ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনে সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা রাতে পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর
  • Update Time : ০৪:৪১:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৫০ Time View

রংপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সংখ্যালঘু পরিবারকে দিনদুপুরে সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিটসহ রাতের আঁধারে তাদের পুকুরে কিট নাশক প্রয়োগ করে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে।

এঘটনায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই সংখ্যালঘু পরিবারের ৪জন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গংগাচড়া উপজেলার নোহালী কচুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া সরকার পাড়া গ্রামে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, (১লা আগষ্ট বৃহস্পতিবার) দুপুরে ওই এলাকার বাসিন্দা সুধির চন্দ্র দাসের ছেলে সুখদীপ ও খিতিস চন্দ্র রায়ের মাছ চাষকৃত পুকুরে একই এলাকার বাসিন্দা মৃত খরকু মিয়ার ছেলে মোখলেছার রহমান কালটু মাছ ধরেন।

এনিয়ে খিতিস চন্দ্র ও তার স্ত্রী পুস্পা রানীর সাথে বাক-বিতণ্ডা হয়। এরই এক পর্যায়ে কালটু মিয়া তার ভাই লেবু মিয়াসহ মৃত মজিবর রহমান এর ছেলে সুজা মিয়া, মাহাবুল মিয়া ও মৃত মাসুম আলীর ছেলে নাজমুলসহ তাদের পরিবারের আরো অনেকে মিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ওই সংখ্যালঘু পরিবারের ৪ জন পুস্পা রানী,সুখদীপ রায়, পর্শুরাম ও রিক্তা রানী গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ নং ও ১৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে যে পুকুরে মাছ মারা নিয়ে গন্ডগোল হওয়া সেই পুকুরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিষ ঢেলে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে কাল্টু মিয়ার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা প্রতিবেদককে বলেন, আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বলেই ওই এলাকার কালটু মিয়ার লোকজন আমাদের উপর জুলুম নির্যাতন চালায়, আমাদের মানুষে মনে করেনা তারা। তারা আমাদের পুকুরে মাছ মারলো, আমাদের পরিবারকে কুপিয়ে জখম করলো, আবার ওই পুকুরে বিষ ঢেলে দিয়ে মাছ নিধন করলো। আবার উল্টো তারাই মামলা মোকদ্দমা না করার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে ।

তবে এবিষয়ে প্রতিপক্ষ কালটু মিয়ার লোকজন গন্ডগোলের কথা স্বীকার করলেও পুকুরে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এবিষয়ে স্থানীয় মুদি দোকানদার মাহামুদুল ও মহব্বত আলী বলেন, আমরা স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার জন্য আলোচনা করছি।

তবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে গংগাচড়া মডেল থানায় কোনো অভিযোগ দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে

খিতিস চন্দ্র রায় বলেন, আমার স্ত্রী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। থানায় অ‌ভি‌যো‌গ ক‌রায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

Please Share This Post in Your Social Media

দিনে সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা রাতে পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর
Update Time : ০৪:৪১:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

রংপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সংখ্যালঘু পরিবারকে দিনদুপুরে সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিটসহ রাতের আঁধারে তাদের পুকুরে কিট নাশক প্রয়োগ করে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে।

এঘটনায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই সংখ্যালঘু পরিবারের ৪জন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গংগাচড়া উপজেলার নোহালী কচুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া সরকার পাড়া গ্রামে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, (১লা আগষ্ট বৃহস্পতিবার) দুপুরে ওই এলাকার বাসিন্দা সুধির চন্দ্র দাসের ছেলে সুখদীপ ও খিতিস চন্দ্র রায়ের মাছ চাষকৃত পুকুরে একই এলাকার বাসিন্দা মৃত খরকু মিয়ার ছেলে মোখলেছার রহমান কালটু মাছ ধরেন।

এনিয়ে খিতিস চন্দ্র ও তার স্ত্রী পুস্পা রানীর সাথে বাক-বিতণ্ডা হয়। এরই এক পর্যায়ে কালটু মিয়া তার ভাই লেবু মিয়াসহ মৃত মজিবর রহমান এর ছেলে সুজা মিয়া, মাহাবুল মিয়া ও মৃত মাসুম আলীর ছেলে নাজমুলসহ তাদের পরিবারের আরো অনেকে মিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ওই সংখ্যালঘু পরিবারের ৪ জন পুস্পা রানী,সুখদীপ রায়, পর্শুরাম ও রিক্তা রানী গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ নং ও ১৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে যে পুকুরে মাছ মারা নিয়ে গন্ডগোল হওয়া সেই পুকুরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিষ ঢেলে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে কাল্টু মিয়ার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা প্রতিবেদককে বলেন, আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বলেই ওই এলাকার কালটু মিয়ার লোকজন আমাদের উপর জুলুম নির্যাতন চালায়, আমাদের মানুষে মনে করেনা তারা। তারা আমাদের পুকুরে মাছ মারলো, আমাদের পরিবারকে কুপিয়ে জখম করলো, আবার ওই পুকুরে বিষ ঢেলে দিয়ে মাছ নিধন করলো। আবার উল্টো তারাই মামলা মোকদ্দমা না করার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে ।

তবে এবিষয়ে প্রতিপক্ষ কালটু মিয়ার লোকজন গন্ডগোলের কথা স্বীকার করলেও পুকুরে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এবিষয়ে স্থানীয় মুদি দোকানদার মাহামুদুল ও মহব্বত আলী বলেন, আমরা স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার জন্য আলোচনা করছি।

তবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে গংগাচড়া মডেল থানায় কোনো অভিযোগ দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে

খিতিস চন্দ্র রায় বলেন, আমার স্ত্রী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। থানায় অ‌ভি‌যো‌গ ক‌রায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।