ঢাকা ০১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ঢাকা-ময়মনসিংহ পথে বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ পাকিস্তান সেনা-তালেবানের মধ্যে গোলাগুলি, সীমান্তে উত্তেজনা তিন সপ্তাহ পর নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ঘিরে ভাঙচুর ও গোলাগুলি প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর টাইমস হায়ার র‍্যাঙ্কিংয়ে মাভাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া ৯ মাসে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী প্রত্যেক উপদেষ্টাই বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা

তিন সপ্তাহ পর নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:৪০:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৭০ Time View

মো. এহছানুল হক

তিন সপ্তাহ শূন্য থাকার পর অবশেষে নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. এহছানুল হক। তিনি এত দিন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসেবে চুক্তিতে ছিলেন। এখন তাঁকে চুক্তি ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আনা হলো। তিনি ১৯৮২ বিসিএস ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর মো. মোখলেস উর রহমানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। দুই বছরের জন্য চুক্তিতে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। গত ২১ সেপ্টেম্বর তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনে। এর পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সচিবের পদটি ফাঁকা ছিল। এ কারণে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি, নিয়োগ ও পদোন্নতির কাজ প্রায় স্থবির হয়ে যায়। আটকে থাকে কিছু আর্থিক বিষয়ও। এত দিন একজন অতিরিক্ত সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কেবল রুটিন দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এহছানুল হক ১৯৮৩ সালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০১-০৬ সময়ে বিএনপি সরকারের আমলে তিনি জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭-০৮ সময়ে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

সচিবালয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ ঘিরে ভেতরে-ভেতরে চলছে তীব্র টানাপোড়েন। দুটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক-কর্মকর্তারা চাইছিলেন, তাঁদের পছন্দের কেউ যেন এই পদে বসেন। কারণ, জেলা প্রশাসকসহ মাঠ প্রশাসন ও অন্যান্য পর্যায়ের বদলি-পদোন্নতির মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসে এই মন্ত্রণালয় থেকেই।

Please Share This Post in Your Social Media

তিন সপ্তাহ পর নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১১:৪০:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

তিন সপ্তাহ শূন্য থাকার পর অবশেষে নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. এহছানুল হক। তিনি এত দিন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসেবে চুক্তিতে ছিলেন। এখন তাঁকে চুক্তি ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আনা হলো। তিনি ১৯৮২ বিসিএস ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর মো. মোখলেস উর রহমানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। দুই বছরের জন্য চুক্তিতে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। গত ২১ সেপ্টেম্বর তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনে। এর পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সচিবের পদটি ফাঁকা ছিল। এ কারণে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি, নিয়োগ ও পদোন্নতির কাজ প্রায় স্থবির হয়ে যায়। আটকে থাকে কিছু আর্থিক বিষয়ও। এত দিন একজন অতিরিক্ত সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কেবল রুটিন দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এহছানুল হক ১৯৮৩ সালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০১-০৬ সময়ে বিএনপি সরকারের আমলে তিনি জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭-০৮ সময়ে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

সচিবালয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ ঘিরে ভেতরে-ভেতরে চলছে তীব্র টানাপোড়েন। দুটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক-কর্মকর্তারা চাইছিলেন, তাঁদের পছন্দের কেউ যেন এই পদে বসেন। কারণ, জেলা প্রশাসকসহ মাঠ প্রশাসন ও অন্যান্য পর্যায়ের বদলি-পদোন্নতির মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসে এই মন্ত্রণালয় থেকেই।