ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
- Update Time : ১০:০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
- / ২৮১ Time View
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের উক্তি ব্যবহার করে তৈরি এক শুল্ক-বিরোধী বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে এই ক্ষমাপ্রার্থনা করেন তিনি।
বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। শনিবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মূলত ওই বিজ্ঞাপনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের একটি উক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হওয়ার পর ট্রাম্প কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেন এবং দেশটির পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন।
শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপিইসি) সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে কার্নি বলেন, “আমি প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছি।”
বিজ্ঞাপনটিতে ১৯৮৭ সালে দেওয়া রিগানের একটি ভাষণের ক্লিপ ব্যবহার করা হয়। ওই ভাষণে তিনি বলেছিলেন, শুল্ক আরোপ আমেরিকার অর্থনীতির ক্ষতি করে। রিগানের উক্তি ছিল: “এ ধরনের বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা প্রতিটি মার্কিন শ্রমিক ও ভোক্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।”
কার্নি বলেন, অন্টারিও প্রদেশের অর্থায়নে তৈরি ওই বিজ্ঞাপনটি “আমি নিজে হলে করতাম না”। তিনি জানান, ট্রাম্প বিষয়টি নিয়ে “অপমানিত” বোধ করেছেন।
এর আগে ট্রাম্প গত শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, কার্নি তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং তাদের মধ্যে “খুব ভালো সম্পর্ক” রয়েছে। তবে তিনি মন্তব্য করেন, “যা করা হয়েছে, তা ভুল।”
কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী কার্নি জানান, বিজ্ঞাপনটি প্রচারের আগে অন্টারিও প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড তাকে ক্লিপটি দেখিয়েছিলেন এবং তিনি সেটি সম্প্রচার না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
তবু টরোন্টো ব্লু জেস ও লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্সের মধ্যে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড সিরিজ বেসবলের প্রথম দুই ম্যাচে বিজ্ঞাপনটি প্রচার করা হয়। ফোর্ড দাবি করেন, বিজ্ঞাপনটি “একশ কোটি বার দেখা হয়েছে” এবং যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ বহু দেশের মনোযোগ কেড়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিশ্বের বহু দেশের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। মার্কিন শুল্ক আরোপ হওয়া দেশগুলোর মধ্যে কানাডাও রয়েছে।
এদিকে এই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিট হুকস্ট্রা এবং অন্টারিওর বাণিজ্য প্রতিনিধি ডেভিড প্যাটারসনের মধ্যে একপর্যায়ে “অশালীন বাক্যবিনিময়” হয় বলে জানা গেছে। ফোর্ড জানান, হুকস্ট্রার মন্তব্য ছিল “সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য” এবং তাকে পরে প্যাটারসনের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র কানাডার পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছে। যদিও বিদ্যমান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় অধিকাংশ পণ্য এই শুল্কের বাইরে রয়েছে। আবার কিছু খাতে পৃথক শুল্ক রয়েছে— যেমন ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে ৫০ শতাংশ, গাড়িতে ২৫ শতাংশ
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়


































































































