ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মধ্যে রাতভর গোলাগুলি বোমা হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:৩২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২৯ Time View

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু শনিবার ভোরে আবারও দেশ দুটির মধ্যে সংঘাত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল বলেছেন, তিনি ট্রাম্পকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি কেবল তখনই সম্ভব, যখন কম্বোডিয়া সব বাহিনী প্রত্যাহার করবে এবং সীমান্ত থেকে স্থলমাইন সরাবে। অনুতিন বলেন, ‘আমাদের ভূখণ্ড ও জনগণের আর নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই– এমন অবস্থায় পৌঁছানো পর্যন্ত থাইল্যান্ড সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে। আজ সকালে আমাদের পদক্ষেপই তার প্রমাণ দিয়েছে।’

বিবিসি জানায়, সীমান্তের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখলের চেষ্টায় থাইল্যান্ডের সেনারা রাতভর গোলাবর্ষণ করেছেন। নতুন সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উভয় পাশের প্রায় সাত লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের পর শুক্রবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘উভয় দেশই শান্তির জন্য প্রস্তুত। আজকে সন্ধ্যা থেকে গোলাগুলি বন্ধ হবে এবং অক্টোবরের চুক্তি অনুসরণ করবে।’ তবে অনুতিন বলছেন, থাইল্যান্ড আগ্রাসী নয়; যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হলে প্রথমে কম্বোডিয়াকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার ও সীমান্ত থেকে স্থলমাইন সরাতে হবে।

এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবারও সাতটি বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। দীর্ঘমেয়াদি এই সীমান্ত সংঘাত গত ২৪ জুলাই তীব্র হয়; কম্বোডিয়ার রকেট হামলার জবাবে পাল্টা বিমান হামলা চালায় থাইল্যান্ড। সংঘাতের জন্য উভয় দেশই একে অপরকে দায়ী করছে।

এরপর গত অক্টোবরে ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় ‘তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে বিরোধ চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মধ্যে রাতভর গোলাগুলি বোমা হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৩:৩২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু শনিবার ভোরে আবারও দেশ দুটির মধ্যে সংঘাত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল বলেছেন, তিনি ট্রাম্পকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি কেবল তখনই সম্ভব, যখন কম্বোডিয়া সব বাহিনী প্রত্যাহার করবে এবং সীমান্ত থেকে স্থলমাইন সরাবে। অনুতিন বলেন, ‘আমাদের ভূখণ্ড ও জনগণের আর নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই– এমন অবস্থায় পৌঁছানো পর্যন্ত থাইল্যান্ড সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে। আজ সকালে আমাদের পদক্ষেপই তার প্রমাণ দিয়েছে।’

বিবিসি জানায়, সীমান্তের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখলের চেষ্টায় থাইল্যান্ডের সেনারা রাতভর গোলাবর্ষণ করেছেন। নতুন সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উভয় পাশের প্রায় সাত লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের পর শুক্রবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘উভয় দেশই শান্তির জন্য প্রস্তুত। আজকে সন্ধ্যা থেকে গোলাগুলি বন্ধ হবে এবং অক্টোবরের চুক্তি অনুসরণ করবে।’ তবে অনুতিন বলছেন, থাইল্যান্ড আগ্রাসী নয়; যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হলে প্রথমে কম্বোডিয়াকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার ও সীমান্ত থেকে স্থলমাইন সরাতে হবে।

এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবারও সাতটি বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। দীর্ঘমেয়াদি এই সীমান্ত সংঘাত গত ২৪ জুলাই তীব্র হয়; কম্বোডিয়ার রকেট হামলার জবাবে পাল্টা বিমান হামলা চালায় থাইল্যান্ড। সংঘাতের জন্য উভয় দেশই একে অপরকে দায়ী করছে।

এরপর গত অক্টোবরে ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় ‘তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে বিরোধ চলছে।