দাবি পূরণ না হওয়ায় কর্মবিরতিতে এ আই টেকনিশিয়ানরা

- Update Time : ০৫:০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৫৬ Time View
নয় মাসের ভাতা বকেয়া রাখার কারণে ও বিভিন্ন দাবি দাওয়ার প্রতি অবহেলা দেখানোয় কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ এ আই(আর্টিফিশিয়াল ইনসিমেনেশন) টেকনিশিয়ান কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি দেশব্যাপী সরকারি পর্যায়ে সিমেন বণ্টন করে থাকে। তাদের সিমেন দিয়ে উন্নত জাতের গাভী জন্ম নিয়ে থাকে।
রবিবার ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আজাদ হোসেন। এসময় তার সাথে ছিলেন সংগঠনের কার্যকরী কমিটির প্রধান মাসুদ করিম ও মহাসচিব মো. আলী জিন্নাহ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, আজাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ৯৫৭ জন জনবল নিয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু হয় তাদের কাজ। ৫ লক্ষ গাভীকে তারা কৃত্রিম প্রজনন করান। তাদের টার্গেট ছিল ৪১ লক্ষ ৮০ হাজার গাভীকে কৃত্রিম প্রজনন করানোর। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি সত্য। তবে মাংস উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। বিগত কোরবানির ঈদ হচ্ছে তার বড় প্রমাণ।
আজাদ বলেন, বিনা বেতনে আমরা এই কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে ২০১৬ সাল থেকে আমাদের ৬০০ টাকা প্রতীকী ভাতা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এই ভাতা ২০০০ টাকায় উন্নীত হয়। গত ৯ মাস এই ভাতাটি বন্ধ রয়েছে। সরকার এই খাত থেকে ত্রিশ কোটি টাকা রাজস্ব পায়।
তিনি আরো বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে আমরা অসহায় জীবনযাপন করছি। আমাদের সমস্যা সমাধানে ৭ দফা প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমাদের দাবিসমূহ তারা না শোনায় আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতিতে যাবার সিদ্ধান্তই নিয়েছি।
৭ দফা দাবি সমূহ
১. এআইটি কল্যাণ সমিতির নেতাদের সঙ্গে ইতিপূর্বে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠিত বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল (সম্মানজনক ভাতা/দৈনিক হাজিরা) তার দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত
করতে হবে।
২. একই ইউনিয়নে একাধিক এআইটি নিয়োগ প্রক্রিয়া (নিজ খরচ, যথাযথ প্রক্রিয়া বিহীন প্রশিক্ষণ) বাতিল করতে হবে।
৩. বেসরকারি কোম্পানিকে কৃত্রিম প্রজনন কাজ করার অনুমতি দিয়ে টার্গেট প্রথা বহাল রাখা অযৌক্তিক। টার্গেট পূরণের বাধ্যবাধকতা শিথিল করতে হবে।
৪. এআইটিদের চাহিদা মোতাবেক সিমেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. সরকারি সিমেনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধ করতে হবে। সেক্ষেত্রে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও জেলা ডিডি (এআই) অফিসকে যথোপযুক্ত ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
৬. বেসরকারি এআই কর্মীদের উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে মাসিক রিপোর্ট প্রদান নিশ্চিত করতে অফিস আদেশ জারি করতে হবে।
৭। সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী যোগ্য এআইটিদের এফএ (এআই) পদে নিয়োগ প্রদান ত্বরান্বিত করতে হবে।