ব্রেকিং নিউজঃ
তিন তরুণের মৃত্যুতে শোকের ছায়া: জীবনের অনিশ্চয়তা আমাদের ভাবায় না কেন?
ইকবাল হোসাইন, উখিয়া প্রতিনিধি
- Update Time : ০৩:৩৮:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ১০৯ Time View
কক্সবাজার জেলায় টানা দু’দিনে তিন তরুণের মৃত্যুতে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। তিনজনই ছিলেন টগবগে যুবক, কর্মঠ, সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও ভবিষ্যৎ স্বপ্নে ভরা মানুষ। অথচ আজ তারা আর নেই— চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
জানা যায়, নিহতদের মধ্যে একজন মহেশখালীর যুবদল নেতা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে এলাকার তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন। দ্বিতীয়জন রামুর খুনিয়া পালং এলাকার এক মসজিদের ইমাম, যিনি ধর্মীয় অনুশাসনে অনুগত একজন মানুষ হিসেবে সবার শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন। তৃতীয়জন কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা বীচ এলাকার একজন সফল তরুণ ব্যবসায়ী, যিনি পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন।
অল্প সময়ের ব্যবধানে তিন প্রাণের বিদায়ে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী শোকে স্তব্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে শোকের ঢল। অসংখ্য মানুষ লিখছেন—
“জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই, অথচ আমরা প্রতিদিন ব্যস্ত থাকি হিংসা, বিদ্বেষ আর প্রতিযোগিতায়। মৃত্যু আমাদের শিক্ষা দেয়, কিন্তু আমরা ভুলে যাই।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মৃত্যুগুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়— জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। যে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে, আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে হতে পারে। তবুও আমরা প্রতিদিন ভুলে যাই জীবনের এই সত্যটিকে।
ধর্মীয় বিশারদদের মতে, মৃত্যুর স্মরণ মানুষকে নম্র, বিনয়ী ও মানবিক করে তোলে। কিন্তু আজকের সমাজে ক্ষণিকের স্বার্থ, রাগ-অভিমান আর প্রতিহিংসার আগুনে আমরা যেন সেই বাস্তবতাকে উপেক্ষা করছি।
শেষ পর্যন্ত, সবার একটাই প্রার্থনা—
“হে মহান আল্লাহ, এই তিন তরুণ ভাইকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন, তাঁদের পরিবারকে এই অপূরণীয় শোক সহ্য করার শক্তি দিন। আমিন।”
জীবনে অনিশ্চয়তা আমাদের ভাবায় না কেন— এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে কক্সবাজারের প্রতিটি মানুষ ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মের আলোচনায়।






































































































































































































