দাবানলে পুড়ছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল

- Update Time : ০৬:২১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩
- / ১২৪ Time View
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলকে নতুন ক্লাইমেট হটস্পট বা জলবায়ু পরিবর্তনের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ক্যানারি দ্বীপ থেকে উত্তর আফ্রিকার একাধিক দেশ এবং তুরস্ক- সর্বত্র দাবানল ছড়িয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, প্রবল বাতাস, গরম এবং শুকনো আবহাওয়ার জন্য দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দাবানলের জন্য তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলস্তর বাড়ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই দাবানলের ফলে খড়া দেখা দিতে পারে। প্রবল খাদ্যসংকট হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
কারণ, গরম এবং দাবানলের জন্য ফসল নষ্ট হচ্ছে। দাবানলের এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গ্রিস থেকে তিউনিসিয়া সর্বত্র বিশেষ দল পাঠিয়েছে তারা। আগুন প্রতিরোধে কাজ করছে ওই দল।
বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, ফ্রান্স, ইটালি, মালটা, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া এবং সার্বিয়া ইইউ-র এই দল গঠনে সাহায্য করেছে। গ্রিসের বিভিন্ন অঞ্চলে ইইউ সাড়ে ৪০০ দমকলকর্মী এবং সাতটি বিমান পাঠিয়েছে। যে বিমানের সাহায্যে আগুন নেভানোর কাজ করা যায়।
দুটি বিমান স্পেন দিয়েছে, যা তিউনিসিয়ায় পাঠানো হয়েছে। মিশরও গ্রিসে হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে। গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপ এবং সমুদ্র সৈকত থেকে এখন পর্যন্ত ২০,০০০ বাসিন্দা এবং পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোডস। সেখানে ১০% জমি সম্পূর্ণ জ¦লে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতেও দেখা যাচ্ছে, রোডস দ্বীপের একটি অংশ লাল হয়ে আছে।
গ্রিস থেকে তুরস্কের জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছেছে দাবানল। একাধিক জঙ্গলে আগুন লেগে গেছে। বাতাসের দাপটে আগুন ছড়াচ্ছে। তাপমাত্রা কোনো কোনো জায়গায় ৪০ ডিগ্রির উপর পৌঁছে গেছে। তুরস্কেও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দমকলকর্মীরা কাজ করতে শুরু করেছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কোনো পদ্ধতিতেই এত ভয়ংকর আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।