ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তফসিলের আগেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে পাঁচ জেলায় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি

আলমগীর হোসেন অপু, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৭৮ Time View

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নভেম্বর মাসেই রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। দাবি আদায়ে পূর্বঘোষিত তিনদিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে রংপুরসহ পাঁচ জেলায় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি করা হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ভারী বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে রংপুর নগরীর শিক্ষা অফিস চত্বরের কাছ থেকে একটি পদযাত্রা বের করা হয়। তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু এতে নেতৃত্ব দেন।

পদযাত্রাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের মাধ্যমে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এসময় রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডনসহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার মাঝে মাঝে বলছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে। কিন্তু কখন শুরু হবে, কিভাবে শুরু হবে সেটি স্পষ্ট করেনি। সেজন্য আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। আজ রংপুর বিভাগের তিস্তা নদী বেষ্টিত পাঁচ জেলা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও রংপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বারকলিপি দেয়া হলো। আগামী  ৯ অক্টোবর উপজেলা পর্যায়ে গণমিছিল ও গণসমাবেশ এবং ১৬ অক্টোবর ১০টি উপজেলায় নদী-তীরবর্তী ১১টি স্থানে ১৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালিত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এসব শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও যদি সরকার দাবি বাস্তবায়নে উদ্যোগী না হয়, তবে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দিয়ে রংপুর বিভাগকে অচল করে দিতে বাধ্য হবো আমরা।

সাবেক এই উপমন্ত্রী বলেন, সরকার বলছে বছরের শুরুতে নাকি কাজ শুরু হবে। কিন্তু নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হলে সেই কাজ ঝুলে যেতে পারে। সরকার যেহেতু এ প্রকল্প বাস্তবায়নে টাকা দিতে চেয়েছে। তাই অভ্যন্তরীণ অর্থ দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করা হোক। এটি যত তাড়াতাড়ি হবে, সরকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিক বলে আমরা আশস্ত হবো। আমরা এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

তফসিলের আগেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে পাঁচ জেলায় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি

আলমগীর হোসেন অপু, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নভেম্বর মাসেই রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। দাবি আদায়ে পূর্বঘোষিত তিনদিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে রংপুরসহ পাঁচ জেলায় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি করা হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ভারী বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে রংপুর নগরীর শিক্ষা অফিস চত্বরের কাছ থেকে একটি পদযাত্রা বের করা হয়। তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু এতে নেতৃত্ব দেন।

পদযাত্রাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের মাধ্যমে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এসময় রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডনসহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার মাঝে মাঝে বলছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে। কিন্তু কখন শুরু হবে, কিভাবে শুরু হবে সেটি স্পষ্ট করেনি। সেজন্য আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। আজ রংপুর বিভাগের তিস্তা নদী বেষ্টিত পাঁচ জেলা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও রংপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বারকলিপি দেয়া হলো। আগামী  ৯ অক্টোবর উপজেলা পর্যায়ে গণমিছিল ও গণসমাবেশ এবং ১৬ অক্টোবর ১০টি উপজেলায় নদী-তীরবর্তী ১১টি স্থানে ১৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালিত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এসব শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও যদি সরকার দাবি বাস্তবায়নে উদ্যোগী না হয়, তবে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দিয়ে রংপুর বিভাগকে অচল করে দিতে বাধ্য হবো আমরা।

সাবেক এই উপমন্ত্রী বলেন, সরকার বলছে বছরের শুরুতে নাকি কাজ শুরু হবে। কিন্তু নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হলে সেই কাজ ঝুলে যেতে পারে। সরকার যেহেতু এ প্রকল্প বাস্তবায়নে টাকা দিতে চেয়েছে। তাই অভ্যন্তরীণ অর্থ দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করা হোক। এটি যত তাড়াতাড়ি হবে, সরকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিক বলে আমরা আশস্ত হবো। আমরা এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।