ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

- Update Time : ০১:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
- / ২২৫ Time View
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস চলাচল আজও বন্ধ। ময়মনসিংহে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও পরিবহন শ্রমিক পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে রোববার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকাগামী শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জসহ পাঁচ জেলার বাস। ঢাকায় পরিবহন মালিক-শ্রমিক-ফেডারেশনের নির্দেশনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের সব বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা মোটরযান মালিক সমিতি ও জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
সকালে ঢাকায় কর্মরত যাত্রীরা বিকল্প যানবাহনে ফেরার চেষ্টা করেন। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকেই ভোরবেলা বাসস্ট্যান্ডে এসে বাস না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যারা আগে থেকে টিকিট কেটে রেখেছিলেন, তারাও বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন। শ্রমিক গ্রেপ্তার ও বাস বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এটি দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে ঢাকাগামী একটি বাসে ওঠার সময় পরিবহন শ্রমিক অরুণ ঝন্টুর শরীরে ধাক্কা লাগে যাত্রী আবু রায়হানের। এ ঘটনায় রায়হান নিজেকে জুলাইযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে একাধিকবার দুঃখপ্রকাশ করার পরও শ্রমিক ঝন্টু তার প্রতি অশালীন আচরণ ও কটূক্তি করে তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ওইদিন রাত ৯টা থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ময়মনসিংহ নগরীর মাসকান্দা এলাকার ঢাকা বাসস্ট্যান্ডের ইউনাইটেড সার্ভিসের কাউন্টারের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ইউনাইটেড পরিবহনের শ্রমিক অরুণ ঝন্টুকে আটক করে।
ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতি ও ময়মনসিংহ জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন সম্মিলিতভাবে এই ধর্মঘট ডেকেছে। ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম জানান, বাস চলাচল বন্ধের এই সিদ্ধান্ত মালিক সমিতির। এনসিপির কয়েকজনকে সামনে রেখে একটি পক্ষ ঝামেলাটি পাকিয়েছে। তারা অনৈতিক সুবিধা নিতে প্রায়ই এমন ঝামেলা সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম পরিচালিত ১৬ বাস বন্ধের পাশাপাশি একটি মনিটরিং টিম গঠন করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় বাস চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু ঢাকার নেতৃবৃন্দ তা মানতে রাজি হয়নি। এ কারণে ইউনাইটেড এবং সৌখিন পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। আটক শ্রমিককে মুক্তি না দেওয়া এবং চলাচল নিষিদ্ধ করা বাসের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা না হলে এই ধর্মঘট কর্মসূচি অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলবে।