তাপসের ইচ্ছায়ই লুটপাটের জন্য ডিএসসির অবাস্তব প্রকল্প নেয়া হয়

- Update Time : ০৮:০৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
- / ৮৬ Time View
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের ইচ্ছোয়ই মূলত : বিভিন্ন অলাভজনক প্রকল্পকে লাভজনক দেখিয়ে গ্রহণ করা হতো। মেয়র দলীয় পছন্দের লোক বিশেষ করে তার মামার পছন্দের ঠিকাদারদের এসব প্রকল্পের কাজ দিতেন। যার ফলে একটি প্রকল্পের কাজও এখনো শেষ হয়নি। আসলে গৃহীত প্রকল্পগুলো সবই ছিল অবাস্তব। মূলত: লুটপাটের জন্যই এসব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।
সূত্রমতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওয়াসার কাছ থেকে ১৮টি খাল বুঝে পায়। সেদিনই ‘খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্পের ঘোষণা দেন তৎকালীন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। দূষণে মৃতপ্রায় কালুনগর, জিরানী, মাণ্ডা ও শ্যামপুর খালের প্রাণ ফেরাতে প্রকল্প হাতে নেয় সংস্থাটি। এরপর শুরু হয় সমীক্ষা। যাচাই-বাছাই শেষে ২০২২ সালের ৯ নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) চার বছর মেয়াদি ৮৯৮ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন মেলে।
রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনই ছিল প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য। এ ছাড়া নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, নান্দনিক পরিবেশ তৈরির কথা ছিল। তবে ‘কেডিম্যান ইঞ্জিনিয়ারস’ নামে ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানের কাল্পনিক সমীক্ষার কারণে জট লেগেছে প্রকল্প বাস্তবায়নে। আকাশকুসুম এই প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর হতে চললেও কোনো কাজই হয়নি। এদিকে প্রকল্পের বেশ কয়েকটি দরপত্র বাগিয়ে নিয়েছেন তৎকালীন মেয়রের মামা ফারুক সেরনিয়াবাতের পছন্দের ঠিকাদাররা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খালপাড়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে না পারায় এখনো কাজ শুরু করা যায়নি। গত অর্থবছরে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ এলেও খরচ হয়েছে ৩-৪ কোটি টাকা। ১১ প্যাকেজের ঠিকাদারকে কাজের অনুমতি দেওয়া হলেও তারা কাজ শুরু করতে পারছে না। এর মধ্যে মাণ্ডা খালের পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ সাময়িক বন্ধ রাখতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে ডিএসসিসি।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, চারটি খালের মধ্যে কালুনগরে ৯৩ কোটি, জিরানীতে ১৬৯ কোটি, মাণ্ডায় ৩৯৭ কোটি ও শ্যামপুর খালের উন্নয়নে প্রকল্পের আওতায় ১৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এ ছাড়া ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তর বাবদ ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও তার বিস্তারিত কিছু উল্লেখ নেই। ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে।
প্রকল্পের শুরুতে স্থানীয় কাউন্সিলর ও বাসিন্দার সঙ্গে কয়েকটি সভা করে ডিএসসিসি। পরে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান কেডিম্যান ইঞ্জিনিয়ারসকে সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ডিএসসিসি প্রকল্প প্রস্তাবনা করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। পরে প্রকল্পটি লাভজনক দেখাতে গিয়ে কিছু বিষয় অবাস্তব বলে মত দেন মূল্যায়ন কমিটির সদস্যরা।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয়বস্তু পরিবর্তন এবং কিছু বিষয় প্রকল্প প্রস্তাবনা থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে সেটি একনেকের অনুমতি পায়।
সূত্র বলছে, কনসালট্যান্ট হিসেবে ৮৯৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পে সমীক্ষায় ব্যয় দেখানো হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের ব্লক ডি-এর ৫ নম্বর সড়কের ২৭ নম্বর ভবন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের দেয়ালে কোম্পানির ছোট সাইনবোর্ড। তবে সাততলা ভবনের পুরোটাই আবাসিক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভবনটিতে কোনো অফিস নেই। ভবনের মালিক কেডিম্যান ইঞ্জিনিয়ারসের প্রধান নির্বাহী আরিফুল ইসলাম। প্রকল্পের আওতায় চারটি খালের দুই পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে, বাইসাইকেল লেন, বাচ্চাদের খেলার মাঠ, মাছ ধরার শেড, ফুডকোর্ট ও কফিশপ নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া নাগরিক সুবিধা ও জনপরিসর বাড়াতে খালগুলোর পাশে গড়ে তোলা হবে পথচারী সেতু, শপিং মল এবং পাবলিক টয়লেট। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর খালে মাছ চাষ করা যাবে কি না জানতে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে একটি চিঠি দেয় ডিএসসিসি।
চিঠির জবাবে মৎস্য অধিদপ্তর বলেছে, খালের পানিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকায় সেখানে মাছের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। খাল উন্নয়নের মাধ্যমে যেহেতু নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন হবে, তাই এখানে পানিপ্রবাহের বাধা সৃষ্টি হয়—এমন কাঠামো তৈরি করলে জলজট দেখা দেবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে কেনাকাটা বাদে ৪৮টি প্যাকেজে ভাগ করে ডিএসসিসি। এ ছাড়া দুটি দরপত্রের মাধ্যমে কেনা হয় ১২টি মোটরসাইকেল ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। ৯টি দরপত্র কার্যক্রম শেষে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই হয়েছে আরও ২২টির। ছয়টি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে; দরপত্র বিজ্ঞাপন প্রক্রিয়ায় আছে দুটি। দরপত্র প্রক্রিয়ার বাইরে আছে ৯টি। এসব দরপত্রের অধিকাংশই তাপসের মামা ফারুক সেরনিয়াবাতের পছন্দের ঠিকাদারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া মান্ডা ও জিরানী খালের জন্য ইকেএআর-অ্যাভেনসিয়া জেভি এবং জিরানী ও কালুনগর খালের জন্য বিইটিএস কনসাল্টিং সার্ভিস লিমিটেডকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে ইকেএআর-অ্যাভেনসিয়া জেভি প্রতিষ্ঠানটি তাপসের আরেক স্বজনের তদবিরে দেওয়া হয়েছে।
ডিএসসিসির প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, মেয়র দলীয় নেতাকর্মী ও পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিতে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে ডেকে নিয়ে নির্দেশনা দিতেন। তারা বলেন, ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিতে তাদের প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দিতেন। এমনকি দরপত্র প্রক্রিয়া ইজিপিতে হলেও পছন্দের লোকজনই কাজ পেতেন।
জানা গেছে, আশির দশকের পর থেকে খালের দুই পাড় ঘিরে গড়ে উঠেছে বহুতল স্থাপনা। কালুনগর খালটি কাগজ-কলমে প্রায় আড়াই কিলোমিটার। আর প্রস্থে কমবেশি ১৫ থেকে ১৫০ ফুট। জিরানী খাল দৈর্ঘ্যে চার কিলোমিটার, প্রস্থে ২০ থেকে ৫০ ফুট। মাণ্ডা খালের দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার, প্রস্থে ৩০ থেকে ৮০ ফুট। শ্যামপুর খাল দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫ কিলোমিটার, প্রস্থে ৫০ফুট। ডিএসসিসির খাল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কালুনগর খালের গড় প্রস্থ ১২ মিটার, জিরানীর গড় প্রস্থ ২০ মিটার, মাণ্ডার গড় প্রস্থ ২৫ মিটার এবং শ্যামপুর খালের গড় প্রস্থ ১২ মিটার উল্লেখ করা হয়েছে। তবে দখলের কারণে আদতে চারটি খালের প্রস্থ এর চেয়েও অনেক কম।
সিএস ম্যাপে দেখা গেছে, খালের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে ভবন, আর ভবনের জায়গায় আছে খাল। এদিকে বছরের শুরুতে তাপসের নির্দেশনায় প্রকল্প শুরু করতে সিএস, আরএস, এসএ নকশা, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা এবং পানি আইন অনুযায়ী এই চার খালের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ ও দখলমুক্ত কার্যক্রম শুরু করে ডিএসসিসি। জরিপে খালের সীমানা থেকে উভয় পাশে ১০ মিটারের মধ্যে শ্যামপুর খালে ৪৭০টি, কালুনগরে ২৭১টি, জিরানীর ১৮২টি এবং মাণ্ডার ৫৮১টি বহুতল স্থাপনা চিহ্নিত করে। তবে এসব ভবন ভাঙা আর ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি প্রস্তাবনায় না রাখায় প্রকল্পটি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়।
সিটি করপোরেশনের কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, ঠিকাদারি কাজ নিতে হলে তাপসের মামা ফারুককে প্রকল্পভেদে ৫ থেকে ১০ শতাংশ টাকা দিতে হতো। ইজিপিতে কাজ পেতে তিনি মেয়র ও প্রকৌশলীদের মাধ্যমে সবকিছু ব্যবস্থা করে দিতেন। তবে এখন টাকা-পয়সা খরচ করে কাজের অনুমতি দেওয়ার শর্তেও কাজ করতে পারছি না। তারা বলেন, প্রকল্পটির কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণে যে খরচ ধরা হয়েছে, বাস্তবে এর অর্ধেকেরও কম খরচে এসব স্থাপনা করা যেত। ফুডকোর্ট, ওয়াকওয়ে, বৈদ্যুতিক বাতি, বাগান, উন্মুক্ত ব্যায়াম করার শেড, পাম্প হাউস, সাইট দর্শনের স্থান, ঘাটে অতিরিক্ত খরচ ধরা হয়েছে।
প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, প্রকল্পের সমীক্ষা দেখে মনে হচ্ছে, সেটি মনগড়া। সরকারের ইচ্ছায় হ্যাঁবোধক প্রকল্পে যেমন দায়সারা সমীক্ষা করা হয়, এখানেও সেটি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে প্রকল্প বিষয়ে কোনো সভা বা তাদের মতামতও নেই। আমাদের দেশে সমীক্ষা প্রতিবেদনের নামে যা হয়, তা জনগণের সঙ্গে ভয়ংকর প্রতারণা। যে প্রকল্পের সমীক্ষাই ঠিকমতো হয়নি, তা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ থাকবে এটি খুবই স্বাভাবিক। বাস্তবেও তাই হয়েছে গত দুই বছরে প্রকল্পের কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
তিনি বলেন, যারা খালগুলো দখল করেছে তাদের উচ্ছেদ করতে গেলে রাষ্ট্রীয় শক্তির পাশাপাশি সামাজিক শক্তি দরকার। সিটি করপোরেশন দীর্ঘদিন ধরে অনেকটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। অন্তর্বতীকালীন সরকারের পক্ষে এই খাল পুনরুদ্ধারে নামা সেখানেও চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এ কাজে স্থানীয় লোকজনের সহায়তা দরকার। যত দেরি হবে খালগুলো উদ্ধারে তত হোঁচট খেতে হবে। অতীতে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হলেও তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। দখলদারদের শাস্তির আওতায় আনা দরকার। আর সিটি করপোরেশনের যেসব কর্মকর্তার কারণে এই প্রকল্পে ধীরগতি তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।
প্রকল্প পরিচালক খায়রুল বাকের জিজ্ঞাসায় বলেন, সাবেক মেয়র যেভাবে চারটি খালের দুই পাড়ে উচ্ছেদ করতে চেয়েছিলেন, সেভাবে উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। বিষয়টি আমরা গত সপ্তাহে উপদেষ্টার নজরে এনেছি। এখন আমরা সিএস ম্যাপ অনুসারে কাজ করব। উচ্ছেদ করতে না পারায় পুরোদমে কাজ শুরু করা যায়নি। প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত আছে, এখন ঠিকাদার দিয়ে ময়লা পরিষ্কারের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, প্রথমে প্রকল্পের দায়িত্ব ছিল নগর পরিকল্পনা বিভাগের। এই প্রকল্পে আমি মাঝপথে যুক্ত হয়েছি। গত অর্থবছরে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও আমরা খরচ করতে পেরেছি ৩/৪ কোটি টাকা। বাকি টাকা ফেরত যাবে। উপদেষ্টা সিএস ম্যাপ অনুসারে খালের কাজ শুরুর যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে ঠিকাদার নিয়োগে কোনোরকম অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনে বর্তমানে রাজনৈতিক মেয়র না থাকায় অনেক কিছু করা যাচ্ছে না। ত্রুটিপূর্ণ সমীক্ষা হলেও ত্রুটিপূর্ণ কাজ হবে না। নতুন করে নকশা সংশোধন করা হবে। সার্বিকভাবে প্রকল্প পরিচালকের গাফিলতি থাকলে নতুন প্রশাসন তাকেও বদলাবে।
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, চারটি খালের উন্নয়ন প্রকল্পে বিলম্ব হয়েছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আগে এক ধরনের চিন্তা-ভাবনা ছিল, সে সময় যিনি প্রতিষ্ঠানপ্রধান ছিলেন তার অভিপ্রায় ছিল এক রকম। সে কারণে হয়তো প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল।
তিনি বলেন, সিএস, আরএসসহ জলাধার আইন অনুযায়ী ভূমি উদ্ধার করে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত থাকলেও চারটি খালে দুপাড়ে অনেক স্থাপনা থাকায় সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে। সবার জন্য যেটা ভালো হবে সবকিছু বিবেচনা করে এখন শুধু সিএস ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বর্ষাকাল শেষেই মাঠপর্যায়ের কাজ চলবে।