ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে
- Update Time : ০৬:০২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১৮ Time View
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে যাত্রীবাহী সব ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন করে ১১টি সেতুতে ‘এক্সট্রা ডিস্ট্যান্স অব পন্টেজ’ চার্জ আরোপ করায় ২০ ডিসেম্বর থেকে যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে। সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়ছে ৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২২৬ টাকা পর্যন্ত। মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর পূর্বাঞ্চল রেলের বাণিজ্যিক বিভাগ নতুন ভাড়া কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে, যা ১০ ডিসেম্বর থেকেই অগ্রিম টিকিটে প্রযোজ্য হয়েছে।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা জানায়, পুরনো সেতু ও কালভার্টের রক্ষণাবেক্ষণে অতিরিক্ত ব্যয় এবং বাড়তি বিনিয়োগের অর্থ উত্তোলনের উদ্দেশ্যে পন্টেজ চার্জ আরোপ করা হয়েছে। আগে প্রতি কিলোমিটার সেতুকে ১৭ কিলোমিটার হিসেবে ধরা হলেও নতুন নিয়মে প্রতি কিলোমিটার সেতু ২৫ কিলোমিটার ধরে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। এর ফলে বিভিন্ন রুটে দূরত্ব বাড়ছে ৪ থেকে ৫১ কিলোমিটার পর্যন্ত। দূরত্ব বাড়ায় রুটভেদে ভাড়া বাড়ছে ৫ থেকে ২২৬ টাকা পর্যন্ত।
ভাড়া বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘রেলের ভাড়া ২০১৬ সালে সর্বশেষ বাড়ানো হয়েছিল। পশ্চিমাঞ্চলে পদ্মা সেতুসহ বেশ কয়েকটি রেলওয়ে অবকাঠামো স্থাপনের পর পন্টেজ চার্জ আরোপ করা হলেও পূর্বাঞ্চলে করা হয়নি। এখন পূর্বাঞ্চলের মাত্র ১১টি সেতুর জন্য পন্টেজ চার্জ যুক্ত করা হচ্ছে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রামের সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়ছে মাত্র ১৫ টাকা। সাধারণ যাত্রীদের ভাড়া কম বাড়ানো হয়েছে।’
ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে ভাড়ার দূরত্ব ৩৪৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮১ কিলোমিটার। এতে আন্তঃনগরসহ সব শ্রেণির টিকিটে ভাড়া ১৫ থেকে ১৫৯ টাকা পর্যন্ত বাড়ছে। ঢাকা–কক্সবাজার রুটে দূরত্ব ৫৩৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৮৬ কিলোমিটার, যেখানে সর্বোচ্চ ২২৬ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়ছে। ঢাকা–সিলেট রুটে দূরত্ব বেড়ে ৩৫০ কিলোমিটার হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণিতে ১৫ থেকে ১২৭ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়ছে। চট্টগ্রাম–সিলেট রুটেও অতিরিক্ত দূরত্ব যোগ হওয়ায় ভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে ১০ থেকে ৮৭ টাকা পর্যন্ত। চট্টগ্রাম–জামালপুর রুটে ১৭ কিলোমিটার বাড়ায় ভাড়া বাড়ছে ১০ থেকে ৬৯ টাকা পর্যন্ত। ঢাকা–দেওয়ানগঞ্জ রুটে বাড়তি ৪ কিলোমিটার দূরত্বের ভিত্তিতে ভাড়া সামান্য সমন্বয় করা হয়েছে—কিছু শ্রেণিতে ৫ থেকে ১৭ টাকা পর্যন্ত।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৬ সালের পর রেলের ভাড়া আর বাড়ানো হয়নি। পরিচালন ব্যয়ের সঙ্গে আয় সমন্বয় করতে পন্টেজ চার্জসহ বিভিন্ন বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে পদ্মা সেতু এবং পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি বড় সেতুতে পন্টেজ চার্জ আরোপ করা হলেও পূর্বাঞ্চলে তা কার্যকর হয়নি। এবার পূর্বাঞ্চলের ১১টি সেতুতে চার্জ আরোপ করায় ভাড়া সমন্বয় করা হলো।















































































































































































