ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

দুই মাসের মধ্যেই মারা যেতে পারেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৩৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / ১১৩ Time View

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশের পর তাকে ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন (মেগা) প্রচারণার প্রভাবশালী মুখ লরা লুমার।

তিনি দাবি করেছেন, ‘বাইডেন টার্মিনাল ক্যানসারে আক্রান্ত এবং তিনি আগামী দুই মাসের মধ্যেই মারা যেতে পারেন।’

ওয়াশিংটন পোস্টের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া, জি-নিউজ ও এনডিটিভির প্রতিবেদনেও লুমারের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে।

লুমার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একাধিক পোস্টে দাবি করেন, ‘আমি গত জুলাইয়েই বলেছিলাম বাইডেন টার্মিনাল ক্যানসারে আক্রান্ত। এখন তা প্রমাণিত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতির বিষয়ে সঠিক ছিলাম। বাইডেন যখন মারা যাবেন, তখনও প্রমাণ হবে আমি ঠিক ছিলাম। অনেকেই আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা পাওনা রেখেছে।’

নিজের পূর্ববর্তী বক্তব্যকে জোরদার করতে লুমার ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দেওয়া একটি পুরোনো পোস্টও শেয়ার করেন। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, ‘বাইডেন মারা যাচ্ছেন।’ ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘জো বাইডেনের ভাই ফ্র্যাঙ্ক বাইডেন একসময় ভুলবশত মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট টার্মিনাল ক্যানসারে ভুগছেন। এখন সেই কথাই সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে।’

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত

তিনি আরও একটি ২০২২ সালের ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে বাইডেন বলেছিলেন, আমার ক্যানসার আছে। যদিও সে সময় হোয়াইট হাউস বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট অতীতে ত্বকের ক্যানসারে ভুগেছিলেন, যা প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই অপসারণ করা হয়েছিল।

লুমার পুরো বিষয়টিকে হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি বলে অভিহিত করেছেন। তার দাবি, বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় পুরো সময়জুড়েই ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন, তবে প্রশাসন তা চেপে গিয়েছিল।

প্রতিবেদনের শেষদিকে লুমার বলেন, অনেকে চাইছেন বাইডেন সুস্থ হয়ে উঠুন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তিনি আর সেরে উঠবেন না। আমাদের উচিত এখন বাস্তবতা মেনে নিয়ে এই বিষয়টি নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করা।

Please Share This Post in Your Social Media

দুই মাসের মধ্যেই মারা যেতে পারেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৫:৩৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশের পর তাকে ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন (মেগা) প্রচারণার প্রভাবশালী মুখ লরা লুমার।

তিনি দাবি করেছেন, ‘বাইডেন টার্মিনাল ক্যানসারে আক্রান্ত এবং তিনি আগামী দুই মাসের মধ্যেই মারা যেতে পারেন।’

ওয়াশিংটন পোস্টের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া, জি-নিউজ ও এনডিটিভির প্রতিবেদনেও লুমারের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে।

লুমার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একাধিক পোস্টে দাবি করেন, ‘আমি গত জুলাইয়েই বলেছিলাম বাইডেন টার্মিনাল ক্যানসারে আক্রান্ত। এখন তা প্রমাণিত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতির বিষয়ে সঠিক ছিলাম। বাইডেন যখন মারা যাবেন, তখনও প্রমাণ হবে আমি ঠিক ছিলাম। অনেকেই আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা পাওনা রেখেছে।’

নিজের পূর্ববর্তী বক্তব্যকে জোরদার করতে লুমার ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দেওয়া একটি পুরোনো পোস্টও শেয়ার করেন। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, ‘বাইডেন মারা যাচ্ছেন।’ ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘জো বাইডেনের ভাই ফ্র্যাঙ্ক বাইডেন একসময় ভুলবশত মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট টার্মিনাল ক্যানসারে ভুগছেন। এখন সেই কথাই সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে।’

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত

তিনি আরও একটি ২০২২ সালের ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে বাইডেন বলেছিলেন, আমার ক্যানসার আছে। যদিও সে সময় হোয়াইট হাউস বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট অতীতে ত্বকের ক্যানসারে ভুগেছিলেন, যা প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই অপসারণ করা হয়েছিল।

লুমার পুরো বিষয়টিকে হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি বলে অভিহিত করেছেন। তার দাবি, বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় পুরো সময়জুড়েই ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন, তবে প্রশাসন তা চেপে গিয়েছিল।

প্রতিবেদনের শেষদিকে লুমার বলেন, অনেকে চাইছেন বাইডেন সুস্থ হয়ে উঠুন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তিনি আর সেরে উঠবেন না। আমাদের উচিত এখন বাস্তবতা মেনে নিয়ে এই বিষয়টি নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করা।