ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সিলেটের ডোনা সীমান্তে গুলিতে যুবকের মৃত্যু

তিনদিন পর লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট
  • Update Time : ০৫:৫৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৫৫ Time View

সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে খুন হওয়া আব্দুর রহমানের (৩০) লাশ অবশেষে বাংলাদেশে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে আন্তর্জাতিক পিলার ১৩৩৯ সংলগ্ন এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল জানান, সন্ধ্যা থেকেই বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্তে লাশ ফেরতের অপেক্ষায় ছিলেন।

গভীর রাতে মেঘালয় পুলিশ বাক্সবন্দী মরদেহ নিয়ে সীমান্তে পৌঁছালে পতাকা বৈঠকের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিজিবির উপস্থিতিতে কানাইঘাট থানা পুলিশ লাশ গ্রহণ করে। পরে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তা নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে সীমান্তের ১৩৩৮-৩৯ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ভারতের প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে গুলি চালায় বিএসএফ।

এতে কানাইঘাট বড়চাতল পূর্ব গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

তিনি আরও কয়েকজনের সঙ্গে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মহিষ কিনে ফেরার পথে এ হামলার শিকার হন।

গুলিতে আহত অন্যরা কোনোভাবে বাংলাদেশে ফিরে আসতে সক্ষম হলেও আব্দুর রহমানের মরদেহ সীমান্তে পড়ে থাকে।

ঘটনার পর বিজিবি ডোনা ক্যাম্প বিএসএফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে লাশ ফেরত চায়। কয়েক দফা আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত রাতের বৈঠকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটের ডোনা সীমান্তে গুলিতে যুবকের মৃত্যু

তিনদিন পর লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট
Update Time : ০৫:৫৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে খুন হওয়া আব্দুর রহমানের (৩০) লাশ অবশেষে বাংলাদেশে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে আন্তর্জাতিক পিলার ১৩৩৯ সংলগ্ন এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল জানান, সন্ধ্যা থেকেই বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্তে লাশ ফেরতের অপেক্ষায় ছিলেন।

গভীর রাতে মেঘালয় পুলিশ বাক্সবন্দী মরদেহ নিয়ে সীমান্তে পৌঁছালে পতাকা বৈঠকের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিজিবির উপস্থিতিতে কানাইঘাট থানা পুলিশ লাশ গ্রহণ করে। পরে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তা নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে সীমান্তের ১৩৩৮-৩৯ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ভারতের প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে গুলি চালায় বিএসএফ।

এতে কানাইঘাট বড়চাতল পূর্ব গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

তিনি আরও কয়েকজনের সঙ্গে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মহিষ কিনে ফেরার পথে এ হামলার শিকার হন।

গুলিতে আহত অন্যরা কোনোভাবে বাংলাদেশে ফিরে আসতে সক্ষম হলেও আব্দুর রহমানের মরদেহ সীমান্তে পড়ে থাকে।

ঘটনার পর বিজিবি ডোনা ক্যাম্প বিএসএফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে লাশ ফেরত চায়। কয়েক দফা আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত রাতের বৈঠকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।