ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর

থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধানে দুদক

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬৭ Time View

ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ২২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আখতার হোসেন বলেন, প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড ও ব্যাপক দুর্নীতির মতো বিষয়।

এর মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক অভিযোগ হচ্ছে প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৭ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ হাজার কোটি টাকা করা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাটি পরীক্ষার সময় নকশা পরিবর্তনের মাধ্যমে ৯০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আরও অভিযোগের মধ্যে রয়েছে কমিশন ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের তিনটি মূল অংশ অন্য ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করা, দরপত্রে উল্লিখিত ইউরোপীয় গ্রেডের উপকরণের পরিবর্তে চীন ও কোরিয়া থেকে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা এবং সমাপনী কাজে ব্যাপক অনিয়ম।

দুদক আরও জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করতে সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ১২ কোটি টাকা অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ে অপচয় করা হয়েছে।

মো. আক্তার হোসেন বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ৭ হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলিত প্রকল্পের ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকায় বৃদ্ধি করা, বিভিন্ন সরঞ্জামাদি স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে বিদেশ থেকে ক্রয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, সয়েল টেস্টে অনিয়ম ও নকশা পরিবর্তন করে ৯০০ কোটি টাকা লোপাট, প্রকল্পের ৩টি বড় কাজ অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

মো. আক্তার হোসেন আরও বলেন, অভিযোগ আছে দরপত্রে ইউরোপীয় মানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদির উল্লেখ থাকলেও চীন ও কোরিয়ার নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়। সিলিংয়ের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) খুশি করার জন্য অযৌক্তিক কাজ করে ১২ কোটি টাকা অপচয়সহ সিন্ডিকেট করে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

২০১৭ সালে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা- জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে এটির আংশিক উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালের অক্টোবরের মধ্যে এটি চালু করার পরিকল্পনা ছিল।

আখতার হোসেন আশ্বস্ত করে বলেন, এসব অভিযোগের পেছনের সত্য উদঘাটন এবং যেকোনো অন্যায়ের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দুদক বদ্ধপরিকর।

Please Share This Post in Your Social Media

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর

থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধানে দুদক

অনলাইন ডেস্ক
Update Time : ০৯:৪৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ২২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আখতার হোসেন বলেন, প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড ও ব্যাপক দুর্নীতির মতো বিষয়।

এর মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক অভিযোগ হচ্ছে প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৭ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ হাজার কোটি টাকা করা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাটি পরীক্ষার সময় নকশা পরিবর্তনের মাধ্যমে ৯০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আরও অভিযোগের মধ্যে রয়েছে কমিশন ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের তিনটি মূল অংশ অন্য ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করা, দরপত্রে উল্লিখিত ইউরোপীয় গ্রেডের উপকরণের পরিবর্তে চীন ও কোরিয়া থেকে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা এবং সমাপনী কাজে ব্যাপক অনিয়ম।

দুদক আরও জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করতে সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ১২ কোটি টাকা অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ে অপচয় করা হয়েছে।

মো. আক্তার হোসেন বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ৭ হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলিত প্রকল্পের ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকায় বৃদ্ধি করা, বিভিন্ন সরঞ্জামাদি স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে বিদেশ থেকে ক্রয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, সয়েল টেস্টে অনিয়ম ও নকশা পরিবর্তন করে ৯০০ কোটি টাকা লোপাট, প্রকল্পের ৩টি বড় কাজ অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।

মো. আক্তার হোসেন আরও বলেন, অভিযোগ আছে দরপত্রে ইউরোপীয় মানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদির উল্লেখ থাকলেও চীন ও কোরিয়ার নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়। সিলিংয়ের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) খুশি করার জন্য অযৌক্তিক কাজ করে ১২ কোটি টাকা অপচয়সহ সিন্ডিকেট করে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

২০১৭ সালে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা- জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে এটির আংশিক উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালের অক্টোবরের মধ্যে এটি চালু করার পরিকল্পনা ছিল।

আখতার হোসেন আশ্বস্ত করে বলেন, এসব অভিযোগের পেছনের সত্য উদঘাটন এবং যেকোনো অন্যায়ের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দুদক বদ্ধপরিকর।