ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে

দারিদ্র মানুষের আস্থার প্রতিক “ভোরের শালিক” সংগঠন

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ(নীলফমারী)প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:৪৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৪৯ Time View

দারিদ্র মানুষের আস্থার প্রতিক হয়ে উঠেছে ভোরের শালিক নামে সংগঠনটি। গরীর-মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, অসহায় মানুষের চিকিৎসায় অর্থ সহায়তা, সহায়-সম্বলহীন মানুষের মাথা গুজার ঠাঁই, মাদক, জুয়া ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, বৃক্ষরোপন, বই প্রেমীদের পাঠাগার ব্যবস্থা ও নানা সামাজিক কর্মকান্ডে ভুমিকা রাখছে সংগঠনটি।

মানুষকে নিয়ে মানবতার সেবা এই স্লোগানকে ধারণ করে, শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভোরের শালিক নামে মানবতার এ সংগঠনটি।
অভিভাবক সমাবেশ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে বাল্যবিয়ে ও মাদকমুক্ত করা, শতভাগ স্যানিটেশন, বৃক্ষরোপণে অনন্য ভূমিকা রাখছেন সদস্যরা। দরিদ্র শিক্ষার্থী ও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা করে থাকেন সংগঠনটি। এভাবেই গ্রামের পর গ্রাম আলোয় আলোকিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে প্রত্যন্ত গ্রামের এ সংগঠন।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম বাজারে ২০১৩ সালে ৮ জন সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্র ইমরান হোসেনের প্রচেষ্টায় সংগঠনটি যাত্রা শুরু করলেও বর্তমান এর সদস্য সংখ্যা দাড়িয়েছে ২১৬ জনে। শুরুতে তারা দৈনিক ১ টাকা করে চাঁদা দিয়ে তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু করে । সঞ্চায়িত অর্থে তারা গরীর-ছিন্নমূল মানুষকে সহযোগিতা করে থাকেন। এখন বর্তমানে সংগঠনটি তিনটি শাখা সমাজ কল্যাণ, গ্রন্থাগার , যুব কল্যাণ নামে বিস্তার লাভ করেছে। বর্তমানে তাদের গ্রন্থাগারে ১ হাজার ২৮৫ টি বিভিন্ন স্বনামধন্য লেখকের বই রয়েছে।

১ টাকা সঞ্চয়ের অর্থে এখন পর্যন্ত এককালিন অর্থ সহায়তা পাওয়া একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী আকাশ ইসলাম, নবম শ্রেণীার শিক্ষার্থী রিফাত ইসলাম, দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জয়া আকতার বলেন ভোরের শালিক সংগঠন আমাদের সহযোগিতা না করলে আমাদের লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যেত। এ রকম চিকিৎসা সহায়তা , আর্থিক সহায়তা পাওয়ার ব্যক্তিরা সংগঠন সদস্যদের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। সংগঠনের সদস্যরা এলাকায় সুদকারবারী ও ও মহাজনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি মহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে নৈশ্য ও বয়স্ক বিদ্যালয় স্থাপন, গরীব -অসহায় মানুষের জন্য কর্যে-হাসনা ব্যবস্থা চালু করবেন বলে তারা জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক বলেন- আমার জানা মতে সংগঠনটি সামাজিক অবক্ষয় রোধে অগ্রণী ভূমিকা রাখাসহ সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে ইতোমধ্যে আস্থা অর্জন করেছে। তাদের কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই। এ ধরণের কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সকল ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

দারিদ্র মানুষের আস্থার প্রতিক “ভোরের শালিক” সংগঠন

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ(নীলফমারী)প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:৪৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দারিদ্র মানুষের আস্থার প্রতিক হয়ে উঠেছে ভোরের শালিক নামে সংগঠনটি। গরীর-মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, অসহায় মানুষের চিকিৎসায় অর্থ সহায়তা, সহায়-সম্বলহীন মানুষের মাথা গুজার ঠাঁই, মাদক, জুয়া ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, বৃক্ষরোপন, বই প্রেমীদের পাঠাগার ব্যবস্থা ও নানা সামাজিক কর্মকান্ডে ভুমিকা রাখছে সংগঠনটি।

মানুষকে নিয়ে মানবতার সেবা এই স্লোগানকে ধারণ করে, শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভোরের শালিক নামে মানবতার এ সংগঠনটি।
অভিভাবক সমাবেশ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে বাল্যবিয়ে ও মাদকমুক্ত করা, শতভাগ স্যানিটেশন, বৃক্ষরোপণে অনন্য ভূমিকা রাখছেন সদস্যরা। দরিদ্র শিক্ষার্থী ও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা করে থাকেন সংগঠনটি। এভাবেই গ্রামের পর গ্রাম আলোয় আলোকিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে প্রত্যন্ত গ্রামের এ সংগঠন।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম বাজারে ২০১৩ সালে ৮ জন সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্র ইমরান হোসেনের প্রচেষ্টায় সংগঠনটি যাত্রা শুরু করলেও বর্তমান এর সদস্য সংখ্যা দাড়িয়েছে ২১৬ জনে। শুরুতে তারা দৈনিক ১ টাকা করে চাঁদা দিয়ে তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু করে । সঞ্চায়িত অর্থে তারা গরীর-ছিন্নমূল মানুষকে সহযোগিতা করে থাকেন। এখন বর্তমানে সংগঠনটি তিনটি শাখা সমাজ কল্যাণ, গ্রন্থাগার , যুব কল্যাণ নামে বিস্তার লাভ করেছে। বর্তমানে তাদের গ্রন্থাগারে ১ হাজার ২৮৫ টি বিভিন্ন স্বনামধন্য লেখকের বই রয়েছে।

১ টাকা সঞ্চয়ের অর্থে এখন পর্যন্ত এককালিন অর্থ সহায়তা পাওয়া একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী আকাশ ইসলাম, নবম শ্রেণীার শিক্ষার্থী রিফাত ইসলাম, দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জয়া আকতার বলেন ভোরের শালিক সংগঠন আমাদের সহযোগিতা না করলে আমাদের লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যেত। এ রকম চিকিৎসা সহায়তা , আর্থিক সহায়তা পাওয়ার ব্যক্তিরা সংগঠন সদস্যদের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। সংগঠনের সদস্যরা এলাকায় সুদকারবারী ও ও মহাজনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি মহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে নৈশ্য ও বয়স্ক বিদ্যালয় স্থাপন, গরীব -অসহায় মানুষের জন্য কর্যে-হাসনা ব্যবস্থা চালু করবেন বলে তারা জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক বলেন- আমার জানা মতে সংগঠনটি সামাজিক অবক্ষয় রোধে অগ্রণী ভূমিকা রাখাসহ সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে ইতোমধ্যে আস্থা অর্জন করেছে। তাদের কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই। এ ধরণের কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সকল ধরণের সহযোগিতা করা হবে।