ট্রাম্পকে ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’ উপহার দিচ্ছে কাতার

- Update Time : ০৮:১৩:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
- / ২৯ Time View
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস এবং কাতারের রাজপরিবারের মধ্যে বিলাসবহুল একটি জেট বিমান নিয়ে আলোচনার খবর পাওয়া গেছে। বিলাসবহুল এ বিমানটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমানবহর ‘এয়ার ফোর্স ওয়ানে’ ব্যবহার হতে পারে।
সোমবার (১২ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাতার সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিমানটি উপহার হিসেবে দেওয়া হবে না, বরং এটি সাময়িক ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তান্তরের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়াদের শেষে বিমানটি তার প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরিতে দান করা হতে পারে। ট্রাম্প এই সপ্তাহে তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বড় বিদেশ সফরে কাতার যাচ্ছেন।
কাতারের যুক্তরাষ্ট্রস্থ মিডিয়া অ্যাটাচি আলি আল-আনসারি জানিয়েছেন, কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি উভয় দেশের আইনি বিভাগ পর্যালোচনা করছে এবং এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
সিবিএস নিউজের সূত্র মতে, বিমানটি অবিলম্বে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকবে না। এটি পুনর্গঠন এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনার প্রয়োজন হবে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, কোনো বিদেশি সরকারের দেওয়া উপহার সর্বদা প্রযোজ্য সকল আইন মেনে গ্রহণ করা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে, বিমানটিকে একটি উপহার হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন যে, এটি তার ব্যবহারের জন্য বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা দপ্তর একটি ৭৪৭ বিমান উপহার হিসেবে পাচ্ছে, যা পুরোনো এয়ার ফোর্স ওয়ানকে সাময়িকভাবে প্রতিস্থাপন করবে।
বর্তমানে হোয়াইট হাউসের বহরে দুটি বোয়িং ৭৪৭-২০০বি বিমান রয়েছে, যা প্রেসিডেন্টের ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে সাজানো। এই বিমানগুলো ১৯৯০ এবং ১৯৯১ সাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। কাতারের দেওয়া বিমানটি বোয়িং ৭৪৭-৮ মডেলের, যা একটি ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’ হিসেবে পরিচিত।
বোয়িং ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন দুটি এয়ার ফোর্স ওয়ান সরবরাহের চুক্তি করেছিল, কিন্তু ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, কোম্পানিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিমান সরবরাহ করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে কাতারের সঙ্গে এই বিকল্প আলোচনার বিষয়টি সামনে এসেছে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কাতারের সাথে ইতিবাচক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল, যার মধ্যে ২০১৯ সালে কাতারের বড় মাপের মার্কিন বিমান কেনার ঘোষণা ছিল।
এছাড়া, কাতার এর আগেও বিভিন্ন দেশে বিলাসবহুল বিমান উপহার দিয়েছে। দেশটি ২০১৮ সালে তুরস্ককে একটি বিলাসবহুল বিমান উপহার দিয়েছিল।