দুদকের কাজ নিয়ে কোনো ধরনের চাপ নেইঃ আবদুল মোমেন
- Update Time : ০৬:২৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
- / ৭০ Time View
সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তথ্য গোপন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় শেখ হাসিনা কৃষি সম্পত্তি ৫ দশমিক ২ একর দেখিয়েছেন। দুদকের অনুসন্ধানে ২৯ একরের সন্ধান মিলে। দুদক বিষয়টি নিয়ে কাজ করলেও মনোনয়ন বাতিলের কাজ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে দুদকের বিভাগীয় কার্যালয়ের ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দুুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের কাজ নিয়ে কোনো ধরনের চাপ নেই। তবে, নানা সীমাবদ্ধতা আছে। তিনি বলেন, দুদকে তার সহকর্মীরা অনেক দুর্নীতির তথ্য চাপা দেয়, গণমাধ্যম তা করে না।মোহাম্মদ আবদুল মোমেন আরও বলেন, যে দলেরই হোক সৎ লোককে নির্বাচিত করতে হবে। কে কোন দল করে, সেটা বড় ব্যাপার না। দেখতে হবে লোকটা সৎ কি না? দুদকের মামলার আসামি হতে পারে, এমন লোককে গ্রহণ করলে বিগত সময়ের মতোই পরিণতি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রার্থীরা হলফনামায় দেশি বিদেশি আয়ের হিসেব দিতে হয়। কেউ গোপন করলে, তা খুঁজে বের করে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপনের জন্য গণমাধ্যমকে আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, দুদক বিচারকারী না। দুদকের দায়িত্ব মামলার তথ্য উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন আর বিচারের দায়িত্ব আদালতের।
এদিকে,সিলেটের রিকাবিবাজার কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে আজ রোববার সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ এই শ্লোগানে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর-সংস্থাসমূহে সেবার মান বৃদ্ধি, সেবাগ্রহিতাদের হয়রানি রোধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুদকের সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয় গণশুনানির আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ডক্টর মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এবং দুদক সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম। সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সারওয়ার আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীসহ সেবা গ্রহিতারা উপস্থিত ছিলেন।
শুনানী কালে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরা হলে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং অনেক অভিযোগের নিষ্পপ্তিও হয়। সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই গণশুনানির মূল লক্ষ্য। শুনানি সফল করতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সিলেট জেলার সকল নাগরিক এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়






































































































































































































