ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে ‘অস্থায়ী কারাগার’ ঘোষণা

- Update Time : ০৬:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
- / ৩৯ Time View
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার ঘোষণার পরদিন রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪১(১) ধারার ক্ষমতাবলে এবং দ্য প্রিজন অ্যাক্ট এর ৩(বি) ধারা অনুসারে ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড সংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত ‘এমইএস’ বিল্ডিং নং-৫৪-কে ‘সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হলো’। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। তবে এই কারাগারে কাদের রাখা হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কারা অধিদপ্তরের সরকারি কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত উল ফরহাদ বলেন, আমরা আজকে আদেশ পেয়েছি। শিগগিরই সেখানে আমাদের লোক নিয়োজিত করা হবে। তবে শনিবার সেনা সদরের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন মামলায় সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান যে ৩২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বর্তমানে চাকরিরত ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন এখনো সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন। এই ১৬ জনের মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি সবাই এখন সেনা হেফাজতে আছেন। কবীর আহাম্মদ এখন আত্মগোপনে।