ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অর্থপাচার ঠেকাতে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার জাহাজভাঙা শিল্প উপকূলের জন্য মারাত্মক: পরিবেশ উপদেষ্টা চরফ্যাশনে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামী ও দেবরের আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘরে আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ, নারী গ্রেফতার টঙ্গীতে ম্যানহোলে পড়ে জ্যোতির মৃত্যু: ৯০ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: ইসি সানাউল্লাহ জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে ইসিতে আবেদন রাষ্ট্রপতির সাথে নব নিয়োগপ্রাপ্ত ২৫ বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ রায়হান হত্যা মামলার শুনানী পেছালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত মানতে ফের বিজ্ঞপ্তি

ডকুমেন্ট না থাকায় হয়নি সিন্ডিকেট মিটিং, আগের সিদ্ধান্ত বহাল

বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৩৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৫ Time View

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলন কেন্দ্র করে আজ (বুধবার) সিন্ডিকেট সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয় নি। এর ফলে গতকাল (বুধবার) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাড়ে চারঘন্টা আলোচনার পরে যে সিদ্ধান্তগুলো এসেছিলো তার কিছুই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক। আজ সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সাংবাদিকদের সাথে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের হাতে চলে যাবে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আর আমাদের হাতে থাকবে না। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভার জন্য লিখিত ডকুমেন্ট প্রয়োজন। এজন্য শিক্ষার্থীদের দাবি এবং আমাদের পক্ষের দাবি নিয়ে একটি যৌথ ডকুমেন্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীদের বারবার ডাকলেও তারা আসেনি। ফলে ডকুমেন্ট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় উপাচার্যের পক্ষে ডকুমেন্ট ছাড়া সিন্ডিকেট সভা করা সম্ভব নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক বলেন, ‘সিন্ডিকেট মিটিংয়ের জন্য একটি লিখিত ডকুমেন্ট প্রয়োজন। সেটির জন্যই শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা কেবল কালক্ষেপণ করেছে এবং একঘন্টা যাবত তাদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার পরেও তারা আসেননি। এই পরিস্থিতে আমরা উপাচার্যের কাছে যৌথ বিবৃতি দিতে পারিনি। এখন যদি শিক্ষার্থীরা কোনো কর্মসূচিতে যান এবং ভাংচুর বা এরকম কিছু করেন সেক্ষেত্রে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন তদারকি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু বন্ধ তাই স্থানীয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখবেন।’

এ বিষয়ে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল বলেন, ‘গতকাল আমরা ৬১ জন শিক্ষার্থী শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করেছি। এরপরেও আজকে তারা আমাদের মাত্র ৫ জনকে যৌথ বিবৃতির জন্য যেতে বলেছেন। গতকালের দীর্ঘ আলোচনায় আমাদের দাবি ও সিদ্ধান্ত সবই আমরা উল্লেখ করেছি এবং আমাদের স্বাক্ষর ও দিয়েছি। এতকিছুর পরেও কেন আবার ৫জনকে লিখিত দিতে হবে এটাই বোধগম্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকালের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো যে আজকে দুপুর ১২ টার মধ্যে উপাচার্য হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করবেন। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের প্রশাসনিক এবং শিক্ষাগত কোনো হয়রানি করা হবে না- এই মর্মে তিনি লিখিত নথি প্রকাশ করবেন। কিন্তু এর কিছুই হয় নি। শিক্ষকবৃন্দ আমাদের কোনোরকম সহযোগিতা করছেন না। আমাদের একক ডিগ্রির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত এখনও পাই নি। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি কি হবে সেটা নিয়ে অনুষদের সকলের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

ডকুমেন্ট না থাকায় হয়নি সিন্ডিকেট মিটিং, আগের সিদ্ধান্ত বহাল

বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৩৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলন কেন্দ্র করে আজ (বুধবার) সিন্ডিকেট সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয় নি। এর ফলে গতকাল (বুধবার) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাড়ে চারঘন্টা আলোচনার পরে যে সিদ্ধান্তগুলো এসেছিলো তার কিছুই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক। আজ সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সাংবাদিকদের সাথে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের হাতে চলে যাবে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আর আমাদের হাতে থাকবে না। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভার জন্য লিখিত ডকুমেন্ট প্রয়োজন। এজন্য শিক্ষার্থীদের দাবি এবং আমাদের পক্ষের দাবি নিয়ে একটি যৌথ ডকুমেন্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীদের বারবার ডাকলেও তারা আসেনি। ফলে ডকুমেন্ট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় উপাচার্যের পক্ষে ডকুমেন্ট ছাড়া সিন্ডিকেট সভা করা সম্ভব নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক বলেন, ‘সিন্ডিকেট মিটিংয়ের জন্য একটি লিখিত ডকুমেন্ট প্রয়োজন। সেটির জন্যই শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা কেবল কালক্ষেপণ করেছে এবং একঘন্টা যাবত তাদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার পরেও তারা আসেননি। এই পরিস্থিতে আমরা উপাচার্যের কাছে যৌথ বিবৃতি দিতে পারিনি। এখন যদি শিক্ষার্থীরা কোনো কর্মসূচিতে যান এবং ভাংচুর বা এরকম কিছু করেন সেক্ষেত্রে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন তদারকি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু বন্ধ তাই স্থানীয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখবেন।’

এ বিষয়ে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল বলেন, ‘গতকাল আমরা ৬১ জন শিক্ষার্থী শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করেছি। এরপরেও আজকে তারা আমাদের মাত্র ৫ জনকে যৌথ বিবৃতির জন্য যেতে বলেছেন। গতকালের দীর্ঘ আলোচনায় আমাদের দাবি ও সিদ্ধান্ত সবই আমরা উল্লেখ করেছি এবং আমাদের স্বাক্ষর ও দিয়েছি। এতকিছুর পরেও কেন আবার ৫জনকে লিখিত দিতে হবে এটাই বোধগম্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকালের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো যে আজকে দুপুর ১২ টার মধ্যে উপাচার্য হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করবেন। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের প্রশাসনিক এবং শিক্ষাগত কোনো হয়রানি করা হবে না- এই মর্মে তিনি লিখিত নথি প্রকাশ করবেন। কিন্তু এর কিছুই হয় নি। শিক্ষকবৃন্দ আমাদের কোনোরকম সহযোগিতা করছেন না। আমাদের একক ডিগ্রির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত এখনও পাই নি। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি কি হবে সেটা নিয়ে অনুষদের সকলের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’