ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থানা আওয়ামী লীগের মতো বক্তব্য পুলিশের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:১৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৭৩ Time View

পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকদের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, গতকাল (শনিবার) উচ্চপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে একজন কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। তার বক্তব্য শোনার পর মনে হয়েছে তিনি কী আসলেই পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা? নাকি মোহাম্মদপুর কিংবা শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক! আমি এটার কোনো পার্থক্য করতে পারিনি।

রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁতীদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক রেজাউল করিম রানার মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, জনগণের টাকায় তাদের বেতন দেওয়া হয়। তারা জনগণের টাকায় সব সুযোগ-সুবিধা পায়। অথচ তারা আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে।

‘দলীয় প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’— সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের এ বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তিনি (বদিউল আলম মজুমদার) বিএনপির কোনো নেতা নন। যখন পুলিশ কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মাহমুদের ভাষায় কথা বলেন, যখন যুবলীগ-ছাত্রলীগের ভাষায় কথা বলেন, তখন বোঝা যায় আগামী নির্বাচন কী ভয়ংকর নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যেতে পারবে না, ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারবে না, বিরোধী দল অংশগ্রহণ তো দূরের কথা প্রতিযোগিতাও করতে পারবে না। ওই নির্বাচন হবে একতরফা এবং আরও একটি অভিনব নীল নকশার নির্বাচন। সেই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আলামত হচ্ছে গতকাল ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দলীয় বক্তব্য।

এই বিএনপি নেতা বলেন, জুয়াড়ি-ক্যাসিনোর মালিকরা তো আজকে কারাগারে নেই। যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছে, বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করেছে… তারা কেন কারাগারে নেই? কেন আবরার হত্যার বিচার হয় না? কিন্তু প্রতিদিন বিএনপির নেতাদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। কেন বিএনপি নেতা তানভীর আহমেদ রবিনকে ধাওয়া করে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে বিএনপির সভা-সমাবেশে প্রশাসনের ছায়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতারা হামলা চালায়, কেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় না?

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ। সঞ্চালনা করেন তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ আরও অনেকে।

Please Share This Post in Your Social Media

থানা আওয়ামী লীগের মতো বক্তব্য পুলিশের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৪:১৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকদের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, গতকাল (শনিবার) উচ্চপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে একজন কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। তার বক্তব্য শোনার পর মনে হয়েছে তিনি কী আসলেই পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা? নাকি মোহাম্মদপুর কিংবা শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক! আমি এটার কোনো পার্থক্য করতে পারিনি।

রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁতীদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক রেজাউল করিম রানার মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, জনগণের টাকায় তাদের বেতন দেওয়া হয়। তারা জনগণের টাকায় সব সুযোগ-সুবিধা পায়। অথচ তারা আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে।

‘দলীয় প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’— সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের এ বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তিনি (বদিউল আলম মজুমদার) বিএনপির কোনো নেতা নন। যখন পুলিশ কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মাহমুদের ভাষায় কথা বলেন, যখন যুবলীগ-ছাত্রলীগের ভাষায় কথা বলেন, তখন বোঝা যায় আগামী নির্বাচন কী ভয়ংকর নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যেতে পারবে না, ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারবে না, বিরোধী দল অংশগ্রহণ তো দূরের কথা প্রতিযোগিতাও করতে পারবে না। ওই নির্বাচন হবে একতরফা এবং আরও একটি অভিনব নীল নকশার নির্বাচন। সেই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আলামত হচ্ছে গতকাল ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দলীয় বক্তব্য।

এই বিএনপি নেতা বলেন, জুয়াড়ি-ক্যাসিনোর মালিকরা তো আজকে কারাগারে নেই। যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছে, বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করেছে… তারা কেন কারাগারে নেই? কেন আবরার হত্যার বিচার হয় না? কিন্তু প্রতিদিন বিএনপির নেতাদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। কেন বিএনপি নেতা তানভীর আহমেদ রবিনকে ধাওয়া করে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে বিএনপির সভা-সমাবেশে প্রশাসনের ছায়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতারা হামলা চালায়, কেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় না?

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ। সঞ্চালনা করেন তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ আরও অনেকে।