ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ঘোষিত ১০ দফা ইশতেহারে যা রয়েছে

- Update Time : ০৬:০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩৮৭ Time View
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রথম ইশতেহার প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে কলা অনুষদের বটতলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন।
ছাত্রদল জানিয়েছে, তাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হবে ‘আধুনিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব’।
ইশতেহার ঘোষণার সময় জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম, এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম বলেন, আসন্ন ৯ সেপ্টেম্বরের ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ছাত্রদলের নির্বাচনি অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম যুগোপযোগী হবে এবং শিক্ষার্থীরা একটি নিরাপদ ও প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস উপহার পাবে।
ছাত্রদলের ঘোষিত ১০ দফা ইশতেহারে রয়েছে
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময়টা যেন প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী তাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান, শিক্ষণীয়, এবং একই সঙ্গে আনন্দময় সময় হিসেবে মনে রাখতে পারে, সেই লক্ষ্যে সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ।
২. নারী শিক্ষার্থীদের পোশাকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, এবং সর্বোচ্চ সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা।
৩. বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো তথা সার্বক্ষণিক ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স, ফার্মেসি সেবা নিশ্চিত করা এবং জরুরি ওষুধ বিনামূল্যে প্রদানের ব্যবস্থা করা।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে কিনা, সেটি নিয়মিত পর্যালোচনার জন্য ছাত্র, শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে কমিটি গঠন, যে কমিটির অন্যতম লক্ষ্য হবে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ সৃষ্টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অফিসকে গতিশীল করা।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পরিবেশবান্ধব ও ব্যাটারিচালিত পর্যাপ্ত পরিমান শাটল সার্ভিস চালু করা।
৬. রেজিস্ট্রার ভবনে ‘লাঞ্চের পরে আসেন’ কালচার দূর করে ভবনের সার্বিক কার্যক্রম হয়রানিমুক্ত, আধুনিক এবং গতিশীল করার লক্ষ্যে সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপট উত্তোলন, নানাবিধ ফি প্রদানসহ যাবতীয় প্রশাসনিক কার্যক্রমকে ধাপে-ধাপে ডিজিটালাইজড করা এবং ডিজিটাল সার্ভিস সমস্যার জন্য ডিজিটাল সাপোর্ট ডেস্ক তৈরি করা।
৭. বৈচিত্র্যময় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাঙ্গন গড়তে নৃগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি চর্চা উৎসাহিত করা।
৮. বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইমেইল আইডির স্টোরেজ লিমিট বৃদ্ধি, অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং তা ব্যবহার করে বিশ্বমানের অনলাইন জার্নাল ও লাইব্রেরি অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে ক্লাউড স্টোরেজ প্রদান।
৯. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সংরক্ষণ, সবুজায়ন ও প্রাণিবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরি।
১০. একাডেমিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত করা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়