টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি কোয়ালিশনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা

- Update Time : ০৩:৪৭:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
- / ৮৬ Time View
টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি কোয়ালিশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে পুর্ব লন্ডনের নিউ রোডস্থ একটি রেস্টূরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি কোয়ালিশন প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা আব্দুস শুকুর খালিসদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যারিস্টার আতাউর রহমান।
এসময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সর্বজনাব মাওলানা শামসুল হক, সিরাজ হক, হাসান হক, রেহনুমা হাসিম রেখা ও জোসনা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি কোয়ালিশন ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের কমিউনিটি সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে, যা তারা নির্বাচনী প্রচারের সময় গড়ে তুলেছিল।
২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন দেখিয়ে দিয়েছে যে, এই ধরনের একটি প্ল্যাটফর্মের দরকার ছিল। ভোটার স্বেচ্ছাসেবক এবং কমিউনিটির মানুষের একসাথে কাজ করার ফলে, এই এলাকার বর্তমান এমপির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান একসময়ে যে ৩৭ হাজারের বেশি ছিলো তা আজ মাত্র ১৫শতে নেমে এসেছে। রুশনারা আলীর ভোটব্যাংক-এ ধ্বংস নামিয়ে দিয়ে এই কমিউনিটির মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে যে দলীয় রাজনীতির নামে অন্যায় করা চলবে না। এটি টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি কোয়ালিশনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি স্পষ্ট ম্যান্ডেট হিসাবে কাজ করবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি কোয়ালিশন রুশনারা আলী এবং স্থানীয় লেবার পার্টির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ভোটারদের ভুল তথ্য দিয়ে প্রভাবিত করা এবং ভোটের দিন হোয়াইটচ্যাপেল রোডে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা।
এছাড়াও স্থানীয় লেবার পার্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে রুশনারা আলীর নাম ব্যবহার করে একটি ইসলামফোবিক চিঠি ছড়ানো হয়েছে।এমনকি নির্বাচনের পর মসজিদ এবং একজন ফিলিস্তিনের পক্ষের প্রতিবাদকারীকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার অভিযোগও উঠেছে। এই ঘটনাগুলোর প্রতিক্রিয়ায় আমাদের কোয়ালিশন প্রমাণানী সংগ্রহ করছে এবং আইনি পরামর্শ নিচ্ছে যাতে বিষয়টি নির্বাচনী আদালতে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা তা বিবেচনা করা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বৃটিশ-বাংলাদেশী কমিউনিটির অধিকাংশ তরুণই ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত নয়। এটি নতুন নির্বাচনী আইনের কারণে হয়েছে যা প্রতি বছর ভোটারদের পুনরায় নিবন্ধন করতে বলে।আমরা অনেক তরুণকে দেখেছি, যারা ভোট দিতে চেয়েছিল, কিন্তু ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত ছিল না।আকস্মিক নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় ভোটার রেজিস্ট্রেশনের জন্য আমাদের পক্ষে পর্যাপ্ত প্রচারণা চালানোও সম্ভব হয়নি।আর তাই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি নি।
এই কারণে, টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি কোয়ালিশন তাদের নির্বাচনী প্রচারণার সময় গড়েওঠা নেটওয়ার্কগুলিকে কাজে লাগিয়ে তরুণদের ভোটারকরণে কাজ করার পরিকল্পনা করছে।বিশেষ করে ৩৫ বছরের কম বয়সী ভোটারদের লক্ষ্য করে প্রচারনা চালানো হবে।আমাদের উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এবং জাতিগত বৈষম্য এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া।
আমাদের সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।আপনারা অন্যায় এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়িয়েছেন । আমরা আপনাদের নিয়ে গর্বিত।আমরা যখন বলেছিলাম আর কোনো এমপি আজীবনের জন্য নয়, তখন আমরা তা সত্যিই বলেছিলাম। নির্বাচনে আমরা আমাদের প্রার্থীর পক্ষে ১৪,৫০০ ভোট নিশ্চিত করে তা প্রমাণ করেছি। পরের বার যখন কেউ প্রশ্ন করবে টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি কোয়ালিশন কারা? তখন আপনারা গর্বের সাথে বলতে পারবেন আমরা বেথনাল গ্রিন এন্ড স্টেপনি আসনের ১৪,৫০০ জন ভোটার। আমরা খুব ভোটার নিবন্ধন প্রচারণার কাজে আপনাদের সহযোগিতা চাই।