ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

- Update Time : ০৯:০০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩
- / ১০৩ Time View
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শুধু বর্ষা মৌসুমে নয়, সিটি করপোরেশন ও বিভিন্ন পৌরসভায় সারা বছর মশানিধনের কাজ করতে হবে।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কে-৮০ ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ চিকিৎসা সেবা দেওয়া। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ জনগণকে অবহিত করা। আপনারা জানেন আমরা সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি ৫০ টাকা করে দিয়েছি। মানুষের জ্বর বিভিন্ন কারণে হতে পারে, আমরা বলেছি জ্বর হলে দ্রুত পরীক্ষা করান।’
ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীসহ সারাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা। আমাদের মূল কথা হলো এডিসে মশা কমাতে হবে, এডিস মশা কমাতে পারলে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা কমে যাবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শুধু বর্ষা মৌসুমে নয়, ঢাকা সিটি করপোরেশন ও বিভিন্ন পৌরসভায় মশানিধনের কাজটি সারা বছর করতে হবে।’
অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের ধর্মঘট বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন কী কারণে তারা ধর্মঘট ডেকেছে সে বিষয়টি আমার জানা নেই, তাই আমি ভালো কিছু বলতে পারবো না। দেশে একটি সমস্যা চলছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বাড়ছে। এখন সময় নয় ধর্মঘট করার। মানুষের সেবা, জীবন রক্ষা এবং চিকিৎসাসেবার এখন প্রয়োজন। সেটি বন্ধ করে দিয়ে আমরা ধর্মঘটে চলে গেলাম। এটি আমি সঠিকভাবে নিতে পারছি না। তারপরেও তাদের কী সমস্যা আছে, সেই সমস্যার যেন সমাধান হয় সেটির চেষ্টা করবো এবং লক্ষ্য রাখবো।’
নতুন ভর্তি হওয়া এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এখানে যারা নতুন এমবিবিএসে ভর্তি হয়েছেন, আমি তাদের আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলাম, কিন্তু এখানে ভর্তি হতে পারিনি। এখান থেকে যারা চিকিৎসক হয়ে বেরিয়ে যাবেন তাদের ঢাকা মেডিকেলের সুনাম ধরে রাখতে হবে। এ সুনাম ধরে রাখার একমাত্র পন্থা হলো এখান থেকে ভালোভাবে শিক্ষা লাভ করা এবং পাস করে বেরিয়ে যাওয়া।’
এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিকুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. মো. কামরুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়