থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত, সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?
- Update Time : ০৭:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ২১ Time View
কম্বোডিয়ায় হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। এ ঘটনায় উভয় দেশই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। এতে নতুন করে উভয় দেশের সামরিক শক্তি আলোচনায় এসেছে।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উভয় দেশের সামরিক সক্ষমতা তুলে ধরা হয়েছে।
বাজেট ও স্থলবাহিনী
কম্বোডিয়া : ২০২৪ সালে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। দেশের সক্রিয় সামরিক সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০। ১৯৯৩ সালে সাবেক কমিউনিস্ট বাহিনী ও দুটি প্রতিরোধ বাহিনী একীভূত করে বর্তমানে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী গঠন করা হয়। কম্বোডিয়ার স্থলবাহিনীতে প্রায় ৭৫ হাজার সেনা, ২০০-র বেশি যুদ্ধ ট্যাংক এবং প্রায় ৪৮০টি বিভিন্ন ধরনের আর্টিলারি রয়েছে।
থাইল্যান্ড : যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ অ-ন্যাটো মিত্র থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা বাজেট ২০২৪ সালে ছিল ৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। দেশটির সৈন্য সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। এরমধ্যে থাই সেনাবাহিনীতে রয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজারসদস্য, যার মধ্যে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজারজন বাধ্যতামূলক সেনাসেবা শেষে যুক্ত হওয়া সৈন্য। সেনাবাহিনীর কাছে রয়েছে প্রায় ৪০০ যুদ্ধ ট্যাংক, ১,২০০-এর বেশি সাঁজোয়া যান এবং দুহাজার ৬০০-এরও বেশি আর্টিলারি। এ ছাড়াও সেনাবাহিনীর নিজস্ব বিমান বহর রয়েছে। যার মধ্যে যাত্রীবাহী বিমান, অসংখ্য ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার এবং ড্রোন অন্তর্ভুক্ত।
বিমানবাহিনী
কম্বোডিয়ার বিমানবাহিনীতে ১ হাজার ৫০০ সদস্য রয়েছে। তাদের বহরে ১০টি পরিবহন বিমান ও ১০টি পরিবহন হেলিকপ্টার রয়েছে। যুদ্ধবিমান না থাকলেও দেশটির কাছে রয়েছে ১৬টি মাল্টি-রোল হেলিকপ্টার, যার মধ্যে ৬টি পুরোনো সোভিয়েত এমআই-১৭ এবং ১০টি চীনা নির্মিত জেড-৯।
থাই বিমান বাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে সজ্জিত ও প্রশিক্ষিত বাহিনীগুলোর একটি। এতে ৪৬ হাজার সদস্য এবং ১১২টি যুদ্ধ-সক্ষম বিমান রয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি এফ-১৬ এবং ১১টি সুইডিশ গ্রিপেন যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য হেলিকপ্টার।
নৌবাহিনী
কম্বোডিয়ার নৌবাহিনীতে ২ হাজার ৮০০ সদস্য, যার মধ্যে এক হাজার ৫০০ জন নৌ ইনফ্যান্ট্রি। তাদের কাছে রয়েছে ১৩টি উপকূলীয় টহলজাহাজ এবং একটি অ্যামফিবিয়াস ল্যান্ডিং ক্রাফট।
থাই নৌবাহিনী সংখ্যায় ও শক্তিতে অনেক বড়। এতে প্রায় ৭০ হাজার সদস্য রয়েছে। নৌবাহিনীর বহরে রয়েছে একটি বিমানবাহী রণতরী, ৭টি ফ্রিগেট এবং ৬৮টি উপকূলীয় টহলজাহাজ। এছাড়া তাদের কাছে কয়েকটি বড় অ্যামফিবিয়াস জাহাজ রয়েছে, যেগুলোতে শত শত সেনা পরিবহন করা যায়। এর বাইরে আরও অন্তত ১৪টি ছোট ল্যান্ডিং ক্রাফট রয়েছে। নৌবাহিনীর নিজস্ব বিমান ইউনিট ও ২৩ হাজার সদস্যের মেরিন কর্পসও রয়েছে।















































































































































































