আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী সবাইকে বিয়ের দাওয়াতও দেওয়া হয়। দাওয়াতে আসার জন্য মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন স্বামী, সন্তানসহ রেশমা। তবে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দেওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রেশমার স্বামী। পেছন থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস দ্রুত চাপা দেয় মোটরসাইকেলটিকে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় রেশমার ছেলে আব্দুল্লাহ। উদ্ধার করে রেশমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা রেশমা অনাগত সন্তানসহ মারা যান। এই খবর বাড়িতে পৌঁছলে শোকের ছায়া নেমে আসে নিহতের পরিবারে। এ ঘটনায় মুহূর্তেই বিয়ের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে। যাদের অবহেলায় দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের বিচার চাইছেন রেশমার বোনও।

রেশমার বোন পুতুল আক্তার বলেন, ‘আমাদের পাঁচ বোনের কথা ছিল এক সাথে আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিবে। সে জন্যেই তিনি বাড়িতে আসছিলেন। কিন্তু তিনি আর আসতে পারলেন না, আসলো তার নিথর দেহ। সাথে আমার ছোট ভাগিনা আর অনাগত সন্তানও হত্যা হলো। এভাবে আর কত প্রাণ গেলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল কমবে। আমি দোষী ওই বাসের চালক, হেলপার আর মালিকের বিচার দাবি করছি।’

অনাগত সন্তানসহ দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় বেঁচে যাওয়া রেশমার স্বামী দিশেহারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি এ ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি টোলে টাকা দিতে ছিলাম। এসময় পেছন থেকে একটি বাস এসে আমার স্ত্রী ও সন্তানকে চাপা দিয়ে টেনে নিয়ে যায়। আমি চোখের সামনে দেখলেও কিছু করতে পারেনি। আমার পুরো পরিবারকে শেষ করে দিলো ঘাতক বাসের চালক। আমি ওদের ফাঁসি চাই। ’