ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদি আরবের ‘স্লিপিং প্রিন্স’ আল ওয়ালিদ শিলং থেকে ‘নব্য গডফাদার’ এসেছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সালাহউদ্দিনকে ‘নব্য গডফাদার’ বলায় এনসিপি’র মঞ্চ ভাঙচুর, সভা পণ্ড স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন স্বামী যাত্রাবাড়ীর আবাসিক হোটেলে শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন : ঘাতক গ্রেফতার জামায়াতের অনেক দায় কাধেঁ নিয়েছে বিএনপি – টুকু টেলিগ্রাম অ্যাপে ‘বিনিয়োগের ফাঁদ’ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া দুই প্রতারক গ্রেপ্তার ফ্যাসিস্টরা জোট হয়ে ক্ষমতা ফিরে পেতে চক্রান্ত করছে: মির্জা ফখরুল রংপুরে গ্যাস স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ; নিহত ১, আহত ২৫ এবার লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে: জামায়াত আমির

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে অসহায় নারীর আর্তনাদ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:১৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • / ১০৪ Time View

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে এক অসহায় নারী থানা ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। রুবেল সরোয়ার নামের এক প্রতারকের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মনিরা আক্তার নামের এক নারীর সাথে ১৩ বছর পূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের মৃত গফুর মোল্লার ছেলে ইসমাইল হোসেনের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই পারিবারিক মনমালিন্য থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। কয়েক বছর পর কণ্যা সন্তান হওয়ায় সংসারে আরো অশান্তি নেমে আসে। সম্পর্কের অবনতি হলে রাগ করে ওই নারী কন্যাসহ তার বাবার বাড়ি চলে আসে।

পরবর্তীতে তার স্বামী খোঁজ খবর না নেওয়ায় ওই নারী নাগরপুর বাজারে একটি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। বিবাদী রুবেল সরোয়ারও ওই মার্কেটের নিচতলায় এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা করে। একই মার্কেট হওয়ার সুবাদে রুবেল ২য় তলায় গিয়ে ওই নারীর সাথে আড্ডা দিত। পর্যায়ক্রমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারীর কষ্টের কথা শুনে রুবেল তাকে বিবাহ করবে বলে আশান্বিত করে এবং তার স্বামীকে তালাক দিতে বলে।

পরবর্তীতে তালাক দিলে রুবেল ওই নারীকে বিবাহ করে স্থানীয় মাতাব্বর ও মৌলভীর মাধ্যমে মৌখিক ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে। বিয়ের পর ওই নারীকে ঢাকার উত্তরায় নিয়ে রুবেল দাম্পত্য জীবন শুরু করে। এ সময় ওই নারী তার ব্যবসার নগদ ৫ লক্ষ টাকা রুবেলের হাতে দেয়। কিছুদিন পর কাবিননামার কথা বললে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করে টাঙ্গাইলের নাগরপুর চলে আসে।

পরে ওই নারী খোঁজ নিয়ে রুবেলের বাসায় গিয়ে দেখেন রুবেল বিবাহিত এবং তারও একটি সন্তান আছে। ওই নারী রুবেলের স্ত্রী দাবি করলে, তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বেধরক মারধর করে। শেষে সাদা একটি কাগজে জোরপূর্বক ওই নারীর স্বাক্ষর রাখেন এবং সাথে থাকা ২ টি মোবাইল, নগদ ২৩ হাজার টাকা ও ১১ আনা ওজনের একটি সোনার চেইন লুট করে রুবেলের পরিবারের সদস্যরা। ভুক্তভোগী ওই অসহায় নারী প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে অসহায় নারীর আর্তনাদ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
Update Time : ১০:১৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে এক অসহায় নারী থানা ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। রুবেল সরোয়ার নামের এক প্রতারকের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মনিরা আক্তার নামের এক নারীর সাথে ১৩ বছর পূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের মৃত গফুর মোল্লার ছেলে ইসমাইল হোসেনের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই পারিবারিক মনমালিন্য থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। কয়েক বছর পর কণ্যা সন্তান হওয়ায় সংসারে আরো অশান্তি নেমে আসে। সম্পর্কের অবনতি হলে রাগ করে ওই নারী কন্যাসহ তার বাবার বাড়ি চলে আসে।

পরবর্তীতে তার স্বামী খোঁজ খবর না নেওয়ায় ওই নারী নাগরপুর বাজারে একটি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। বিবাদী রুবেল সরোয়ারও ওই মার্কেটের নিচতলায় এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা করে। একই মার্কেট হওয়ার সুবাদে রুবেল ২য় তলায় গিয়ে ওই নারীর সাথে আড্ডা দিত। পর্যায়ক্রমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারীর কষ্টের কথা শুনে রুবেল তাকে বিবাহ করবে বলে আশান্বিত করে এবং তার স্বামীকে তালাক দিতে বলে।

পরবর্তীতে তালাক দিলে রুবেল ওই নারীকে বিবাহ করে স্থানীয় মাতাব্বর ও মৌলভীর মাধ্যমে মৌখিক ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে। বিয়ের পর ওই নারীকে ঢাকার উত্তরায় নিয়ে রুবেল দাম্পত্য জীবন শুরু করে। এ সময় ওই নারী তার ব্যবসার নগদ ৫ লক্ষ টাকা রুবেলের হাতে দেয়। কিছুদিন পর কাবিননামার কথা বললে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করে টাঙ্গাইলের নাগরপুর চলে আসে।

পরে ওই নারী খোঁজ নিয়ে রুবেলের বাসায় গিয়ে দেখেন রুবেল বিবাহিত এবং তারও একটি সন্তান আছে। ওই নারী রুবেলের স্ত্রী দাবি করলে, তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বেধরক মারধর করে। শেষে সাদা একটি কাগজে জোরপূর্বক ওই নারীর স্বাক্ষর রাখেন এবং সাথে থাকা ২ টি মোবাইল, নগদ ২৩ হাজার টাকা ও ১১ আনা ওজনের একটি সোনার চেইন লুট করে রুবেলের পরিবারের সদস্যরা। ভুক্তভোগী ওই অসহায় নারী প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করেন।