ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষীদাতা সিরু বাঙালির ফাঁসির দাবি উন্নয়ন বৈষম্যের গ্যাঁড়াকলে রংপুর: একনেক থেকে বাদ পড়লো উন্নয়ন প্রকল্প আ’লীগ নেতা তুষার কান্তির ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর সিলেট ওসমানী মেডিকেলের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক মানহানি মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান ফের ৫ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক ও সালমান বসুন্ধরা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহালে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চায় শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিভি হাসপাতালের নার্স ও মিডওয়াইফারিরা মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করতে বললেন নাহিদ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

দাফনের ৫১ দিন পর তাহিরের মরদেহ উত্তোলন

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর
  • Update Time : ০১:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৬ Time View

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহিরের মরদেহ দাফনের ৫১ দিন পর উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর শালবন মিস্ত্রীপাড়া কবরস্থান থেকে মরদেহ তোলা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মরদেহ উত্তোলনের সময় রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেমসহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম বলেন, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিহত আব্দুল্লাহ আল তাহিরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত আব্দুল্লাহ আল তাহির রংপুর মহানগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকসের অষ্টম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। গত ১৯ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর সিটি বাজারের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আব্দুল্লাহ আল তাহির।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুল্লাহ আল তাহিরের (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় তার মা-বাবা পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলা করেন তাহিরের মা শিরিন বেগম।

এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরসহ জেলা পুলিশের ১০০-১৫০ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।

তাহির হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য টিপু মুনশি, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাবেক এমপি ডিউক চৌধুরী, নাছিমা জামান ববি,সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর রফিকুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম তোতা, হারুন অর রশিদ ওরফে কানা হারুন, সাবেক কাউন্সিলর ইদ্রিস আলী, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি লক্ষ্মীণ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনিসহ অন্যরা।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানার কগনিজেন্স আদালতে তাহিরের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাসান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ ৪০ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

দাফনের ৫১ দিন পর তাহিরের মরদেহ উত্তোলন

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর
Update Time : ০১:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহিরের মরদেহ দাফনের ৫১ দিন পর উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর শালবন মিস্ত্রীপাড়া কবরস্থান থেকে মরদেহ তোলা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মরদেহ উত্তোলনের সময় রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেমসহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম বলেন, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিহত আব্দুল্লাহ আল তাহিরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত আব্দুল্লাহ আল তাহির রংপুর মহানগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকসের অষ্টম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। গত ১৯ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর সিটি বাজারের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আব্দুল্লাহ আল তাহির।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুল্লাহ আল তাহিরের (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় তার মা-বাবা পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলা করেন তাহিরের মা শিরিন বেগম।

এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরসহ জেলা পুলিশের ১০০-১৫০ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।

তাহির হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য টিপু মুনশি, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাবেক এমপি ডিউক চৌধুরী, নাছিমা জামান ববি,সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর রফিকুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম তোতা, হারুন অর রশিদ ওরফে কানা হারুন, সাবেক কাউন্সিলর ইদ্রিস আলী, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি লক্ষ্মীণ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনিসহ অন্যরা।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানার কগনিজেন্স আদালতে তাহিরের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাসান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ ৪০ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।