ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম

‘দা প্রিন্স ইজ ব্যাক’, নেইমারের রাজসিক প্রত্যাবর্তন

স্পোর্টস ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:০৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ২৭ Time View

ভিলা বেলমিরোয় হাজার হাজার সমর্থক একসঙ্গে সমস্বরে গেয়ে উঠলো, দা প্রিন্স ইজ ব্যাক। নেইমারের ফিরে আসায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসের সমর্থকরা এতটাই খুশি যে, তাকে পূনরায় উপস্থাপন করার অনুষ্ঠানটা হয়ে উঠলো লোকে লোকারণ্য। নেইমার যখন মঞ্চে উঠে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন, তখন সমর্থকরা গেয়ে উঠেছিলেন, ‘রাজপুত্র আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন।’

সাও পাওলোর ভিলা বেলমিরো কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের স্মৃতিধন্য। এই মাঠেরই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সান্তোসের হয়ে খেলেছিলেন পেলে। এখান থেকেই বেড়ে উঠেছিলেন নেইমার। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় গিয়ে প্রায় একযুগ ইউরোপ এবং এশিয়ায় কাটালেন তিনি। এবার আবার ফিরলেন ঘরের মাঠে। ঘরের ছেলে ফিরে এলেন ঘরে।

নেইমারের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে আয়োজন করা হয় জমকালো কনসার্টের। তবে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। সেই বৃষ্টির বাধা উপেক্ষা করে ২০ হাজারের বেশি সমর্থক হাজির হয়েছিলো মাঠে। নেইমারও আনন্দাশ্রুতে, আবেগময় বার্তায় নিজের প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখলেন।

দর্শকরা শুধু গাইলেন না। তাদের হাতে শোভা পাচ্ছিলো ব্যানার। যেখানে লেখা, দ্য প্রিন্স ইজ ব্যাক। স্টেডিয়ামের বাইরে এআই দিয়ে তৈরি করা বিশাল এক গ্রাফিতি। যেখানে আাঁকা হয়েছে নেইমারের মাথার মুকুট। ১০ রিয়াল করে দিয়ে টিকিট কিনে সমর্থকরা নেইমারের প্রত্যাবর্তনে মেতে উঠেছিলেন নাচ, গান, আতশবাজি আর ফুটবল মিলিয়ে তিন ঘণ্টার মূল আয়োজনে।

সৌদি আরব থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ব্যক্তিগত বিমানে করে সাও পাওলোতে উড়ে আসেন নেইমার। কয়েকঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে সান্তোসে যান তিনি হেলিকপ্টারে করে। গিয়েই চুক্তি সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। এরপর মূল আয়োজন শুরুর আগে অনুশীলন মাঠে গিয়ে নতুন সতীর্থ ও ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে আসেন তিনি।

‘দা প্রিন্স ইজ ব্যাক’ শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় সান্তোসের ফেসবুক পাতায়। শৈশবে এই ক্লাবে পা রাখা থেকে তার বেড়ে ওঠা ও নায়ক হয়ে ওঠার পথচলা তুলে ধরা হয় সেখানে।

১৮ নম্বর জার্সি দিয়ে শুরু করে সান্তোসে ১১ নম্বর জার্সি গায়ে দেন নেইমার। এবার পাচ্ছেন ক্লাবের ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যে জার্সি গায়ে এই ক্লাবে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছেন পেলে। যে জার্সি এই ক্লাবে খেলে তিনি হয়ে উঠেছেন সর্বকালের সেরাদের একজন।

ওই ভিডিওতে পেলেকে সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়েই তার জার্সি উত্তরাধিকার হলেন নেইমার। পেলে যে তাকে বলেছিলেন সান্তোসে ফিরতে, সেটিও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।

নেইমার বলেন, ‘কিং পেলে, আপনার ইচ্ছা আমার কাছে আদেশের মতো। সিংহাসন ও মুকুট এখনও আপনার, কারণ আপনি চিরন্তন। তবে এই ১০ নম্বর…, যে পবিত্র জার্সি প্রতিনিধিত্ব করে সান্তোস ও গোটা বিশ্বের অনেক কিছু, সেই জার্সি গায়ে চাপানো আমার জন্য সম্মানের। আপনার উত্তরাধিকারের সম্মান রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

তুমুল আতশবাজির শব্দে আর আলোর ঝলকানির মধ্যে মাঠে প্রবেশ করেন নেইমার। সমর্থকদের অভিনন্দনের জবাব দেন দীর্ঘ সময় ধরে। এক পর্যায়ে সবার উদ্দেশে বলেন, ‘ফিরতে পেরে আমি খুবই খুশি। একসঙ্গে দারুণ সময় আমরা কাটিয়েছি এখানে। আরও অনেক কিছু দেখানোর ও করার বাকি আছে…।’

সমর্থকরা এক পর্যায়ে চিৎকার করে ড্রিবলিং দেখতে চান। সেটা দেখিয়ে নেইমার বলেন, ‘নান্দনিক খেলার সাহস দেখাতে ঘাটতি থাকবে না আমার…।’

Please Share This Post in Your Social Media

‘দা প্রিন্স ইজ ব্যাক’, নেইমারের রাজসিক প্রত্যাবর্তন

স্পোর্টস ডেস্ক
Update Time : ০৫:০৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভিলা বেলমিরোয় হাজার হাজার সমর্থক একসঙ্গে সমস্বরে গেয়ে উঠলো, দা প্রিন্স ইজ ব্যাক। নেইমারের ফিরে আসায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসের সমর্থকরা এতটাই খুশি যে, তাকে পূনরায় উপস্থাপন করার অনুষ্ঠানটা হয়ে উঠলো লোকে লোকারণ্য। নেইমার যখন মঞ্চে উঠে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন, তখন সমর্থকরা গেয়ে উঠেছিলেন, ‘রাজপুত্র আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন।’

সাও পাওলোর ভিলা বেলমিরো কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের স্মৃতিধন্য। এই মাঠেরই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সান্তোসের হয়ে খেলেছিলেন পেলে। এখান থেকেই বেড়ে উঠেছিলেন নেইমার। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় গিয়ে প্রায় একযুগ ইউরোপ এবং এশিয়ায় কাটালেন তিনি। এবার আবার ফিরলেন ঘরের মাঠে। ঘরের ছেলে ফিরে এলেন ঘরে।

নেইমারের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে আয়োজন করা হয় জমকালো কনসার্টের। তবে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। সেই বৃষ্টির বাধা উপেক্ষা করে ২০ হাজারের বেশি সমর্থক হাজির হয়েছিলো মাঠে। নেইমারও আনন্দাশ্রুতে, আবেগময় বার্তায় নিজের প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখলেন।

দর্শকরা শুধু গাইলেন না। তাদের হাতে শোভা পাচ্ছিলো ব্যানার। যেখানে লেখা, দ্য প্রিন্স ইজ ব্যাক। স্টেডিয়ামের বাইরে এআই দিয়ে তৈরি করা বিশাল এক গ্রাফিতি। যেখানে আাঁকা হয়েছে নেইমারের মাথার মুকুট। ১০ রিয়াল করে দিয়ে টিকিট কিনে সমর্থকরা নেইমারের প্রত্যাবর্তনে মেতে উঠেছিলেন নাচ, গান, আতশবাজি আর ফুটবল মিলিয়ে তিন ঘণ্টার মূল আয়োজনে।

সৌদি আরব থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ব্যক্তিগত বিমানে করে সাও পাওলোতে উড়ে আসেন নেইমার। কয়েকঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে সান্তোসে যান তিনি হেলিকপ্টারে করে। গিয়েই চুক্তি সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। এরপর মূল আয়োজন শুরুর আগে অনুশীলন মাঠে গিয়ে নতুন সতীর্থ ও ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে আসেন তিনি।

‘দা প্রিন্স ইজ ব্যাক’ শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় সান্তোসের ফেসবুক পাতায়। শৈশবে এই ক্লাবে পা রাখা থেকে তার বেড়ে ওঠা ও নায়ক হয়ে ওঠার পথচলা তুলে ধরা হয় সেখানে।

১৮ নম্বর জার্সি দিয়ে শুরু করে সান্তোসে ১১ নম্বর জার্সি গায়ে দেন নেইমার। এবার পাচ্ছেন ক্লাবের ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যে জার্সি গায়ে এই ক্লাবে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছেন পেলে। যে জার্সি এই ক্লাবে খেলে তিনি হয়ে উঠেছেন সর্বকালের সেরাদের একজন।

ওই ভিডিওতে পেলেকে সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়েই তার জার্সি উত্তরাধিকার হলেন নেইমার। পেলে যে তাকে বলেছিলেন সান্তোসে ফিরতে, সেটিও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।

নেইমার বলেন, ‘কিং পেলে, আপনার ইচ্ছা আমার কাছে আদেশের মতো। সিংহাসন ও মুকুট এখনও আপনার, কারণ আপনি চিরন্তন। তবে এই ১০ নম্বর…, যে পবিত্র জার্সি প্রতিনিধিত্ব করে সান্তোস ও গোটা বিশ্বের অনেক কিছু, সেই জার্সি গায়ে চাপানো আমার জন্য সম্মানের। আপনার উত্তরাধিকারের সম্মান রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

তুমুল আতশবাজির শব্দে আর আলোর ঝলকানির মধ্যে মাঠে প্রবেশ করেন নেইমার। সমর্থকদের অভিনন্দনের জবাব দেন দীর্ঘ সময় ধরে। এক পর্যায়ে সবার উদ্দেশে বলেন, ‘ফিরতে পেরে আমি খুবই খুশি। একসঙ্গে দারুণ সময় আমরা কাটিয়েছি এখানে। আরও অনেক কিছু দেখানোর ও করার বাকি আছে…।’

সমর্থকরা এক পর্যায়ে চিৎকার করে ড্রিবলিং দেখতে চান। সেটা দেখিয়ে নেইমার বলেন, ‘নান্দনিক খেলার সাহস দেখাতে ঘাটতি থাকবে না আমার…।’