ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসুকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার বন্ধের আহ্বান রাশেদ খানের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪৫৪ Time View

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলের নেতাকর্মীদের ভুল আছে, ভুল থাকা স্বাভাবিক। তবে ডাকসুর প্যাড ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কোনো দলকে ‘সংস্কারবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করা বেমানান।

রোববার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান লেখেন, আজকে বিএনপির করেছে, আগামীকাল জামায়াতের কোনো অপরাধের সমালোচনা করতে পারবে? ডাকসুকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। ডাকসু হলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার একটি প্ল্যাটফর্ম।

তিনি আরও বলেন, যদি ডাকসু সার্বজনীন প্ল্যাটফর্ম হতে চায়, তাহলে জানতে চাই—জামায়াতের কয়টি সমালোচনা ডাকসু করেছে? কে কোন পদে আছে, কোন আদর্শের—সেটি ভুলে গিয়ে গোষ্ঠী স্বার্থের ঊর্ধ্বে কাজ করতে হবে। নতুবা একপাক্ষিক ও এককেন্দ্রিক লেজুড়বৃত্তির কারণে যে দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ সৃষ্টি হবে, সেটি কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।

গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা উল্লেখ করেন, বিএনপিসহ প্রায় ৪৩টি দল শেখ হাসিনার আমলে সংস্কারের ৩১ দফা দিয়েছে। তখন কিন্তু জামায়াতের কোনো সংস্কারের দফা ছিল না। আমি ধরে নিলাম, ওই ৩১ দফায় আপনার সব চিন্তার সংস্কার কাভার করেনি, কিন্তু জামায়াতের তো তখন একটাও সংস্কারের দফা ছিল না। এখন প্রশ্ন হলো, কোন সংস্কারের মাধ্যমে ভিসি-ডিসি নিয়োগ ভাগাভাগি করেছেন?

Please Share This Post in Your Social Media

ডাকসুকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার বন্ধের আহ্বান রাশেদ খানের

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১১:০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলের নেতাকর্মীদের ভুল আছে, ভুল থাকা স্বাভাবিক। তবে ডাকসুর প্যাড ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কোনো দলকে ‘সংস্কারবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করা বেমানান।

রোববার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান লেখেন, আজকে বিএনপির করেছে, আগামীকাল জামায়াতের কোনো অপরাধের সমালোচনা করতে পারবে? ডাকসুকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। ডাকসু হলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার একটি প্ল্যাটফর্ম।

তিনি আরও বলেন, যদি ডাকসু সার্বজনীন প্ল্যাটফর্ম হতে চায়, তাহলে জানতে চাই—জামায়াতের কয়টি সমালোচনা ডাকসু করেছে? কে কোন পদে আছে, কোন আদর্শের—সেটি ভুলে গিয়ে গোষ্ঠী স্বার্থের ঊর্ধ্বে কাজ করতে হবে। নতুবা একপাক্ষিক ও এককেন্দ্রিক লেজুড়বৃত্তির কারণে যে দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ সৃষ্টি হবে, সেটি কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।

গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা উল্লেখ করেন, বিএনপিসহ প্রায় ৪৩টি দল শেখ হাসিনার আমলে সংস্কারের ৩১ দফা দিয়েছে। তখন কিন্তু জামায়াতের কোনো সংস্কারের দফা ছিল না। আমি ধরে নিলাম, ওই ৩১ দফায় আপনার সব চিন্তার সংস্কার কাভার করেনি, কিন্তু জামায়াতের তো তখন একটাও সংস্কারের দফা ছিল না। এখন প্রশ্ন হলো, কোন সংস্কারের মাধ্যমে ভিসি-ডিসি নিয়োগ ভাগাভাগি করেছেন?