ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রাকসু নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ করলেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দল ঘোষণা, অভিষেক হচ্ছে মাহিদুলের ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন গ্রেপ্তার কারচুপি হলে বাংলাদেশ অচল করে দেবে ছাত্রদল: রাকিব খালেদা জিয়া হাসপাতালে নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ঝুঁকির মধ্যে যেতে চাই না : সালাহউদ্দিন আহমদ রূপগঞ্জে পেট্রল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু ব্যাংককে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে থাইল্যান্ডের বিচারমন্ত্রীর বৈঠক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের সভায় ডিইউজে নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্যানেলের সিদ্ধান্ত গৃহীত

ঢাবির কার্জন হল ও মোকাররম ভবনে ক্যান্টিন, ফার্মেসি স্থাপনের দাবি

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৭১৭ Time View

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল ও মোকাররম ভবন এলাকায় ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া ও ফার্মেসি স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাবির দোয়েল চত্বরে এক মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।


শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাবির কার্জন হলে একটি ক্যান্টিন থাকলেও সেখানে মানসম্মত ও পর্যাপ্ত খাবার থাকে না। এ ছাড়া, বসারও কোনো পরিবেশ নেই। মোকাররম ভবনে সায়েন্স লাইব্রেরির পিছনে অস্বাস্থ্যকর ও ঘিঞ্জি পরিবেশে কিছু টং ও খাবারের দোকান রয়েছে, সেখানেও পর্যাপ্ত এবং মানসম্মত খাবার পাওয়া যায় না। নারী শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনে ফার্মেসি সেবার প্রয়োজন হলেও কোনো সেবা শিক্ষার্থীরা পায় না। এসব সেবা পেতে কার্জন হল ও মোকাররম ভবন এলাকায় ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিন স্থাপনের দাবি জানিয়েছে তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানায়। তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১. কার্জন হলে ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন করতে হবে।
২. মোকররম ভবনে ক্যান্টিন স্থাপন করতে হবে।
৩. কার্জন হল এলাকায় ফার্মেসি/ভ্যান্ডিং মেশিন স্থাপন করতে হবে।

মানববন্ধনে ঢাবির গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন বলেন, আমাদের ঢাবির কার্জন-মোকাররম এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ১২-১৪ হাজারের মতো। অথচ আমাদের এখানে খাবার খাওয়ার জন্য শুধু ম্যাথ ক্যান্টিন, সায়েন্স লাইব্রেরির পিছনের খাবারের দোকান, জহিরের ক্যান্টিন এবং আইএনএফএস এর খাবারের দোকান বাদে আর কোথাও খাবারের ব্যবস্থা নাই। অনেক সময় দাঁড়িয়ে খেতে হয়। বৃষ্টির দিনে দাঁড়ানোর মতো পরিবেশও থাকে না। অনেক সময় প্রস্রাবের গন্ধে দাঁড়ানোই যায় না। তাই আমরা চাই কার্জন হলে ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন ও মোকাররম ভবনে ক্যান্টিন স্থাপন করা হোক।

মীম জামান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কার্জন এলাকার মোট শিক্ষার্থীর প্রায় অর্ধেক নারী। তাদের জন্য কোনো ফার্মেসি নেই। আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফার্মেসিতে যেতে বলা হয়। ইমার্জেন্সি অবস্থায় আমাদের ৩০-৪০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে এত দূরে যেতে হয়। আমরা আমাদের পর্যাপ্ত মেডিসিন সেবা পাই না। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে আমাদের অন্য কোথাও গিয়ে প্রয়োজনীয় ঔষধ সংগ্রহ করতে হয়। তাই আমরা মনে করি কার্জন এলাকায় ফার্মেসি অথবা ডিজিটাল ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করাটা জরুরি।

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাবির কার্জন হল ও মোকাররম ভবনে ক্যান্টিন, ফার্মেসি স্থাপনের দাবি

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
Update Time : ১২:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল ও মোকাররম ভবন এলাকায় ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া ও ফার্মেসি স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাবির দোয়েল চত্বরে এক মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।


শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাবির কার্জন হলে একটি ক্যান্টিন থাকলেও সেখানে মানসম্মত ও পর্যাপ্ত খাবার থাকে না। এ ছাড়া, বসারও কোনো পরিবেশ নেই। মোকাররম ভবনে সায়েন্স লাইব্রেরির পিছনে অস্বাস্থ্যকর ও ঘিঞ্জি পরিবেশে কিছু টং ও খাবারের দোকান রয়েছে, সেখানেও পর্যাপ্ত এবং মানসম্মত খাবার পাওয়া যায় না। নারী শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনে ফার্মেসি সেবার প্রয়োজন হলেও কোনো সেবা শিক্ষার্থীরা পায় না। এসব সেবা পেতে কার্জন হল ও মোকাররম ভবন এলাকায় ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিন স্থাপনের দাবি জানিয়েছে তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানায়। তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১. কার্জন হলে ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন করতে হবে।
২. মোকররম ভবনে ক্যান্টিন স্থাপন করতে হবে।
৩. কার্জন হল এলাকায় ফার্মেসি/ভ্যান্ডিং মেশিন স্থাপন করতে হবে।

মানববন্ধনে ঢাবির গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন বলেন, আমাদের ঢাবির কার্জন-মোকাররম এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ১২-১৪ হাজারের মতো। অথচ আমাদের এখানে খাবার খাওয়ার জন্য শুধু ম্যাথ ক্যান্টিন, সায়েন্স লাইব্রেরির পিছনের খাবারের দোকান, জহিরের ক্যান্টিন এবং আইএনএফএস এর খাবারের দোকান বাদে আর কোথাও খাবারের ব্যবস্থা নাই। অনেক সময় দাঁড়িয়ে খেতে হয়। বৃষ্টির দিনে দাঁড়ানোর মতো পরিবেশও থাকে না। অনেক সময় প্রস্রাবের গন্ধে দাঁড়ানোই যায় না। তাই আমরা চাই কার্জন হলে ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন ও মোকাররম ভবনে ক্যান্টিন স্থাপন করা হোক।

মীম জামান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কার্জন এলাকার মোট শিক্ষার্থীর প্রায় অর্ধেক নারী। তাদের জন্য কোনো ফার্মেসি নেই। আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফার্মেসিতে যেতে বলা হয়। ইমার্জেন্সি অবস্থায় আমাদের ৩০-৪০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে এত দূরে যেতে হয়। আমরা আমাদের পর্যাপ্ত মেডিসিন সেবা পাই না। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে আমাদের অন্য কোথাও গিয়ে প্রয়োজনীয় ঔষধ সংগ্রহ করতে হয়। তাই আমরা মনে করি কার্জন এলাকায় ফার্মেসি অথবা ডিজিটাল ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করাটা জরুরি।