ঢাবিতে প্রকাশ্যে এল ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

- Update Time : ০২:৫১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
- / ১৩৬ Time View
উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রকাশ্যে এসেছে ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভানেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি কবি সুফিয়া কামাল হলের আবসিক শিক্ষার্থী।
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আফসানা আক্তার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবসিক শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৮ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দাবিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার ঢাবি শাখার পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানকে স্মারকলিপি প্রদান এবং তার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তারা প্রকাশ্যে আসেন।
আলোচনায় ক্যাম্পাসের নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের সহজলভ্যতা, নারী শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত কমনরুম, নামাজরুম ও ওযু খানার ব্যবস্থা, মাতৃত্বকালীন সহযোগিতা, আবাসন সংকট নিরসন, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনে হলে প্রবেশের অনুমতি, যৌন হয়রানি মুক্ত ক্যাম্পাস, হলভিত্তিক মেডিসিনের সুব্যবস্থাসহ বেশকিছু দাবি পেশ করা হয়। সেই সঙ্গে দাবিগুলো স্মারকলিপি আকারে উপাচার্যের হাতে তুলে দেন সংস্থার নেত্রীরা।
এ সময় উপাচার্য তাদের কথা শোনেন এবং সার্বিক বিষয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা ও সমাধান করার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে ঢাবি শাখার সভানেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন নিপীড়নের কারণে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে ক্যাম্পাসে আমরা কাজ শুরু করার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এই সময়ের মাঝে ঢাবিতে ছাত্রীসংস্থার প্রাথমিক কাঠামো গঠন সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে শাখা সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালু করব।”
ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আফসানা আক্তার বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রীসংস্থা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ ছাত্রী সংগঠন। ১৯৭৮ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের সংগঠন ছাত্রীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাবিতেও ছাত্রীসংস্থার কার্যক্রমের রয়েছে বিরাট ইতিহাস।”
তিনি বলেন, “অতীতে ছাত্রীসংস্থা ডাকসুতেও অংশগ্রহণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের জন্য কাজ করেছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমরা সবচেয়ে বড় ভিক্টিম ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ আজকের এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা নতুন পরিসরে কাজ শুরু করেছি।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা আশা করছি, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও সম্মানজনক পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে ঢাবি প্রাশাসন দ্রুততম সময়ের মাঝে কার্যকরী ব্যবস্থা নেবেন, ইনশাআল্লাহ।”
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়