ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের ২ জন গ্রেপ্তার

- Update Time : ০৮:২৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৪১ Time View
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে মো. মাহদী হাসান খান ও মো. আব্দুর রহমান সোহান নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকায় সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, ১০টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া যায় বলে বিজ্ঞাপন দিতেন।
গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি মো. মাহদী হাসান খান ২০২৩ সাল থেকে প্রতারণার উদ্দেশে ফেক ফেসবুক আইডি ও পেজ খুলে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময়ে উক্ত আইডিগুলো সচল করে এবং ফেসবুকে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় মর্মে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। তিনি অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাদের ফেসবুক আইডি/পেজ থেকে ব্লক করে দেন। অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি তার নিজের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না করে ভুয়া নামে পার্সোনাল ও মার্চেন্ট এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত এসএসসি, এইচএসসি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষার আগে উক্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করে পরীক্ষার আগে ১০০ শতাংশ কমন প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় বলে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন এবং কমেন্ট সেকশনে কমেন্টস করতেন তিনি।
তার বিজ্ঞাপন ও কমেন্টস দেখে পরীক্ষার্থীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রশ্ন দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম টাকা নিয়ে তাদের ব্লক করে দিতেন।
গ্রেপ্তার অপর আসামি মো. আব্দুর রহমান সোহান আগে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন হাউসে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে তিনি কোনো রকম কাগজপত্র ছাড়াই ভুয়া দোকানের নামে এমএফএসের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে দিতেন। প্রতারণার টাকা লেনদেনের জন্য সেই মার্চেন্ট সিম আসামি মো. মাহদী হাসান খানের নিকট সরবরাহ করতেন।
সাইবার পুলিশ সেন্টারে তদন্তাধীন ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতারণার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়