ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড

দিনাজপুরে মহাবিপন্ন খুদি খেজুর গাছের সন্ধান

আতিউর রহমান, বিরল
  • Update Time : ০৫:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / ১০৫ Time View

দিনাজপুরের বিরলে সন্ধান পাওয়া মহাবিপন্ন খুদি খেজুর গাছ। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরলে কালিয়াগঞ্জ শালবনে মহাবিপন্ন খুদি খেজুরগাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি গাছের গোড়ায় ফলও ধরেছে। খেজুরগাছ ও ফল দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয় লোকজন। বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো বন খেজুর গাছের সন্ধান পাওয়া গেল বলে জানিয়েছেন বৈজ্ঞানিক ও বিশেষজ্ঞগণ।

রোববার (১১ মে) বিকেলে খেজুরগাছগুলো পরিদর্শন করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। বিপন্নপ্রায় উদ্ভিদটিকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শালবনের ধর্মপুর বিটের কর্মকর্তা মহসীন আলী।

বিকেলে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের কৈকুড়ি পাটাবন এলাকায় খেজুরগাছ পরিদর্শনে যান বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইবেরিয়ামের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গাজী মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মান্নান হোসেন প্রমুখ।

দীর্ঘদিন ধরে শালবনে খুদি খেজুরগাছের সন্ধান নিয়ে কাজ করছেন অধ্যাপক গাজী মোশারফ হোসেন। তিনি জানান, খুদি খেজুরগাছের বৈজ্ঞানিক নাম ফনিক্স অ্যাকাউলিস। আগে ঢাকা ও ময়মনসিংহ এলাকায় সন্ধান মিললেও দিনাজপুরে এবার প্রথম। এটি প্রায় কাণ্ডবিহীন বামনাকৃতির গাছ। পাতা সরু ও ধারালো। গাছের গোড়ায় ফল ধরে। আকারে দেশি জাতের খেজুরের মতো চার থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার আকৃতির হয়। ফলটি কাঁচা অবস্থায় লাল আকার ধারণ করে; সম্পূর্ণ পাকলে কালো জামের রং ধারণ করে। খেতেও অনেক মিষ্টি। সাধারণত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে পাকে।

পরিবেশের জন্য এই বন খেজুর গাছটির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এটিকে সংরক্ষণ করা একান্ত জরুরি বলেও জানান তিনি।

সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার গণমাধ্যমকে জানান, খেজুর গাছটি সংরক্ষণের জন্য সরকার তথা বন বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

Please Share This Post in Your Social Media

দিনাজপুরে মহাবিপন্ন খুদি খেজুর গাছের সন্ধান

আতিউর রহমান, বিরল
Update Time : ০৫:৩৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

দিনাজপুরের বিরলে কালিয়াগঞ্জ শালবনে মহাবিপন্ন খুদি খেজুরগাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি গাছের গোড়ায় ফলও ধরেছে। খেজুরগাছ ও ফল দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয় লোকজন। বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো বন খেজুর গাছের সন্ধান পাওয়া গেল বলে জানিয়েছেন বৈজ্ঞানিক ও বিশেষজ্ঞগণ।

রোববার (১১ মে) বিকেলে খেজুরগাছগুলো পরিদর্শন করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। বিপন্নপ্রায় উদ্ভিদটিকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শালবনের ধর্মপুর বিটের কর্মকর্তা মহসীন আলী।

বিকেলে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের কৈকুড়ি পাটাবন এলাকায় খেজুরগাছ পরিদর্শনে যান বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইবেরিয়ামের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গাজী মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মান্নান হোসেন প্রমুখ।

দীর্ঘদিন ধরে শালবনে খুদি খেজুরগাছের সন্ধান নিয়ে কাজ করছেন অধ্যাপক গাজী মোশারফ হোসেন। তিনি জানান, খুদি খেজুরগাছের বৈজ্ঞানিক নাম ফনিক্স অ্যাকাউলিস। আগে ঢাকা ও ময়মনসিংহ এলাকায় সন্ধান মিললেও দিনাজপুরে এবার প্রথম। এটি প্রায় কাণ্ডবিহীন বামনাকৃতির গাছ। পাতা সরু ও ধারালো। গাছের গোড়ায় ফল ধরে। আকারে দেশি জাতের খেজুরের মতো চার থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার আকৃতির হয়। ফলটি কাঁচা অবস্থায় লাল আকার ধারণ করে; সম্পূর্ণ পাকলে কালো জামের রং ধারণ করে। খেতেও অনেক মিষ্টি। সাধারণত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে পাকে।

পরিবেশের জন্য এই বন খেজুর গাছটির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এটিকে সংরক্ষণ করা একান্ত জরুরি বলেও জানান তিনি।

সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার গণমাধ্যমকে জানান, খেজুর গাছটি সংরক্ষণের জন্য সরকার তথা বন বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।